সদ্য বিজয় হাজারে ট্রফি জয়ী অধিনায়ক ইতিমধ্যেই ঠিক করে ফেললেন পরবর্তী স্টেশন। আইপিএল ফাইভ। এখন থেকেই প্রতিটি টিম নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে কাটাছেঁড়া। এবং পুণে ওয়ারিয়র্স অধিনায়কের আইপিএল প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাচ্ছে ২৮ মার্চ। যে দিন পুণের নবনির্মিত স্টেডিয়ামে বসছে সহারা পুণে ওয়ারিয়র্সের সপ্তাহব্যাপী শিবির। “ক্যাম্পে বুঝে যাওয়া যাবে, কে কী রকম কন্ডিশনে আছে,” বুধবার দুপুরে মধ্য কলকাতার এক পাঁচ তারা হোটেলে বসে বলছিলেন সৌরভ। যিনি এ দিনই যুক্ত হলেন স্বাস্থ্য বিমা সংস্থা অ্যাপোলো মিউনিখের সঙ্গে।
উপলক্ষ্য স্বাস্থ্য বিমা সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হওয়া হতে পারে, কিন্তু নায়ক যদি ক্রিকেটাড্ডার মেজাজে থাকবেন, বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি তো থাকবেই। প্রথাগত সাংবাদিক সম্মেলন শেষে আনন্দবাজারকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বেরোল সে সব। যেমন বললেন, “আমাদের টিম বেশ ভাল হয়েছে। যুবরাজকে নিশ্চয়ই সবাই মিস করব। কিন্তু বাকিরা যারা আছে, তারা কম যায় না।” প্রথম ম্যাচেই সৌরভের প্রতিপক্ষ সচিন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে খেলতে হবে মুম্বইয়ে। আর ইতিমধ্যেই সৌরভ জেনে গিয়েছেন ওই ম্যাচে পাবেন না শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথেউজকে। “প্রথম ম্যাচটা বাদ দিলে বাকি ম্যাচগুলোয় পাওয়া যাবে ম্যাথেউজকে”, বলছিলেন তিনি। |
গ্রেম স্মিথের সঙ্গে তিনিই ওপেন করবেন ঠিক হয়ে আছে আর তাঁর টিমের বোলিংটাও শুরু করবে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা জুটি। অশোক দিন্দা এবং ওয়েন পার্নেল। বিদেশি হিসেবে জেমস হোপস, মার্লন সামুয়েলস, ক্যালাম ফার্গুসন থাকছেন আর অন্যতম ভরসা লেগ স্পিনার রাহুল শর্মা। কথায় কথায় উঠল ইডেনে ৫ মে কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম পুণে ওয়ারিয়র্স ম্যাচ। সঙ্গে সঙ্গে হাসেন, “এই প্রশ্নটা আসবেই। কেকেআর-এ তিন বছর খেলেছি আমি, যখন খেলেছি নিজের মন প্রাণ উজাড় করে দিয়েই খেলেছি। সব সময় একশো শতাংশই দিয়েছি। আইপিএলের ব্যাপারটাই এমন, পরিস্থিতির চাপে অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলতে হতেই পারে। দ্রাবিড়কে তো রাজস্থানের হয়ে খেলতে হবে, গম্ভীর যেমন খেলছে কলকাতার হয়ে। আমার ক্ষেত্রে টিম বদলটা কেন, কেকেআর সমর্থকদের এটা বুঝতে হবে।” কী বলতে চাইছেন? সৌরভ হাসলেন, “কিছুই বলছি না। শুধু বলছি, ওই ম্যাচের আগে আশা করি বেশ কয়েকটা ম্যাচ জিতে থাকব আমরা। ইডেনে নিশ্চয়ই জিততে চাইব।”
আইপিএল থেকে সামান্য ঘুরে গিয়ে উঠল রাহুল দ্রাবিড় প্রসঙ্গ। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে টেস্ট সিরিজে কে খেলবেন তিন নম্বরে? ‘বিরাট কোহলি’ বলেই ফের ভাবেন সৌরভ। “না না, এত তাড়াতাড়ি ভাবা ঠিক নয়। পূজারা, রোহিত আছে, মনোজ আছে।” বলা হল, মনোজ তো অপেক্ষা করেই চলেছেন? এ বার ইঙ্গিতপূর্ণ হাসি সৌরভের। “এটাই ভারতীয় ক্রিকেট। মনোজের কাজ হবে অপেক্ষা করা, তা সে অপেক্ষা যতই লম্বা হোক। আর একটা সুযোগ পেলে সেটাকে কাজে লাগানো।” আইপিএলের ঠিক আগে টি-টোয়েন্টিতে বাংলার ক্যাপ্টেন্সিটা ছাড়ছেন কেন? “নাহ, আর নয়। ক্যাপ্টেন্সি ছাড়লে কী হবে, প্লেয়ার হিসেবে তো খেলব,” বলছেন তিনি।
তা হলে আর একটা ট্রফি আসছে বাংলার ঘরে এবং আগামী বছর রঞ্জি.....এ বার থামিয়ে দিয়ে সৌরভ, “থাক থাক, ও সবের অনেক দেরি আছে।” |