মনমোহন-গিলানি বৈঠকের চেষ্টা সোল সম্মেলনে
দ্বিতীয় পরমাণু সুরক্ষা শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে কথা হতে পারে ভারত এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর। এই সম্মেলনে মনমোহন-গিলানির কোনও আনুষ্ঠানিক বৈঠক না থাকলেও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের দেওয়া নৈশভোজের ফাঁকে বা অন্যত্র তাদের সৌজন্য-সাক্ষাতের সম্ভাবনা কোনও তরফেই উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। গিলানি দেশে ফিরছেন বুধবার, তবে মনমোহন সোল থেকে রওনা দিচ্ছেন মঙ্গলবার বিকেলেই। সূত্রের খবর, তার মধ্যেই একটা বৈঠকের চেষ্টা করছেন দুই দেশের অফিসাররা।
তবে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রী গিলানির বৈঠক হবে। তার আগে গিলানি দাবি করেছেন, পাকিস্তানের উন্নতির জন্য অসামরিক পরমাণু প্রযুক্তি চান তিনি। গিলানির কথায়, “ভারতের সঙ্গে আমেরিকার এই বিষয়ে চুক্তি হয়েছে। ফলে দক্ষিণ এশিয়ার শক্তি-ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়েছে। পাকিস্তান যতদিন না ভারতের সমান শক্তিশালী হয়ে উঠছে ততদিন এই ভারসাম্য ফিরবে না।” সম্মেলন শুরু হওয়ার আগেই সোলে উপস্থিত রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছে পরমাণু শক্তি বর্জনের আবেদন জানাতে বিক্ষোভ দেখায় দক্ষিণ কোরিয়ার পরিবেশ কর্মীরা।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিউং বাকের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। সোলে রবিবার। ছবি: এ পি
আজ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিউং বাকের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। দু’দেশের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক বাড়ানোর জন্য এ দিন সমঝোতা হয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের সামরিক বিনিময় এবং প্রযুক্তিগত আদানপ্রদানের মাধ্যমে উন্নত অস্ত্র উৎপাদনের প্রস্তাবেও একমত হন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। দক্ষিণ কোরিয়ার কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণে সাহায্যও করবে নয়াদিল্লি। এই বছরের দ্বিতীয়ার্ধে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম কোয়ান-জিন ভারতে আসবেন বলেও জানানো হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থাগুলিকে ভারতে আরও বেশি করে বিনিয়োগ করার আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। পাশাপাশি দু’দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য ভিসার নিয়ম সরলীকরণের জন্যও একটি চুক্তি সই হয়েছে। কোরীয় উপকূলে শান্তিরক্ষার জন্য পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়েও আলোচনা হয়। কূটনৈতিক মহলের মতে, দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চিনের আধিপত্যের পরিপ্রেক্ষিতেই ভারত ওই অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চাইছে।
এ দিন উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি প্রসঙ্গে চিনকে কটাক্ষ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তাঁর মতে, উত্তর কোরিয়াকে সংযত করতে বেজিঙের আরও সক্রিয় হওয়া উচিত ছিল। এ ছাড়া, তাঁর মন্তব্য, “কে যে উত্তর কোরিয়া চালাচ্ছে, তা বলা মুশকিল।” গত বছরই বাবার মৃত্যুর পরে দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন কিম জং ইন। তবে দেশের ভিতরে একটা ক্ষমতার লড়াই চলছে বলেও মনে করা হচ্ছে। এরই মধ্যে উত্তর কোরিয়া নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ইঙ্গিত দেওয়ায় উত্তেজনা বেড়েছে। এ ব্যাপারে ওবামার পাশাপাশি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মনমোহনও।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.