আমাদের চিঠি
মেরামতি হয়নি, রাস্তা সেই দুর্গম
উত্তর চব্বিশ পরগনার দেগঙ্গা ব্লকের কলসুর ও চৌরাশি গ্রামপঞ্চায়েতের মধ্যে সাড়ে দশ কিলোমিটার রাস্তা প্রধানমন্ত্রীর গ্রাম-সড়ক যোজনা প্রকল্পে পাকা করা হয়। এতে কলসুরের দিক থেকে আড়াই কিলোমিটার এবং চৌরাশির জীবনপুর থেকে সাত কিলোমিটার মোট সাড়ে নয় কিলোমিটার রাস্তা মেরামত করা হয়েছে। কিন্তু সরদার পাড়ার কাছে, মাঝের এক কিলোমিটার রাস্তা আর মেরামত করা হয়নি।
কলসুর গ্রামের সরদার পাড়ার কাছে খানাখন্দে ভরা রাস্তা।
ব্যাপারটা উভয় দিকে যাঁরা রাস্তার কাজ নিয়েছিলেন সেই কন্ট্রাকটারদের চোখ এড়িয়ে গেল কী করে? জেলা বাস্তুকারের নজরও এড়ালো কী করে? অতিবর্ষণে এই রাস্তা চলাফেরার অযোগ্য হয়ে ওঠে। সমগ্র রাস্তাটাই খানাখন্দে ভরে গিয়ে দাঁত বের করে রয়েছে। যে কোনও সময় বড় রকম দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। অবিলম্বে রাস্তাটি মেরামত করা হোক।
বিপজ্জনক রাস্তা
বাঁকুড়ার রাইপুর ব্লকের যে রাস্তাটি চামটাবাইদ মোড় থেকে ঝাড়গ্রাম পর্যন্ত গিয়েছে, সেটি ক্রমশ খারাপ আকার নিচ্ছে। বিধানসভা ভোটের আগে রাস্তাটি মেরামত করা হয়েছিল। ওপর ওপর সামান্য মেরামতি ছাড়া তা আর কিছুই নয়। ফলে আবার বেহাল অবস্থা। মাল বোঝাই লরির জন্য ওই সংকীর্ণ রাস্তাটির অবস্থা আরও খারাপ। যাতায়াত করার জন্য একটিও সরকারি বাস নেই। বেসরকারি বাস সংখ্যায় নগণ্য। ফলে চরম ভোগান্তি ছাত্রছাত্রী ও নিত্যযাত্রীদের। বর্ষার সময় রাস্তার মাঝখানে ও দু’পাশে হাঁটু অবধি জল। বিপজ্জনক অবস্থায় গাড়ি চলাচল করে। যে কোনও মুহূর্তে বিপদ হতে পারে। বেহাল রাস্তাটি মেরামত করা হলে সকলে উপকৃত হবেন।
ভেবে দেখুন
বেশ কিছু দিন বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমগুলোতে সন্ধে হলেই বিশিষ্টদের মুখ দেখানোর হিড়িক পড়ে যায়। তা শিশুর ওপর অত্যাচার, ধর্ষণ কাণ্ড, ক্রিকেট খেলা, ফ্ল্যাটে ডাকাতি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উঠতি নেতাদের দাদাগিরিতে অধ্যক্ষকে পেটানো বিষয় যা-ই হোক না কেন, বিশেষজ্ঞরা মতামত দেন। সমস্যা হল, চিত্রতারকারা খোলামেলা পোশাকে চলে আসেন মত জাহির করতে। সব কিছুতেই তাঁরা বিশেষজ্ঞ মতামত দিয়ে থাকেন। আলোচনাটাই বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। বাচ্চাদের সামনে সংবাদ চ্যানেলগুলো খোলা যায় না। আর বিজ্ঞাপন প্রচার ভারতীয় ঐতিহ্য, সমাজ, সংস্কৃতি ভুলে বিশ্বায়িত হয়ে উঠছে। আমাদের রক্ষণশীল বা ব্যাকডেটেড ভাবুন ক্ষতি নেই, কিন্তু পরোক্ষে সমাজের ক্ষতি হচ্ছে না তো?
সংরক্ষণ নয়
এ রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজে পঠনপাঠনের ক্ষেত্রে আসনের ৫০% সংরক্ষিত থাকে। খুব ভাল কথা যে এই রাজ্যের সরকার পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের জন্য আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে চলেছেন বছরের পর বছর। এ ছাড়া রাজ্য সরকারের তরফ থেকে স্কলারশিপের ব্যবস্থাও থাকে। ছাত্রছাত্রীরা ধারাবাহিক ভাবেই এই সব সুযোগসুবিধা ভোগ করে চলেছে। তা হলে সরকারের প্রতিও তাদের দায়বদ্ধতা বেশি হওয়া উচিত। রাজ্য সরকার এমন নিয়ম বলবৎ করুন যাতে সংরক্ষিত আসনের সুবিধা নেওয়া ছাত্রছাত্রীরা গ্রামে যেতে বাধ্য থাকেন। অন্যথায় আইনের সাহায্যে যদি সরে যেতে চান তবে মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা দিতে হবে। যদি তা করা সম্ভব না হয়, তবে মেডিক্যাল-এ সংরক্ষণ নীতিটাই তুলে দেওয়া উচিত। এতে আর কিছু না হোক, চিকিৎসকের মান বাড়বে।
অন্যদের কথা ভাবুন
কাগজে প্রায়ই দেখতে পাই আমাদের রাজ্যে ডাক্তারের অভাব। সমস্যার মোকাবিলায় উন্নত প্রশিক্ষিত নার্স দিয়ে ডাক্তারের অভাব পূরণ করা হবে। শতবর্ষ পূর্বে সুইডেন এই পথ দেখায়। সুইডেনের পর ইউরোপের বহু দেশ এই পদ্ধতিতে সুফল পেয়েছে। এ রাজ্যে নার্সিংহোমে অ্যালোপ্যাথদের কাজের অভাব নেই। তাই তাঁরা গ্রামে যেতে চান না। অথচ হোমিয়োপ্যাথ ও আয়ুর্বেদিক ডাক্তাররা বেকার বসে থাকেন। রাজ্যের ছোট ছোট হাসপাতালে এঁদের নিয়োগ করা যেতে পারে। এতে সরকারের খরচ কমবে। ১৯৭২-এ পরীক্ষামূলক ভাবে হোমিয়োপ্যাথ নিয়োগ করা হয়। বর্তমানে রাজ্যের অসংখ্য হাসপাতালের হোমিয়োপ্যাথিক বহির্বিভাগ প্রশংসার দাবি রাখে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই বিষয়ে একটু নজর দেওয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। এর ফলে কম খরচে গরিব অসহায় মানুষ সত্যিই উপকৃত হবেন।
নিকাশি পরিষেবা বেহাল
ডায়মন্ড হারবার থানার অন্তর্গত ১১৭ নং হাইরোডের কপাটহাট মোড় থেকে হরিণডাঙ্গা পর্যন্ত এক কিমি পিচ রাস্তা অল্প বৃষ্টি হলেই ডুবে যায় যথাযথ নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায়। শুনেছি রাস্তাটি জেলা পরিষদের আওতাধীন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একান্ত অনুরোধ জানাচ্ছি, সত্বর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।
 



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.