|
|
|
|
লক্ষ্মণকে ‘বিশেষ সুবিধা’, বদলি হলদিয়ার এএসপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
হলদিয়া আদালতে হাজির করানোর দিন নন্দীগ্রাম নিখোঁজ-কাণ্ডে ধৃত প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠকে ‘অতিরিক্ত সুবিধা’ দেওয়ার অভিযোগে বদলি হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হলদিয়া) নীলাদ্রি চক্রবর্তী। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, লক্ষ্মণবাবুকে আদালতের লক-আপে ‘অতিরিক্ত সুবিধা’ দেওয়া নিয়ে নীলাদ্রিবাবুর বিরুদ্ধে সিআইডি-র তদন্তকারী-দলের পক্ষ থেকে রাজ্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলে অভিযোগ করা হয়েছিল। তার প্রেক্ষিতেই তাঁকে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের দ্বিতীয় ব্যাটেলিয়নের ডেপুটি কমান্ডান্ট পদে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়।
নীলাদ্রি চক্রবর্তী |
বুধবার রাতে জেলায় ওই নির্দেশ এসে পৌঁছয়। বৃহস্পতিবার সকালে জেলায় আসেন আইজি (সদর) এম কে সিংহ। পুলিশ সুপার-সহ জেলার পুলিশ-কর্তাদের সঙ্গে তিনি দীর্ঘক্ষণ বৈঠকও করেন। তবে বৈঠকের বিষয় বা অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে বদলির নির্দেশ সংক্রান্ত ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাননি তিনি। নীলাদ্রিবাবুর বক্তব্য, “যাই নির্দেশ হোক, তা পালন করব।” সিআইডি-র তদন্তকারী-দলের অভিযোগ, সে দিন আদালতের লক-আপে লক্ষ্মণবাবুর জন্য আলাদা ভাবে খাবারের ব্যবস্থা করেছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। অথচ লক-আপের সব বন্দির জন্য এক ধরনের খাবারের ব্যবস্থা করাই রীতি। লক্ষ্মণবাবুর সঙ্গে দেখা করতে আসা তাঁর স্ত্রী, পুত্র, পুত্রবধূ এবং হলদিয়ার একাধিক সিপিএম নেতাকে ‘রেকর্ড সেকশনে’ বসার ব্যবস্থাও করে দিয়েছিলেন ওই পুলিশ অফিসার। অথচ এ ধরনের বিশেষ ‘আতিথেয়তা’র কোনও সুযোগ নেই আইনে।
সিআইডি-র তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘সমন্বয়’ রেখে চলেননি বলেও অভিযোগ উঠেছে। সিআইডি সূত্রের দাবি, ওই পুলিশ অফিসারের আচরণ থেকে পরিষ্কার, প্রাক্তন সাংসদের প্রতি তিনি ‘দুর্বল’। নন্দীগ্রাম নিখোঁজ-কাণ্ডে এক দফা চার্জশিটের পরেও সিআইডি তদন্ত চালাচ্ছে। এই অবস্থায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্তের প্রতি ‘দুর্বল’ কোনও অফিসার হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকলে তদন্তের ক্ষেত্রে ‘সমস্যা’ হতে পারে বলে তদন্তকারী দলের দাবি। আজ, শুক্রবারই ফের লক্ষ্মণবাবুদের হলদিয়া আদালতে হাজির করানোর কথা সিআইডি-র। |
|
|
|
|
|