|
|
|
|
নয়া কমিটি মমতার |
সরকারি কাজে নজর রাখতেও দলীয় নেতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
তৃণমূল স্তরে সরকারের কাজকর্ম এবং প্রচার ঠিকমতো হচ্ছে কি না, তার উপরে নজরদারির জন্য দলীয় নেতা এবং নিজের বিশ্বস্ত কয়েক জনকে নিয়ে একটি বিশেষ কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের তথ্য ও সম্প্রচার দফতরের অধীনে একটি পৃথক টাস্ক ফোর্স গঠন করার জন্য আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। ওই টাস্ক ফোর্সের সম্ভাব্য সদস্যদের নিয়ে বুধবার মহাকরণে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার দফতরের বিশেষ সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী এবং অন্য কয়েক জন পদস্থ কর্তাও। মহাকরণ সূত্রের খবর, মমতা ওই বৈঠকে তথ্য ও সম্প্রচার দফতরের কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন, ওই কমিটি বা টাস্ক ফোর্স শুধু উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবে না। সরকারের কাজকর্ম এবং প্রচার ঠিকমতো হচ্ছে কি না, তৃণমূল স্তর পর্যন্ত তার তদারকির দায়িত্বেও থাকবে তারা।
তথ্য ও সম্প্রচার দফতরের দায়িত্ব প্রথম থেকে নিজের হাতেই রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সরকারি কাজকর্মের প্রচারে নজরদারির কাজে তথ্য ও সম্প্রচার দফতরের পরিকাঠামোর উপরে যে তাঁর যথেষ্ট ‘ভরসা’ নেই, এ দিনের সিদ্ধান্তে সেটা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কারণ, প্রাথমিক ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ওই টাস্ক ফোর্সের সদস্য হিসেবে যাঁদের নাম ভাবা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে প্রথম সারিতে উঠে এসেছে তৃণমূলের দু’জন নেতার নাম। তাঁরা হলেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সৌরভ চক্রবর্তী এবং তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। এই দুই দলীয় নেতা ছাড়াও ওই টাস্ক ফোর্সের সদস্য হিসেবে উঠে এসেছে ‘মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত নাট্যকর্মী অর্পিতা ঘোষ এবং সেই সঙ্গে এক ব্যবসায়ীর নামও। মহাকরণ সূত্রের খবর, ওই কমিটিতে কারা থাকবেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী দু’-এক দিনের মধ্যেই তাঁদের নাম চূড়ান্ত করে ফেলবে তথ্য ও সম্প্রচার দফতর।
ক্ষমতায় থাকার সময়ে সিপিএমের বিরুদ্ধে প্রশাসনে দলতন্ত্র কায়েম করার অভিযোগ উঠেছিল বারবার। মমতা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে জানিয়েছিলেন, সরকারি কাজকর্মের সঙ্গে তিনি কখনও দলীয় কাজকর্মকে মিলিয়ে ফেলবেন না। ক্ষমতায় আসার পরে শিক্ষা ক্ষেত্রে এই ধরনের কিছু ‘সাহসী’ পদক্ষেপও করেছিলেন তিনি। তবে অনেকের মতে, সরকারি কাজকর্মের প্রচারের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী যে সরকারি প্রচারযন্ত্রের থেকে দলীয় নেতাদের উপরেই অনেক বেশি ‘ভরসা’ করছেন, এ দিনের বিশেষ কমিটি গড়ার সিদ্ধান্তে তা পরিষ্কার। |
|
|
|
|
|