ওসামার তৃতীয় স্ত্রী, ইয়েমেনের বাসিন্দা আমল আব্দুলফাতার সঙ্গে তাঁর ভাই, জাকারিয়া আহমেদ আব্দালফাতাকে আজ দেখা করার অনুমতি দিয়েছে পাকিস্তানের এক আদালত। জাকারিয়ার দাবি, পাক কর্তৃপক্ষ বোন এবং বোনের সন্তানদের সঙ্গে তাঁকে দেখা করতে দিচ্ছিলেন না। পাক হাইকোর্টে এই মর্মে আবেদন জানালে, বোনের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পান জাকারিয়া। অ্যাবটাবাদের ঘাঁটিতে, মার্কিন বাহিনীর আক্রমণে ওসামার মৃত্যু হলেও গুরুতর আহত হন আমল। তার পর থেকেই গৃহবন্দি তিনি। জাকারিয়া আদালতে জানান, পাক কর্তৃপক্ষ কথা দেওয়া সত্ত্বেও আমল এবং তাঁর সন্তানদের তাঁর হাতে তুলে দেয়নি। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রেহমান মালিক অবশ্য বলেন, ওসামার তিন স্ত্রী এবং তাঁদের সন্তানদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানে বেআইনি ভাবে প্রবেশের অভিযোগ রয়েছে। তাই, আদালত এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত না নিলে তাঁরা পাকিস্তান ছেড়ে যেতে পারবেন না।
|
পাকিস্তানে ‘সম্মান রক্ষার’ নামে গত বছর ৯০০ জনেরও বেশি মহিলাকে খুন করা হয়েছে। পারিবারিক হিংসার শিকার হন সাড়ে চার হাজার মহিলা। এ কথা জানিয়েছে পাক মানবাধিকার কমিশন। তাদের হিসেব অনুযায়ী, ‘সম্মান রক্ষার’ নামে ৯৪৩ জন মহিলাকে খুন করা হয়েছে। অবৈধ সম্পর্ক ও নিজেদের পছন্দের মানুষকে বিয়ে করতে চাওয়ায় খুন হয়েছেন ৮১৪ জন। নিহতদের মধ্যে ৫৫৭ জন মহিলা বিবাহিতা। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যেও ‘সম্মান রক্ষায়’ খুনের ঘটনার সন্ধান পেয়েছেন মানবাধিকার কমিশনের স্বেচ্ছাসেবীরা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই খুনের আগে মহিলাদের ধর্ষণ করা হয়েছে। বেড়েছে পারিবারিক হিংসার ঘটনাও। এই ধরনের ঘটনার শিকার মহিলারা প্রায় সকলেই বিবাহিতা। অপরাধীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাঁদের স্বামী বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। পারিবারিক হিংসা রোধে কোনও আইন নেই পাকিস্তানে।
|
পুলিশের সঙ্গে টানা বত্রিশ ঘণ্টা লড়াইয়ের পর মারা গেল আল-কায়দাপন্থী মহম্মদ মেরহা। সম্প্রতি দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সে তিনটি হামলার ঘটনায় মারা যায় তিন জন শিশু-সহ সাত জন। পুলিশের দাবি সব কটি হত্যাকাণ্ডই ঘটিয়েছে মহম্মদ মেরহা। গত কাল বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘিরে ফেলে তার আবাসন চত্বর। তার পর থেকেই চলেছে ক্রমাগত গুলির লড়াই। ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী ক্লোদ গুয়েন্ত জানান, প্রথমে আত্মসমর্পণ করবে বলেও জানালেও বহু ক্ষণ মেরহার সাড়া পায়নি পুলিশ। তখন ভিতরে ঢোকার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। সে সময় জানলা দিয়ে লাফ দেয় সে। তখনও হাতে ধরা দুটি আগ্নেয়াস্ত্র থেকে ক্রমাগত গুলি ছুড়তে থাকে সে। উল্টো দিক থেকে আসা পুলিশের ঝাঁক ঝাঁক গুলির মাঝে মাটিতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে। দু’পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াইয়ে আহত হয়েছেন দুই জনে পুলিশও। গত কাল তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে পুলিশকে মহম্মদ মেরহা জানায়, সে আল-কয়দার ভাবধারায় অনুপ্রাণিত। এমনকী পাক জঙ্গি ঘাঁটি ওয়াজিরিস্তানে প্রশিক্ষণও হয়েছে বলে দাবি করে মেরহা। প্যালেস্তাইনে শিশু হত্যা ও আফগানিস্তানে ফরাসি সেনার দমননীতির প্রতিবাদেই এই কাজ করেছে সে।
|
হঠাৎই হাসপাতালে ঢুকে গুলি চালাতে শুরু করলেন বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তি। ঝাঁঝরা হয়ে গেলেন ন’জন। আজ চিনের শানসাই প্রদেশের শিয়ানে এই ঘটনা ঘটেছে। নিহতেরা ওই হাসাপাতালের রোগী ও কর্মী। |