খেয়াল রাখুন
তথ্য সংকলন: কৌলিক ঘোষ

সাংগঠনিক দক্ষতা বাড়াতে
যে কোনও সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানকে আমূল বদলে দিয়ে সুন্দর সমাজ গড়ার পথে চালিত করতে এবং ওই বদল আনার জন্য নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব তৈরি করতে ভারতে শুরু হচ্ছে এক অভিনব পাঠ্যক্রম। ‘মাস্টার্স প্রোগ্রাম ইন পজিটিভ অর্গানাইজেশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড চেঞ্জ’। আমেরিকার কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটির ওয়েদারল্যান্ড স্কুল অফ ম্যানেজমেন্ট-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে জামশেদপুরের এক্সএলআরআই স্কুল অফ বিজনেস অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্সেস এনেছে ১৫ মাসের এই পাঠ্যক্রম।
এক্সএলআরআই কর্তৃপক্ষের দাবি, ভারতে প্রথম বার এই ধরনের বিষয়ে স্নাতকোত্তর করার সুযোগ এল। প্রথম ব্যাচে আসন ৫০। ভর্তি হতে পারবেন যে কোনও ধরনের ম্যানেজমেন্ট পড়ে আসা কর্মরত পেশাদার। তবে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের কাজে অন্তত ১০ বছর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। নভেম্বর থেকে শুরু ক্লাস। চাকরির ক্ষতি না-করেই যাতে প্রার্থীরা ভারত ও আমেরিকায় নির্দিষ্ট ক্লাসরুম প্রশিক্ষণ নিতে পারেন, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা রয়েছে বলেও দাবি প্রতিষ্ঠানের।

চাকরি খোঁজার সুবিধার্থে
চাকরি প্রার্থীদের সুবিধার জন্য এ বার আইফোন, ব্ল্যাকবেরি ও অ্যান্ড্রয়েড ভিত্তিক সব স্মার্টফোনে ‘জব সার্চ অ্যাপস’ চালু করল ভারতের অন্যতম চাকরি সন্ধানের পোর্টাল নকরি ডট কম। থাকবে এইচটিএমএল-ফাইভ নির্ভর ওয়েবসাইটও। ফলে যে কোনও সময়, যে কোনও স্থান থেকে, যে কোনও অবস্থায় চাকরি খোঁজা ও চাইলে আবেদন করা সম্ভব হবে ওই ফোনগুলি থেকে।
পোর্টাল কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁদের ওয়েবসাইটে ঢুকে এক দিকে খুব সহজে নিজের প্রোফাইল তৈরি করা যাবে। অন্য দিকে, প্রার্থী পেশার ধরন, কাজের জন্য পছন্দের ভৌগলিক অঞ্চল, অভিজ্ঞতা, ন্যূনতম বেতনের চাহিদা ইত্যাদি শর্ত মিলিয়ে চাকরি খোঁজার সুযোগ পাবেন। পরবর্তীকালে সাইটটি আপনাআপনিই প্রথম বার উল্লেখ করা শর্ত মিলিয়ে সম্ভাব্য চাকরির খোঁজ দিতে থাকবে।

সংবাদপাঠের শিক্ষা
কলকাতার নিট্স ফিল্ম স্কুলে সংবাদ পাঠ ও সঞ্চালনায় ভর্তির নতুন মরসুম চালু হচ্ছে। যোগ্যতা হিসেবে প্রার্থীকে ন্যূনতম পক্ষে উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ হতে হবে। কর্তৃপক্ষের দাবি, কী ভাবে খবর পড়তে হয়, কী রকম হতে হয় স্বরক্ষেপণ ও বাচনভঙ্গি, সব কিছুই রয়েছে তাঁদের পাঠ্যক্রমে। ফোন: ৯৮৩১০-২৪৩০৯।

আপনার প্রশ্ন
বিশেষজ্ঞের উত্তর

প্রশ্ন: বাণিজ্যে সাম্মানিক স্নাতক। দূরশিক্ষায় এমবিএ করতে চাই। সে ক্ষেত্রে কি চাকরি পেতে অসুবিধা হতে পারে? জানালে উপকৃত হব।

উত্তর: খুব স্বাভাবিক ভাবেই দূরশিক্ষা পদ্ধতিতে এমবিএ করার সঙ্গে প্রচলিত পদ্ধতিতে নিয়মিত ক্লাস করে এমবিএ করার মধ্যে অনেকটাই পার্থক্য থেকে যায়। আর চাকরি দেওয়ার সময় এই পার্থক্যটা সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন থাকে বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থাও।
আসলে এখন বিশ্বায়নের যুগে বাণিজ্যিক সংস্থা কী পদ্ধতিতে পরিচালনা করতে হবে, সেটা শিখতে হলে বাস্তব সমস্যার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ তৈরি হওয়াটা খুব দরকার। কারণ সংস্থাগুলিকে এমন বহু জটিল অবস্থার মুখে পড়তে হয়, যেগুলির সমাধানসূত্র বার করতে হলে, এই ধরনের সমস্যাগুলি সামলানোর প্রশিক্ষণ হাতে-কলমে পাওয়াটা জরুরি হয়ে পড়ে। নিয়মিত ক্লাস করে এমবিএ পড়লেই কিন্তু এই সুযোগ সব থেকে ভাল ভাবে পাওয়া যায়। অর্থাৎ সরাসরি শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ, শিল্পমহলের বিভিন্ন ব্যক্তিত্বের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগের সুযোগ, শিক্ষকদের অভিভাবকত্বে হাতে-কলমে বিবিধ সমস্যার সমাধান-ভিত্তিক প্রশিক্ষণ, যা ভাল কেরিয়ার গড়ার পক্ষে অত্যন্ত জরুরি শর্ত এবং প্লেসমেন্ট এগুলি প্রচলিত পদ্ধতির এমবিএ-তেই একমাত্র সম্ভব। দূরশিক্ষা পদ্ধতির পাঠ্যক্রমে পুঁথিগত প্রশিক্ষণ মিললেও এই ধরনের সুযোগগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তেমন ভাবে মেলে না। তাই চাকরির বাজারে নিয়মিত এমবিএ পড়ুয়ারা যতটা এগিয়ে, দূরশিক্ষার্থীরা ততটা নয়। তবে কাজ করতে করতে, চাকরির প্রয়োজনে এমবিএ ডিগ্রি অর্জনের দরকার হলে দূরশিক্ষার কথা ভাবা যায়।

প্রশ্ন: স্পেশ্যাল ক্লাস রেলওয়ে অ্যাপ্রেন্টিস পরীক্ষা সম্পর্কে জানাবেন। পরীক্ষাটি দেওয়ার যোগ্যতা কী? কত বয়স পর্যন্ত বসা যায়? প্রস্তুতি কী ভাবে নেব।

উত্তর: স্পেশ্যাল ক্লাস রেলওয়ে অ্যাপ্রেন্টিস পরীক্ষাটির আয়োজন করে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (ইউপিএসসি)। জানুয়ারি নাগাদ পরীক্ষাটি নেওয়া হয়। যেমন, চলতি বছরে গত ২৯ জানুয়ারি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। অক্টোবর থেকেই এমপ্লয়মেন্ট নিউজ বা অন্যান্য দৈনিক খবরের কাগজে চোখ রাখুন। শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে ১০+২ স্তরে অঙ্ক এবং পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নের মধ্যে একটি থাকা প্রয়োজন। যাঁরা অঙ্ক নিয়ে স্নাতক, তাঁদের ক্ষেত্রেও ফিজিক্স বা কেমিস্ট্রির মধ্যে একটি বিষয় ১০+২+৩ স্তরে থাকা বাধ্যতামূলক। প্রসঙ্গত, ১০+২-এর পরীক্ষায় কিন্তু প্রথম বা দ্বিতীয় ডিভিশনের নম্বর থাকতে হবে। বয়স হতে হবে ১৭ থেকে ২১ বছরের মধ্যে।
পরীক্ষাটির দু’টি ভাগ। প্রথমটি ৬০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা। এটির আবার তিনটি পত্র। প্রতিটির জন্য দু’ঘন্টা করে বরাদ্দ। প্রথম পত্রে জেনারেল এবিলিটি টেস্টে ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান, মনস্তাত্ত্বিক নিরীক্ষণ মিলিয়ে ২০০ নম্বর। দ্বিতীয় পত্রে ২০০ নম্বরের ফিজিক্যাল সায়েন্স অর্থাৎ ফিজিক্স এবং কেমিস্ট্রি। তৃতীয় পত্রে ২০০ নম্বরের অঙ্ক। সব প্রশ্নই মোটামুটি ভাবে ১০+২ মানের এবং অবজেকটিভ ধরনের। ভুল উত্তরের জন্য নম্বর কাটা যায়। প্রথম ভাগ পেরোলে দ্বিতীয় ভাগের পার্সোনালিটি টেস্টে হাজির হওয়া যায়। সেটিতে সর্বোচ্চ ২০০ নম্বর। আবেদনপত্র ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানতে দেখে নিন www.upsc.gov.in ওয়েবসাইটটি।
পরীক্ষাটির জন্য আবেদন করতে হয় www.upsconline.nic.in ওয়েবসাইটটি থেকে। আগামী দিনে এই ওয়েবসাইটে নজর রাখবেন। পরীক্ষার তথ্যও পাবেন এখানে। রাজ্যে সংগঠিত ভাবে স্পেশ্যাল ক্লাস রেলওয়ে অ্যাপ্রেন্টিস পরীক্ষার প্রশিক্ষণ কোথাও দেওয়া হয় বলে জানা নেই। তবে, www.aryanclasses.com এবং Upscguide.com ওয়েবসাইট দু’টি দেখে নেবেন। কাজে লাগতে পারে।


আপনার প্রশ্ন বিশেষজ্ঞের উত্তর,
কাজের বাজার, ব্যবসা বিভাগ,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা- ৭০০০০১।

kajerbazar@abp.in



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.