|
|
|
|
গোপীবল্লভপুর কলেজে নতুন প্রশাসক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
গোপীবল্লভপুর সুবর্ণরেখা কলেজে জটিলতা তৈরি হওয়ায় প্রশাসক নিয়োগ করেছিল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যায়। সোমবারই কলেজে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রশাসক চিত্তরঞ্জন মণ্ডলকে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন কলেজ পরিদর্শক বিনয় চন্দ। সেই অনুষ্ঠানেই প্রশাসকের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শিক্ষকেরা। তার পরেই বিশ্ববিদ্যালয় অন্য এক জনকে নতুন করে প্রশাসক হিসাবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরাজি বিভাগের প্রধান তীর্থঙ্কর পুরকায়স্থ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, “কলেজের সমস্যা সমাধানের জন্যই প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরিচয়পর্বের দিনই সমস্যা তৈরি হওয়ায় এ বার বিশ্ববিদ্যালয়েরই ইংরাজি বিভাগের প্রধান তীর্থঙ্কর পুরকায়স্থকেই প্রশাসক হিসাবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
কলেজে প্রশাসক নিয়োগ নিয়েই আপত্তি ছিল কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের একাংশের। এমনকী পরিচালন সমিতির নির্বাচিত সদস্যরা অভিযোগ করেছিলেন, গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করতেই প্রশাসক নিয়োগ করা হচ্ছে। কলেজের অধ্যক্ষ চন্দ্রনাথ বিশ্বাস ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার জন্যই কৌশলে প্রশাসক নিয়োগের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রভাবতি করেছেন বলেও তাঁরা অভিযোগ করেছিলেন। যদিও চন্দ্রনাথবাবু তা অস্বীকার করেন। নতুন প্রশাসকের সঙ্গে সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য কলেজে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক বিনয় চন্দই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-অধ্যক্ষ থেকে প্রশাসক, প্রত্যেককেই বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হয়। প্রশাসক বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমন কিছু মন্তব্য করেন, যাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কলেজের শিক্ষকেরা। কলেজের শিক্ষক তথা পরিচালন সমিতির নির্বাচিত সদস্য লখিন্দর পালই বলেন, “কলেজের শিক্ষকদের সম্পর্কে প্রশাসক যখন আপত্তিকর মন্তব্য করছিলেন তখন শিক্ষকেরা তার প্রতিবাদ করেন। তখন প্রশাসক ক্ষিপ্ত হয়ে এক শিক্ষককে অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। প্রথম দিনই যিনি এই ধরনের আচরণ করতে পারেন, পরে তিনি কী না করবেন!” যদিও পরে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী ও ছাত্রছাত্রীদের বুঝিয়ে শান্ত করেন বিনয়বাবু। প্রশাসকের এই আচরণে সকলেই ক্ষুব্ধ দেখে প্রশাসকও তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দেন। বিনয়াববু সেই ইস্তফাপত্র উপাচার্যের কাছে পৌঁছ দিলে তিনি তা গ্রহণ করেন। তার পরেই নতুন প্রশাসকের খোঁজ শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়েরই ইংরাজি বিভাগের প্রধানকে প্রশাসক হতে রাজি করানো হয়। উপাচার্য জানান, ২ মাসের জন্য প্রশাসক নিয়োগ করা হচ্ছে। তার আগেই যদি পরিচালন সমিতি তৈরি হয়ে যায় তা হলে প্রশাসকের আর কোনও ভূমিকা থাকে না। পূর্ণ পরিচালন সমিতি গঠন না হওয়া পর্যন্ত কলেজের কাজ সুষ্ঠুভাবে চালাতেই প্রশাসক নিয়োগ। |
|
|
|
|
|