দুই সিপিএম নেতা খুনে ধৃতদের আদালতে তোলার সময়ে সরকারি কৌঁসুলির অনুপস্থিত থাকার ঘটনা সম্পর্কে আইনমন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট পাঠাচ্ছে বর্ধমান জেলা প্রশাসন। বুধবার জেলাশাসক ওঙ্কার সিংহ মিনা বলেন, “ডেপুটি ডিরেক্টর (প্রসিকিউশন)-এর পাঠানো রিপোর্ট আমি হাতে পেয়েছি। এই রিপোর্ট-সহ এ ব্যাপারে আমরা যা খবর পেয়েছি, তা আইনমন্ত্রকের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি।”
গত রবিবার রাতে বর্ধমান স্টেশন থেকে সিপিএম নেতা প্রদীপ তা ও কমল গায়েন খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দু’জনকে ধরে সিআইডি। সোমবার তাঁদের বর্ধমান সিজেএম আদালতে তোলা হলে শুনানিতে কোনও সরকারি আইনজীবী ছিলেন না। সিআইডি-র তদন্তকারী অফিসার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বর্ধমান সিজেএম আদালতে দাঁড়িয়ে ধৃতদের হেফাজতে চাইতে হয়। মঙ্গলবার জেলাশাসক জানিয়েছিলেন, আদালতের ডেপুটি ডিরেক্টর (প্রসিকিউশন) নুপুর অগ্রবালের কাছে এই ঘটনা সম্পর্কে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ওই দিন শম্পা বেজ মিত্র নামে এক সরকারি কৌঁসুলির থাকার কথা ছিল। জেলাশাসক জানান, সম্ভবত কোনও ব্যক্তিগত সমস্যার জন্যই তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে এ ব্যাপারে শম্পাদেবীর বক্তব্য এখনও প্রশাসন জানতে পারেনি। জেলাশাসক বলেন, “আমরা তাঁর বক্তব্য শুনব।”
এ দিকে, এই হত্যা মামলায় যে চার অভিযুক্তকে প্রথম ধরা হয়, সিআইডি তাঁদের দু’দিনের জন্য হেফাজতে নেওয়ার পরে বর্ধমান থানা লক-আপে খেতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্তদের আইনজীবী সদন তা ও বিশ্বজিৎ দাস অভিযোগ করেছিলেন, শুধু না খেতে দেওয়া নয়, চার অভিযুক্তকে মানসিক নির্যাতনও করেছিল সিআইডি। সিআইডি-কে এই অভিযোগের উত্তর দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন সিজেএম সাবিনা ইয়াসমিন। বুধবার সিআইডি-র তরফে এই অভিযোগের উত্তর দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের আইনজীবীরা জানান, এই মামলার তদন্তকারী সিআইডি অফিসার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতের কাছে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশিকা মেনেই অভিযুক্তদের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে। |