|
|
|
|
শংসাপত্র পেতে নকল নথি পেশের অভিযোগ খড়্গপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
তফসিলি জাতি, উপজাতি, ওবিসি শংসাপত্র পেতে নকল-নথি পেশের অভিযোগ উঠল আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে। দু’-একটি নয়, এ-রকম ১৯টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। নথি পরীক্ষা করতে গিয়ে তা নজরে পড়ে খড়্গপুর মহকুমাশাসকের দফতরের কর্মীদের। তার পরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। শুরু হয় তদন্ত। আবেদনকারীদের শুনানিতে ডাকা হয়। আর তখনই পিঠটান দেন আবেদনকারীরা। মাত্র ২ জন বাদে বাকি কেউই শুনানিতে হাজির হননি। বাকি ১৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
খড়্গপুরের মহকুমাশাসক সুদত্ত চৌধুরী বলেন, “যে-সব ব্লক থেকে ওই আবেদনগুলি এসেছিল সেই বিডিওদের নির্দেশ দিয়েছি যাতে ওই আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।” প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুনানিতে হাজির হওয়া দুই ব্যক্তি প্রশাসনের কাছে দাবি করেছেন যে, জাল নথির ক্ষেত্রে একটি চক্র কাজ করছে। তারাই শংসাপত্র করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। ওই চক্রের সঙ্গে জড়িত দু’জনের নামও পেয়েছে প্রশাসন। মহকুমাশাসক বলেন, “শীঘ্রই ওই চক্রের লোকজনকে ধরার জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”
কী ভাবে মিথ্যা নথি পেশ করেছিলেন আবেদনকারীরা? প্রশাসনিক সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগে শংসাপত্র পেয়েছিলেন এমন কয়েক জনের শংসাপত্রের ফোটোকপি তৈরি করে শংসাপত্রে থাকা প্রাপকের নামের জায়গায় নিজের বাবার নাম লিখে নিয়েছিলেন আবেদনকারীরা। ফের তার ফোটোকপি তৈরি করা হয়। যা দেখে আসল-নকল প্রায় ফারাক করাই যায় না। বাবার নামে শংসাপত্র থাকলে সন্তানেরও পাওয়ার সুবিধা। সেই সুযোগটাই ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন ওই আবেদনকারীরা। কিন্তু একটি আবেদনপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি নথি নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। ওই আবেদনপত্রের সব নথিই পরীক্ষা করা শুরু হয়। তখনই জালিয়াতি ধরা পড়ে।
কিন্তু কেন এই কাজ করলেন আবেদনকারীরা? তা জানতেই ১৯ জনকে শুনানিতে ডাকা হয়। কিন্তু দু’জন ছাড়া কেউই আসেননি।
এখন প্রশ্ন উঠেছে, আগেও কি এ-ভাবে বেরিয়ে গিয়েছে কিছু শংসাপত্র! সামগ্রিক তদন্তেরই নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। |
|
|
|
|
|