|
|
|
|
পিতাপুত্রীর মৃত্যু ঘিরে থানায় আগুন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
পথ দুর্ঘটনায় পিতাপুত্রীর মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল বৈশালী জেলার মহুয়া থানা এলাকায়। কাল রাতের ওই দুর্ঘটনার খবর মুখে মুখে এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মারমুখী জনতা আজ সকালে চড়াও হয় থানায়। ছোড়া হয় ইটপাটকেল। ক্ষিপ্ত জনতার লাগানো আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় থানার যাবতীয় নথিপত্র। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়িও। বাধা দিতে গিয়ে মার খান পুলিশ কর্মীরা। জনতার ছোড়া ইটের ঘায়ে থানার ওসি-সহ পাঁচ পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে শেষে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। হাঙ্গামার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান জেলার পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসক। এসপি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।
পুলিশ জানিয়েছে, কাল রাত ১০টা নাগাদ মহুয়াবাজার এলাকায় একটি ট্রাক্টর ধাক্কা মারে ভাদুই সাহানি (৩৫) এবং তাঁর মেয়ে ছোটি কুমারীকে (১২)। ঘটনাস্থলেই মারা যায় ছোটি এবং হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার বাবা ভাদুইয়ের। একই সঙ্গে গুরুতর জখম হন সোনেলাল নামে আরও এক পথচারী। তাঁকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুর্ঘটনার পরই বিপদ বুঝে ট্রাক্টরচালক পালিয়ে যায়। ট্রাক্টরটি পুলিশ আটক করেছে।
রাতের এই ঘটনার কথা আজ সকালে এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই মৃতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দান ও দোষী চালককে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে দলে দলে লোক থানায় চড়াও হন। ইটের ঘায়ে জখম হন থানার ওসি অঞ্জনি কুমার ঝা। জখম হন আর চার পুলিশকর্মী। পুল্শি সুপার উপেন্দ্র সিংহ পরে বলেন, “পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। কী ভাবে ঘটনা ঘটল তা নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। চালক পলিয়ে গিয়েছে। গাড়িটি আটক করা হয়েছে।” |
|
|
 |
|
|