|
|
|
|
সম্পাদক সমীপেষু... |
এত আত্মহত্যা কেন? |
আত্মহত্যা করে অকালে নিজের জীবনকে স্তব্ধ করে দেওয়ার প্রবণতা ছোঁয়াচে রোগের মতো ছড়িয়ে পড়ছে তামাম কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে। অত্যধিক মাত্রায় ফেসবুক, ইন্টারনেট আর মোবাইল (আজকালকার ছেলেমেয়েরা সারা রাত নাকি পড়াশোনা নিয়ে আলোচনা করে মোবাইল ফোনে!) ব্যবহার করার ফলে মস্তিষ্কে এমন কিছু অস্বাভাবিকতা তৈরি হচ্ছে, যাতে তাদের নিজস্ব সত্তা, আত্মবিশ্বাস, স্থিরতা সব কিছু ধীরে ধীরে লোপাট হয়ে যাচ্ছে। সামান্য একটু প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়লেই তার চাপ নেওয়ার ক্ষমতা বা সেটাকে কাটিয়ে ওঠার ক্ষমতা হারাচ্ছে তারা। আর এখনই বিশ্বসংসার থেকে একেবারে ‘পালিয়ে যাওয়া’ ছাড়া আর কোনও পথই তারা খুঁজে পাচ্ছে না।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (হু) সমীক্ষা করে দেখেছে, সারা বিশ্বে প্রতি চল্লিশ সেকেন্ডে একজন করে এই পথ বেছে নিচ্ছে। তাদের আশঙ্কা ২০২০-তে এই হার বেড়ে দাঁড়াবে প্রতি কুড়ি সেকেন্ডে একজন। আর এই আত্মহত্যার প্রবণতা সবথেকে বেশি ভারত ও চিনে। সুতরাং এখনই সময় এসেছে আমাদের সচেতন হওয়ার। এর জন্য বাড়িতে বাবা-মা তো আছেনই, সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেও সমান দায়িত্ব নিতে হবে। প্রত্যেক স্কুল-কলেজে ছাত্রছাত্রীদের কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করতে হবে। অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের মনে দৃঢ়তা বৃদ্ধি ও পরিবারের প্রতি দায়িত্ববোধ জাগানোর জন্য ‘আত্মহত্যা এক মানসিক ব্যাধি’ অথবা ‘আত্মহত্যার ফলে পরিবারের বাবা-মা, অন্যান্যদের অসহায় অবস্থা’ এই বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিশেষ শিক্ষার ব্যবস্থা চালু করা খুবই প্রয়োজন। স্কুলে স্কুলে ছোট ছোট শিশুদের মগজে এই কথাই বীজমন্ত্রের মতো গেঁথে দিতে হবে যেবাবা-মায়েরা কত কষ্ট করে, জীবনের নানান ত্যাগস্বীকার করে, তিলতিল করে তাদের বুক দিয়ে আগলে মানুষ করে তোলেন। যত দিন তাঁরা বাঁচবেন, তাঁদের দেখভাল করার দায়িত্ব তোমাদেরই। বৃদ্ধ হলে বাবা-মায়ের নিশ্চিন্ত আশ্রয় তোমরাই। আমার মনে হয়, সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি এই বিশেষ ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার মাধ্যমে ছাত্র সমাজকে সচেতন করে তুলতে পারে, তা হলে অবশ্যই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আত্মহননের অপচেষ্টা অনেকটাই কমানো যাবে। একজন ছাত্র হিসাবে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, আপনি এই ব্যাপারে একটু সচেতন হন। এই বিশেষ ধরনের শিক্ষাদানের মাধ্যমে সমগ্র ছাত্রসমাজকে এই মারণ-খেলার হাত থেকে বাঁচান। |
ঐশিক চট্টোপাধ্যায়। বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, চতুর্থ বর্ষ, দমদম
|
অযত্নে রামকিঙ্করের স্থাপত্য |
এ বার বসন্ত উৎসবে গিয়েছিলাম শান্তিনিকেতনে। শুধু দোলের রঙে রঙিন হতে নয়, কবিগুরুর বিশ্ববন্দিত শান্তিনিকেতনকে আরও একবার ভাল করে দেখতে। দোলের আগের দিন সকালে কলাভবন ও সংগীতভবন চত্বরটা ঘুরে দেখতে গিয়ে দেখলাম, প্রণম্য শিল্পী রামকিঙ্করের স্থাপত্য-শিল্পকর্মগুলি প্রচণ্ড ধুলো ও মাকড়সার জালে ভরা। কলাভবনের দেওয়াল- চিত্রগুলিতে উইয়ের ঢিবি। রামকিঙ্করের স্থাপত্যের সামনে লোহার রেলিং এক দিকে ভাঙা। নোবেল চুরির পরেও কর্তৃপক্ষ এত উদাসীন! বসন্ত উৎসবে দেশ-বিদেশের এত অতিথি আসেন, তাঁরাই বা কী বার্তা নিয়ে যাবেন? |
অপর্ণা মুখোপাধ্যায়। কলকাতা-৪৮
|
উত্তরপাড়া স্টেশনে
গাছ কাটা চলছে |
উত্তরপাড়া রেল স্টেশনে কয়েক দিন ধরেই বড় বড় গাছ কাটার কর্মযজ্ঞ চলছে। ধরাশায়ী মহীরুহের শাখায় বসন্তের নতুন পাতাগুলি যেন করুণ চোখে তাকিয়ে আছে। বারো কোচের লোকাল ট্রেনগুলির জন্য শেড বানানোর উদ্দেশ্যেই এই বৃক্ষনিধন। দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, অ্যাসবেসটাসের শেডের নীচে বসা গরমের দিনে অসহ্য মনে হয়। তার বদলে বড় বড় গাছের ছায়ায় বসলে অনেক আরাম পাওয়া যায়। কর্তৃপক্ষ হয়তো বর্ষাকালে যাত্রীদের মাথা বাঁচানোর জন্য লম্বা শেডের ব্যবস্থা করছেন। তা করুন, কিন্তু এ ভাবে প্রাণবন্ত গাছগুলিকে হত্যা করে? কোনও ভাবেই কি গাছ বাঁচিয়ে শেড করা যায় না? উত্তরপাড়ায় কম করেও চার-পাঁচটি বিশাল বিশাল বৃক্ষ-ছেদন হয়েছে। বালি, বেলুড়, লিলুয়ার সবুজ বড় বড় গাছগুলি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আগে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। |
সীমা রায়। উত্তরপাড়া, ভদ্রকালী, হুগলি
|
বাংলা নেই |
জাতীয় সড়ক ৬ নম্বরের পাশে স্থান নির্দেশক যে-সব ফলক লাগানো হয়েছে, তাতে সব লেখাই আছে হিন্দিতে এবং ইংরেজিতে। এমনকী জরুরি ফোন নম্বরগুলিও লেখা আছে শুধু হিন্দিতে। দেশটা পশ্চিমবঙ্গ, কিন্তু কোথাও বাংলা লেখা নেই। তবে একটা মজার ঘটনা দেখলাম বসন্তপুরে। বসন্তপুরে যে-ফলকটি আছে, তার উপরে কে বা কারা আলকাতরা লেপে দিয়েছে। মনে হয়, এটা কোনও বাংলাভাষাপ্রেমীর কাজ। কেন্দ্রীয় সরকারের ত্রিভাষা সূত্র ন্যাশনাল হাইওয়ের ক্ষেত্রে কাজ করেনি কেন, সেটাই জানতে চাই। |
সঞ্জয় চৌধুরী। ইন্দা, খড়্গপুর |
|
|
|
|
|