প্রথম স্ত্রী ও সন্তানের কথা লুকিয়ে চন্দননগরে দ্বিতীয় বার বিয়ে করার অভিযোগে এক আইনজীবীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার নিমতার বাসিন্দা সুদীপ্ত নন্দী নামে ওই আইনজীবীকে ধরা হয়। সোমবার ধৃতকে চন্দননগর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। জামিনের আবেদন নাকচ করে বিচারক তাঁকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। |
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুদীপ্তবাবু কয়েক বছর আগে নিমতাতেই প্রথম বিয়ে করেন। তাঁর প্রথম পক্ষের বছর ছয়েকের একটি ছেলে রয়েছে। ২০০৮ সালে তিনি চন্দননগরের উর্দিবাজারের বাসিন্দা প্রোজিত সেনগুপ্তের মেয়ে জিনা সেনগুপ্তকে ‘রেজিস্ট্রি’ করে বিয়ে করেন। তাঁদের এক বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। কিন্তু প্রথম বিয়ের কথা লুকিয়ে তাঁর মেয়েকে সুদীপ্তবাবু বিয়ে করেন বলে দিন কয়েক আগে চন্দননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রেজিতবাবু। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় সুদীপ্তবাবুকে।
প্রোজিতবাবু বলেন, “মেয়ে চন্দননগরের একটি স্কুলে শিক্ষকতা করে বলে এখানেই থাকে। সুদীপ্ত কোনও দিন ওর নিমতার বাড়িতে মেয়েকে নিয়ে যায়নি। কিছু দিন আগে আমরা জানতে পারি, নিমতাতে ওর আর একটি সংসার রয়েছে। একটি বিবাহ-সংস্থার মাধ্যমে সুদীপ্তর সঙ্গে মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়। কিন্তু সুদীপ্ত আমাদের ঠকিয়েছে।” এ দিন আদালতে সুদীপ্তবাবু দাবি করেন, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। কয়েক বছর আগে এই চন্দননগর আদালতেরই আইনজীবী ছিলেন সুদীপ্তবাবু। ইদানীং তিনি কলকাতা হাইকোর্টে কাজ করছিলেন বলে জানান। |