নন্দীগ্রাম নিখোঁজ-কাণ্ডে ধৃত সিপিএম নেতা অমিয় সাউয়ের পাঁশকুড়ার বাড়িতে তল্লাশি চালাল সিআইডি। রবিবার দুপুরে ডিএসপি শিশির রায়ের নেতৃত্বে সিআইডি-র পাঁচ সদস্যের তদন্তকারী দল অমিয়বাবু এবং অন্য ধৃত সিপিএম নেতা অশোক গুড়িয়াকে নিয়ে পাঁশকুড়ায় পৌঁছয়। আজ, সোমবার দুই নেতাকে নিয়ে নন্দীগ্রাম যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে সিআইডি সূত্রের খবর। নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ায় অশোকবাবুর বাড়িতেও তল্লাশি চালাতে পারে সিআইডি। |
নন্দীগ্রাম নিখোঁজ-কাণ্ডে অভিযুক্ত প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ, অমিয়বাবু ও অশোকবাবু বর্তমানে সিআইডি হেফাজতে। নন্দীগ্রামের জমি-রক্ষা আন্দোলনের সমর্থকদের ‘নিখোঁজ’ হওয়ার ঘটনায় তদন্তে নেমে অভিযুক্ত দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে নন্দীগ্রামের জেলায় পৌঁছেছে সিআইডি। সিআইডি-র ডিআইজি (অপারেশনস) কারিয়াপ্পা জয়রামন বলেন, “ওই সময়কার ঘটনা পরম্পরা ঠিকমতো বুঝতেই অভিযুক্তদের সঙ্গে নিয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে।”
এ দিন বিকেলে সিআইডি পাঁশকুড়ায় পৌঁছয়। দু’টি আলাদা গাড়িতে ছিলেন সিপিএমের দুই নেতা। নিরাপত্তার কারণে লক্ষ্মণ শেঠকে সঙ্গে নেওয়া হয়নি বলে সিআইডি সূত্রের খবর। এ দিন প্রথমে পাঁশকুড়া পুরসভার পুরাতনবাজারে অমিয়বাবুর দো’তলা বাড়িতে যায় সিআইডি। প্রাক্তন বিধায়ক অমিয়বাবুকে সঙ্গে নিয়েই বাড়িতে ঢোকেন তদন্তকারীরা। বাড়িতে ছিলেন অমিয়বাবুর স্ত্রী মৌসুমীদেবী ও মেয়েরা। ঘণ্টা তিনেক জিজ্ঞাসাবাদ চলে। |
২০০৭ সালের ৪, ৬, ৮ ও ১০ নভেম্বর অমিয়বাবু কোথায় ছিলেন, বাড়িতে কী বলেছিলেন, তা মৌসুমীদেবীর কাছে জানতে চান তদন্তকারীরা। পরে তল্লাশির সময় ‘সাক্ষী’ হিসেবে সেখানে ডেকে নেওয়া হয় প্রতিবেশী এক দম্পতিকে। অমিয়বাবুর বাড়ি থেকে সিমকার্ড বিহীন একটি মোবাইল, দু’টি মোবাইলের বাক্স এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র মিলেছে বলে সিআইডি সূত্রের দাবি। তল্লাশি পর্বের সময় বাড়ির বাইরে গাড়িতে ছিলেন অশোক গুড়িয়া। ধৃত দুই সিপিএম নেতা কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে চাননি। ওই বাড়ির কাছেই সিপিএমের জোনাল অফিস। দীর্ঘ ১৬ বছর জোনাল সম্পাদক ছিলেন অমিয়বাবু। এ দিন অবশ্য কার্যালয়টি বন্ধ ছিল। সিআইডি-ও সেখানে যায়নি।
রবিবার সন্ধ্যায় দু’জনকে নিয়ে হলদিয়া পৌঁছয় সিআইডি। হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে তাঁদের ডাক্তারি পরীক্ষা হয়। পরে দুই অভিযুক্তকে নিয়ে দুর্গাচক থানায় যায় সিআইডি। সোমবার দুই নেতাকে নিয়ে নন্দীগ্রাম যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সিআইডি-র। |