টুকরো খবর
ভাঙাচোরা রাস্তা, সমস্যায় বাসিন্দারা
বেহাল ইটের রাস্তার পরিবর্তে গ্রামবাসীরা দাবি তুললেন পাকা রাস্তার। ঘটনাটি হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের খাঁদারঘাট এলাকার। এখান থেকে মাজু পর্যন্ত রাস্তার দৈর্ঘ্য প্রায় চার কিলোমিটার। বছর পঁচিশ আগে রাস্তাটিতে জেলা পরিষদের উদ্যোগে ইট পাতা হয়েছিল। তার পরে আর মেরামতির কাজে হাত পড়েনি। রাস্তার বেশ কিছু এলাকা পুকুরের পাড়ে হওয়ায় সেই সব অংশ ভেঙে তলিয়ে গিয়েছে পুকুরে। এ ছাড়াও অনেক জায়গায় ইট উঠে গিয়েছে। অবশ্য মাজু গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে রাস্তাটি মেরামত করা হয় বলে জানালেন প্রধান নীলোৎপল কর। তবে গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এটা জোড়াতালি ছাড়া কিছুই নয়। রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ। ১০টি গ্রামের বাসিন্দারা এই রাস্তার উপর দিয়ে চলাচল করেন। মাজু আর এন বসু হাইস্কুল, মাজু গার্লস হাইস্কুল, মাজু প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্থানীয় গ্রন্থাগার, স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রভৃতিতে যাতায়াত করার এটিই হল একমাত্র পথ। অথচ রাস্তাটি মেরামতি বা এটিকে পাকা করার কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। স্থানীয় কংগ্রেস নেতা অলিপ খাঁ বলেন, “২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পে রাস্তাটি পাকা করার কথা হয়েছিল। কিন্তু এর পরে প্রায় দু’বছর কেটে গেলেও কোনও কাজই হল না।” যদিও এ ব্যাপারে তাঁদের কাছে কোনও তথ্য নেই বলে জানালেন জেলা পরিষদের পূর্ত সংক্রান্ত কর্মাধ্যক্ষ আনন্দ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এই রাস্তাটি প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পে করার কোনও প্রস্তাবের কথা আমার জানা নেই।” এই পরিস্থিতিতে গ্রামবাসীরা পড়েছেন বেশ সঙ্কটে। এক পথচারী মৌমিতা চক্রবর্তী বলেন, “ভাঙাচোরা এই রাস্তার উপর দিয়েই আমাদের প্রতিদিন চলাচল করতে হয়। বর্ষাকালে তো এই রাস্তার উপর দিয়ে যাতায়াত করা যায় না।”

কানে মোবাইল, যুবকের প্রাণ কাড়ল ট্রেন
মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে হাঁটা বন্ধ করতে লাগাতার প্রচার চললেও মানুষের সচেতনতা যে বাড়েনি, ফের তার প্রমাণ মিলল বুধবার। রামরাজাতলা স্টেশনের লেভেল ক্রসিংয়ে দাঁড়িয়ে মোবাইলে কথা বলার সময়েই ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক যুবকের। রেল পুলিশ জানায়, মৃতের নাম বাদল দাস (৩০)। তিনি ধাড়সার বাসিন্দা। পেশায় রাজমিস্ত্রি। দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রের খবর, ওই যুবক লেভেল ক্রসিংয়ের একেবারে মাঝখানে দাঁড়িয়ে মোবাইলে কথা বলছিলেন। ছুটে আসছিল ডাউন জগন্নাথ এক্সপ্রেস। ওই যুবককে বিপজ্জনক ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ট্রেনচালক বারবার হুইসল দেন। লেভেল ক্রসিংয়ের গেটম্যানও চিৎকার করে ওঠেন। কিন্তু বাদল সরে যাননি। ট্রেনটি এসে সজোরে তাঁকে ধাক্কা মারে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রেনের ধাক্কায় ওই যুবক প্রায় ৩০ ফুট দূরে প্ল্যাটফর্মের উপরে গিয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এ দিনই সকালে বেলঘরিয়া রেলসেতুর উপরে মোটরবাইক দুর্ঘটনায় চালকের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন মোটরবাইকের অন্য এক আরোহী। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম কণিষ্ক চট্টোপাধ্যায় (২০)। রেলসেতু দিয়ে যাওয়ার সময় একটি লরিকে পাশ কাটাতে গিয়ে রেলিংয়ে ধাক্কা মারেন কণিষ্কবাবু। মোটরবাইক থেকে ছিটকে পড়ে লরির চাকায় পিষে যান তিনি। লরিটিকে আটক করা হয়েছে।

মাটি খুঁড়ে উদ্ধার খুলি
নিজস্ব চিত্র।
খাল সংস্কারের কাজে মাটি খুঁড়তে গিয়ে একটি খুলি উদ্ধার হল। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের আতাপুর গ্রামে। খবর পেয়ে পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে আসেন। আশপাশের আরও কিছু জায়গা খুঁড়ে দেখতে বলেন মহকুমাশাসক অরিন্দম নিয়োগী। অন্য দেহাবশেষ অবশ্য পাওয়া যায়নি। খুলিটি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, সিপিএমের কোনও ‘অপকর্মের’ নমুনা এই খুলি। অন্য দিকে, সিপিএম শিবিরের বক্তব্য, খালটি এই নিয়ে তৃতীয় বার সংস্কার হচ্ছে। খুলিটি কোথা থেকে এল, তা তদন্ত করে দেখা দরকার।

ফরওয়ার্ড ব্লকের কর্মসূচি
বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পরে সোমবার প্রথম একক ভাবে হাওড়ার পাঁচলায় রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করল ফরওয়ার্ড ব্লক। ব্লক প্রশাসনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয় দলের মহিলা, কৃষক এবং যুব সংগঠনের পক্ষ থেকে। পাঁচলা বিধানসভা কেন্দ্রটি ছিল ফরওয়ার্ড ব্লকের হাতেই। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ফরওয়ার্ড ব্লক হেরে যায় তৃণমূলের কাছে। সোমবারের বিক্ষোভ সমাবেশে কর্মী সমাগম হয়েছিল ভালই। প্রাক্তন দলীয় বিধায়ক ডলি রায়, জেলা নেতা ফরিদ মোল্লারা বলেন, “আগামী দিনে আমাদের দলের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনবিরোধী কাজকর্মের বিরুদ্ধে আরও রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করা নেওয়া হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.