|
|
|
|
প্রবন্ধ... |
খরচ কমাবেন না জনগণমন রাখবেন |
আগামী কাল বাজেট পেশ করবেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। এক দিকে অর্থনীতির হাঁড়ির হাল,
অন্য দিকে রাজনীতির বাধ্যবাধকতা তাঁর কাজটা ঠিক কতখানি কঠিন?
লিখছেন অমিতাভ গুপ্ত |
এই মুহূর্তে ভারতে সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তায় আছেন কে? মায়াবতী? রাহুল গাঁধী? না। অনুমান করছি, দুশ্চিন্তায় তাঁদের বেশ কয়েক মাইল পিছনে ফেলে দিয়েছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। আগামী কাল তাঁকে সংসদে বাজেট পেশ করতে হবে। এমন একটা সময়ে, যখন ভারতীয় অর্থনীতির চেহারা প্রায় ১৯৯১ সালের জুন-জুলাই মাসের কথা মনে পড়িয়ে দিচ্ছে। মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (গ্রস ডোমেস্টিক প্রডাক্ট বা জি ডি পি)-র বৃদ্ধির হার যে কমতে কমতে এই অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ৬.১ শতাংশে এসে ঠেকেছে, সেটা জানা খবর। লেম্যান ব্রাদার্স ধরাশায়ী হওয়ার পরের ত্রৈমাসিকে ভারতে ৬.১ শতাংশ হারে জি ডি পি বেড়েছিল। তার পর আর কখনও এত কম হার দেখেনি ভারত। |
|
কোন পথে? মন্টেক সিংহ অহলুওয়ালিয়ার সঙ্গে আলোচনায় প্রণব মুখোপাধ্যায় |
খারাপ খবর এখানেই শেষ নয়। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারতের ধারের খাতা ক্রমেই ভারী হচ্ছে। এই খাতে চালু খাতায় ঘাটতির পরিমাণ জি ডি পি-র সাড়ে তিন শতাংশের বেশি। রাজকোষ ঘাটতির পরিমাণ ঠিক কোথায় গিয়ে ঠেকবে, এখনও তার হদিশ নেই। গত বছর বাজেট পেশ করার সময় অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ২০১১-১২ অর্থবর্ষে রাজকোষ ঘাটতি জি ডি পি-র ৪.৬ শতাংশ হবে। বছরের মাঝামাঝি অর্থমন্ত্রী জানালেন, সরকার বাজার থেকে এক লক্ষ কোটি টাকা ধার নিচ্ছে। ফলে, ঘাটতি বাড়বে। এখনও অবধি যা অনুমান, তাতে রাজকোষ ঘাটতির পরিমাণ জি ডি পি-র সাড়ে পাঁচ শতাংশে দাঁড়াবে বলেই মনে হচ্ছে। তার সঙ্গে দেশে শিল্প-উৎপাদন ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার নুয়ে পড়েছে, ২০০৭-০৮ সালের তুলনায় এখন বিনিয়োগের পরিমাণ জি ডি পি-র অঙ্কের চার শতাংশের কাছাকাছি কমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারের চেহারাও মোটেই সুবিধাজনক নয়। ইউরোপের সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি মিটবে না, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারও কালই ঘুরে দাঁড়াবে না। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের এই অনিশ্চয়তার প্রভাব ভারতের ওপর পড়বেই। মোটের ওপর, সাম্প্রতিক কালে কোনও অর্থমন্ত্রী এত কঠিন প্রশ্নপত্রে বাজেটের পরীক্ষা দিতে বসেননি।
|
সমস্যা, সমাধান, সমস্যা |
অর্থমন্ত্রীর কাছে বহু দফা দাবি। সাধারণ মানুষ চাইবে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমুক, নতুন নতুন চাকরি তৈরি হোক, আয়করের পরিমাণ কমুক। শিল্পমহল চাইবে, পরোক্ষ করের হার যেন না বাড়ানো হয়, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যেন বিশেষ সুবিধে দেওয়া হয়, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল থেকে যেন ন্যূনতম বিকল্প কর তুলে নেওয়া হয় ইত্যাদি। রাজনীতিকরা চাইবেন, ভর্তুকি যেন বজায় থাকে, খাদ্য নিশ্চয়তা প্রকল্পে যেন আরও বেশি টাকা যায়। সবার সব দাবি পূরণ করার উপায় অর্থমন্ত্রীর নেই। বস্তুত, এই দাবির সিংহভাগই চরিত্রে এমন, যা পূরণ করতে গেলে ভারতীয় অর্থনীতি গভীরতর সংকটে ঢুকে পড়বে।
ভারতের অর্থনীতির এখন যতগুলো সমস্যা, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর সমস্যা রাজকোষ ঘাটতির হার। ২০০৩ সালের ফিসকাল রেসপন্সিবিলিটি অ্যান্ড বাজেট ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট-এর হিসেব মানলে ২০১২-১৩ আর ২০১৩-১৪, এই দুই অর্থবর্ষে রাজকোষ ঘাটতির হার হওয়া উচিত ৪.১ শতাংশ আর ৩.৫ শতাংশ। আন্তর্জাতিক মন্দা আরম্ভ হওয়ার আগে পর্যন্ত ভারত রাজকোষ ঘাটতির হারে বেশ ভালই লাগাম টেনেছিল। কিন্তু, তার পরই সব হিসেব গোলমাল হয়ে গেল। ঘাটতির পূর্বনির্ধারিত পথে ফিরতে গেলে অর্থমন্ত্রীকে আয় বাড়ানো আর খরচ কমানোর কথা ভাবতেই হবে। আপাতত খরচ কমানোর সম্ভাব্য উপায় নিয়ে কিছু কথা বলব।
প্রণব মুখোপাধ্যায়ের একটা সমস্যার কথা সর্বজনবিদিত, কিন্তু এখানে সে কথাটা এক বার উল্লেখ না করলেই নয়। ভারতের আর পাঁচ জন অর্থমন্ত্রীর মতো তাঁকেও অর্থনীতি বনাম রাজনীতির দড়ি টানাটানির খেলায় রেফারি হিসেবে উপস্থিত থাকতে হচ্ছে। সেটা বড় কথা নয়। তাঁর মুশকিল হল, তিনি এমন একটি সরকারের অর্থমন্ত্রী, যে সরকারের মেরুদণ্ডটি গত বছর দুয়েকে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত। শরিকদের আপত্তি সত্ত্বেও কোনও একটি সিদ্ধান্ত করা, এবং সেই সিদ্ধান্তে টিকে থাকার ক্ষমতা আপাতত এই সরকারের নেই। ফলে, পেট্রোলিয়াম পণ্যের দাম বাড়লে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি আপত্তি করেন, সংস্কারের প্রশ্ন উঠলে চেন্নাইয়ে করুণানিধি যদি অখুশি হন এই রকম হরেক কিসিমের কথা অর্থমন্ত্রীকে মাথায় রাখতেই হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের ফল কেন্দ্রের শরিকি রাজনীতিতে যা-ই প্রভাব ফেলুক, ভর্তুকি কমানোর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করার মতো রাজনৈতিক দুঃসাহস কোনও শরিকই দেখাবে না। ফলে, কাল যদি ইউ পি এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলে মুলায়ম সিংহের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে, তাতেও বাস্তব বদলানোর নয়। যে সিদ্ধান্তে শরিকের আপত্তি থাকতে পারে, এই বাজেটে তেমন সিদ্ধান্ত আদৌ করা সম্ভব কি না, সংশয় তাই থেকে যাচ্ছে। আবার, শরিক যদি না-ও থাকত, ২৪ আকবর রোড বা ১০ জনপথ থেকেও কি সব সিদ্ধান্তের ছাড়পত্র মিলত? কাজেই, অর্থমন্ত্রী কী ভাবে সরকারের খরচ কমাতে পারেন, সেই অঙ্কটি বোঝার সময় রাজনীতির চাপের কথা মাথায় রাখতে হবে।
|
সরকারি দানছত্র? |
প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ টাকা ভর্তুকি দিতে খরচ হয়। এই বছর ভর্তুকির মোট পরিমাণ জি ডি পি-র ২.৫ শতাংশ হওয়ার কথা ছিল। সেই হিসেবে সরকার এক টাকা খরচ করলে তার মধ্যে ৯ পয়সা ভর্তুকিবাবদ খরচ হওয়ার কথা। একটা হিসেব বলছে, প্রকৃত ভর্তুকির পরিমাণ আরও প্রায় ৯০,০০০ কোটি টাকা বেশি। এই খরচ অবশ্যই কমানো দরকার। কিন্তু, ভর্তুকি কমানোর প্রসঙ্গ উঠলেই ভয়ানক অশান্তি হয়। বিরোধীদের যুক্তি সরল ভর্তুকির মাধ্যমে সরকার সামাজিক সাম্য বজায় রাখে, কাজেই ভর্তুকি কমানো মানেই দরিদ্রের প্রতি অন্যায়।
প্রশ্ন হল, ভারতে ভর্তুকিবাবদ যে টাকা প্রতি বছর খরচ হয়, সেটা যায় কোথায়? পরিসংখ্যান বলছে, মোট ভর্তুকির অর্ধেকের বেশি খরচ হয় দুটো খাতে পেট্রোপণ্য এবং সার। পেট্রোপণ্যে ভর্তুকি দিয়ে যে প্রান্তিকতম মানুষের উন্নয়ন হয় না, এই কথাটা বামপন্থীরাও মানবেন। প্রশ্ন উঠবে সারের ভর্তুকি নিয়ে। তাও আসলে বড় চাষিদের কাজেই লাগে। সারের ভর্তুকি বজায় রাখার চাপও আসে উত্তর-পশ্চিম ভারতের কৃষিবলয়ের রাজনৈতিক লবি থেকেই। কাজেই, ভর্তুকি কমানোর কথা উঠলে প্রান্তিক মানুষের কথা ভেবে রাগ করার কারণ নেই। কিন্তু শরিকদের কথাটি বোঝানো মুশকিল।
ইরান-সমস্যা যে পথে চলেছে, তা অর্থমন্ত্রীর রাতের ঘুম নষ্ট করে দিতে যথেষ্ট। পেট্রোপণ্যের দাম ইতিমধ্যেই ঊর্ধ্বমুখী। যুদ্ধ বাধলে সেই দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে, অনুমান করাও অসম্ভব। এ দিকে, দেশের বাজারে পেট্রোলের দামে সরকারি নিয়ন্ত্রণ নামমাত্র উঠেছে। এখনও পেট্রোলের দাম বাড়ানোর আগে কেন্দ্রের সম্মতির অপেক্ষায় থাকতে হয় সংস্থাগুলিকে। আর, ডিজেলের দাম এখনও নিয়ন্ত্রিত। সরকারের খরচ কমানোই যদি অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশ্য হয়, তা হলে কর্তব্য সহজ আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম যে ভাবে বাড়বে, দেশেও ঠিক সে ভাবেই দাম বাড়তে দিতে হবে। কিন্তু, অর্থমন্ত্রীও জানেন, শরিকরাও জানেন সেটি সম্ভবত হওয়ার নয়। এল পি জি-র দাম বৃদ্ধি তো বহু পরের প্রশ্ন, ডিজেলের দাম বাড়ানোর সম্ভাবনাও ক্ষীণ। অন্তত, বাজেটের দিন।
এ দিকে, আন্তর্জাতিক বাজারে কয়লার দাম বেড়ে চলেছে প্রবল হারে। কয়লা পরিবহণের খরচও বাড়ছে। ফলে, দেশে শক্তিক্ষেত্রে সমস্যা। প্রতি একক যে দামে বিক্রি করলে বিদ্যুৎ উৎপাদন লাভজনক হয়, সে দামে বিদ্যুৎ কিনতে শিল্পমহল নারাজ। আর, ভর্তুকি না পেলে কম দামে বিদ্যুৎ বেচতে নারাজ উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি। ফলে, অর্থমন্ত্রীর উভয়সংকট হয় বিদ্যুতে ভর্তুকি দিতে হবে, নয়তো শিল্পক্ষেত্রে উৎপাদনের হার আরও হ্রাস পাওয়া মেনে নিতে হবে। অর্থমন্ত্রী সম্ভবত প্রথম পথেই হাঁটবেন। মানে, রাজকোষের ওপর আরও এক দফা চাপ মেনে নিতে হবে।
খরচের আরও দুটো বড় ক্ষেত্র প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্য অপরিহার্য। একটির প্রাণকেন্দ্রে রয়েছেন রাহুল গাঁধী মহাত্মা গাঁধী জাতীয় কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা যোজনা; অন্যটি সনিয়া গাঁধীর বিশেষ পছন্দের প্রকল্প খাদ্য নিশ্চয়তা যোজনা। দ্বিতীয় প্রকল্পটি নিয়ে হরেক রকম প্রশ্ন আছে। অর্থমন্ত্রী নিজেও আকারে ইঙ্গিতে আপত্তি জানিয়েছেন, বলেছেন এই ব্যয়ভার বহন করার সামর্থ্য সরকারের নেই। অর্থনীতিবিদরা তাঁদের আশঙ্কার কথা বলেছেন। আইন বেঁধে দিলেই যে খাদ্য নিশ্চিত করা যায় না, সেই কথাটি উল্লেখ করেছেন। তাতে মানুষের পাতে খাবার না পৌঁছলেও সরকারের ব্যয় বাড়ে। প্রকল্পটি এখনও আইনে রূপান্তরিত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। তবে, গত এক বছরেরও বেশি সময় যে আইনসভা কার্যত অচল হয়ে রয়েছে, সেখানেও এই প্রস্তাবটি আইনে পরিণত হবে এই কথাটি প্রায় হলফ করে বলা যায়। আর হলেই, তার জন্য টাকা না জুগিয়ে অর্থমন্ত্রীর উপায় নেই। বরং, গ্রামীণ কর্মসংস্থান যোজনার ব্যয়বরাদ্দ খানিক কাটছাঁট হতে পারে।
দরিদ্র মানুষের জন্য খাদ্যে ভর্তুকির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন নেই। প্রশ্ন হল, সেই ভর্তুকি কী ভাবে দেওয়া হবে। গণবণ্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে এখন যে ভাবে ভর্তুকি দেওয়া হয়, তার অকুশলতা সম্পর্কে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই। অর্থাৎ, সরকার যত টাকা খাদ্য ভর্তুকি বাবদ ব্যয় করে, তার একটা তাৎপর্যপূর্ণ অংশ প্রকৃত প্রাপকদের হাতে পৌঁছোয় না, মাঝপথেই চুরি হয়ে যায়। এই চুরি আটকাতে পারলে খাদ্য ভর্তুকি বাবদ সরকারের খরচ অনেকখানি কমতে পারে, গরিব মানুষের পাতে টান না দিয়েই। এই ক্ষেত্রে ইউনিক আইডেন্টিটি কার্ড বা একক পরিচয়পত্র দারুণ গুরুত্বপূর্ণ। আশা করা যায়, এই বাজেটে একক পরিচয়পত্র তৈরির প্রকল্পটিকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হবে, এবং সেই পরিচয়পত্রের মাধ্যমেই খাদ্য ভর্তুকি দেওয়ার প্রক্রিয়াটি শুরু করা হবে।
|
শেষ সুযোগ |
এই বছরের বাজেট অনেকগুলো কারণে গুরুত্বপূর্ণ। আগামী বছরের বাজেটটি ইউ পি এ সরকারের দ্বিতীয় দফার শেষ বাজেট হবে। তার পরেই লোকসভা নির্বাচন। কাজেই, পরের বছরের বাজেটটি যে দ্বিধাহীন ভাবে ‘ভোটের বাজেট’ হবে, তা নিয়ে কোনও সংশয়ই নেই। সেই বাজেটে সরকার একটাও কঠোর সিদ্ধান্ত করবে না, বরং আম আদমি যা চায়, তার ঢালাও ব্যবস্থা থাকবে। জনমোহনে আর যা-ই হোক, অর্থনীতির সুরাহা হয় না। ফলে, ভারত এখন যে গাড্ডায় পড়েছে, তার থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য এই বাজেটই ভরসা।
দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার প্রথম বাজেটও এটাই। এই পরিকল্পনা চলাকালীন, অর্থাৎ ২০১২ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত পাঁচ বছরে ভারতের জি ডি পি গড়ে বছরে নয় শতাংশ হারে বাড়বে বলেই অনুমান করা হয়েছিল। এখন অর্থনীতির যা অবস্থা, তাতে সেই অনুমানটিকে বেশ অলীক দেখাচ্ছে। কিন্তু, তার কাছাকাছি পৌঁছনোর চেষ্টাটুকুও তো করতে হবে। চেষ্টাটা এই বাজেটেই শুরু করা ভাল।
সরকারের খরচ কমাতে এ-বাজেটে অর্থমন্ত্রী কত দূর সফল হবেন, হয়তো সেটাই ঠিক করে দেবে, পাঁচ বছর পর বিশ্ব-অর্থনীতিতে আদৌ কোনও গুরুত্ব থাকবে কি না।
পুনশ্চ: দীনেশ ত্রিবেদীর ‘বৈপ্লবিক’ রেল বাজেটের পর একটা সম্ভাবনা অবশ্য উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না রাজনীতির যাবতীয় হিসেব নস্যাৎ করে প্রণব মুখোপাধ্যায় দারুণ সাহসী একটা বাজেট পেশ করবেন। ভর্তুকি কমাবেন, রাজকোষ ঘাটতির রাশ ধরবেন। গোড়ায় বলেছিলাম, আজকের ভারতের অর্থনীতির চেহারা ১৯৯১ সালের কথা মনে পড়াচ্ছে। তখনও কিন্তু দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পরেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। মনমোহন সিংহ। |
|
|
|
|
|