টুকরো খবর
টাকা আদায় নিয়ে ক্ষোভ
রামপুরহাট নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির অধীন ‘মার্কেট ফি’ আদায় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুরারই থানার রাজগ্রাম, চাতরা, মুরারই এলাকার ব্যবসায়ীরা। তাঁদের অভিযোগ, ওই সব এলাকার ব্যবসায়ীরা যখন কৃষিজাত পণ্য বোঝাই গাড়ি নিয়ে নলহাটি-রাজগ্রাম রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। তখন তাঁদের কাছ থেকে ফি আদায় করা হলেও নলহাটি এলাকার ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে তা করা হচ্ছে না। এ ব্যাপারে সোমবার সকালে সমিতির অফিসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা। সমিতির সম্পাদক নৃপেন দত্ত বলেন, “তাঁদের ধারনা ভুল। রামপুরহাট মহকুমার অধীন নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির আওতায় যে সব ব্যবসায়ী সরকারি অনুমোদন নিয়ে ব্যবসা করছেন তাঁদের কাছে উপযুক্ত প্রমানপত্র না থাকলে বিভিন্ন ‘মার্কেট ফি’ আদায়কেন্দ্রে গাড়ি আটকে ফি আদায় করা হয়।” তাঁর দাবি, “গত বছর নভেম্বর মাস থেকে মহকুমার বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনকে, পঞ্চায়েত সমিতি, পঞ্চায়েত এলাকার কৃষিজাত পণ্য ব্যবসায়ীরা যাতে নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির অনুমোদন নিয়ে ব্যবসা করেন, প্রচার চালানো হচ্ছে। কিন্তু সে রকম সাড়া পাওয়া যায়নি। যার জন্য সমস্যা হচ্ছে। অথচ কর্তৃপক্ষের কাছে ১৫ দিন অন্তর রিপোর্ট পাঠাতে হচ্ছে।” তবে মুরারই, রাজগ্রাম, চাতরা এলাকার ব্যবসায়ীদের দাবি নিয়ে মহকুমাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন নৃপেনবাবু। যদিও ওই সব এলাকার ব্যবসায়ীদের দাবি, “আমরা সব সময় চাই সমিতির অধীনে ব্যবসা করতে। তবে এ ব্যাপারে মহকুমার অন্যান্য এলাকাতেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে বাজার নিয়ন্ত্রিত সমিতির কর্তৃপক্ষকে।”

পুড়ে ছাই দু’টি বাড়ি
ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত।
ভষ্মীভূত হয়ে গেল দু’টি মাটির বাড়ি। রবিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে খয়রাশোল থানা এলাকার রানিপাথর গ্রামের বাগদি পাড়ায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে পড়শিরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে দমকলের একটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে বাঁচানো যায়নি বাঙ্গু বাগদি ও তাঁর ছেলের বাড়ি দু’টি। রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ তাঁর বাড়িটি জ্বলতে দেখে পড়শিরা বাঙ্গুবাবুদের খবর দেন। তখন বাঙ্গুবাবুরা সপরিবার দূরের ইট ভাটায় কাজ করছিলেন। বাঙ্গুবাবু বলেন, “চাল, ধান, টাকা-পয়সা, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র--সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। খয়রাশোল ব্লকে জানিয়েছি। পড়শিরা জানিয়েছেন কাছে পুকুর না থাকায় আগুন আয়ত্বে আনতে আসুবিধা হয়েছে। দমকল আসায় পাশের বাড়িগুলি রক্ষা পেয়েছে।” তবে কী ভাবে আগুন লাগল স্পষ্ট নয়।

টিকিট কাউন্টার
এ বার থেকে শান্তিনিকেতনে পোস্ট অপিস মোড়ে থাকা রেলের টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট সংরক্ষণের পাশাপাশি অন্যান্য সুযোগ সুবিধাও মিলবে। গত শুক্রবার বিশ্বভারতীর উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত ওই টিকিট কাউন্টারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন হাওড়া ডিআরএম পার্থসারথী মণ্ডল। তিনি জানান, ওই কাউন্টার থেকে প্রত্যেক দিন এক্সপ্রেস ও লোকাল ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে। এত দিন বিশ্বভারতীর নিয়ম মতো ওই কাউন্টার মঙ্গলবার অর্ধদিবস ও বুধবার সম্পূর্ণ বন্ধ থাকত। বিশ্বভারতীর কর্মিসভার সভাপতি গগন সরকার বলেন, “রেলের ওই টিকিট কাউন্টারটি ভোর পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা রাখার দাবি জানিয়েছিলাম। তা ছাড়া এক্সপ্রেস ও লোকাল ট্রেনের টিকিট প্রত্যেক দিন দেওয়ারও আবেদন জানানো হয়েছিল।” এলাকাবাসীর দাবি মতো ওই কাউন্টার থেকে এখন সমস্ত সুবিধাই পাওয়া যাবে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।

নিম্নমানের মোরাম
রাস্তায় ‘নিম্নমানের’ মোরাম ফেলায় প্রতিবাদ জানালেন রাজনগরের শঙ্করপুর গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামবাসী পরিমল সাহা, কমলাক্ষ সাহা, গৌরীশ সাহাদের অভিযোগ, “মালপাড়া থেকে সাহাপাড়া পর্যন্ত মাটির রাস্তায় মোরাম দেওয়ার কথা। সেই মতো গত বুধবার মোরাম ফেলার কাজ শুরু হয়। মোরামের মান দেখে সন্দেহ হওয়ায় প্রতিবাদ করি এবং মোরাম ফেলতে বাধা দিই। কিন্তু আমাদের কোনও কথা না শুনে শুক্রবার সকালে ওই রাস্তার বেশ কিছু অংশে মোরাম ফেলা হয়।” তাঁরা জানান, ঘটনার কথা লিখিত ভাবে রাজনগর পঞ্চায়েতের প্রধান এবং রাজনগরের বিডিওকে জানানো হয়েছে। তাঁদের দাবি, রবিবার পর্যন্ত একই ভাবে কাজ হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সিপিএমের মানিক সেন বলেন, “সোমবার সকালেই নির্মণ সহায়ককে পাঠিয়ে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বক্রেশ্বরে বিঘ্ন, ব্যাহত বিদ্যুৎ
বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের চার নম্বর ইউনিটের ইনসুলেটর ফেটে বিঘ্নিত হল বিদ্যুৎ সরবরাহ। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ওই ঘটনার পর থেকেই ২১০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ওই ইউনিটে উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম সূত্রের খবর, উৎপাদিত বিদ্যুৎ সরবরাহ করার সময় শর্ট সার্কিট বা বড় ধরনের দুর্ঘটনা হাত থেকে রক্ষা করতেই ইনসুলেটর লাগানো হয়। দুর্ঘটনার পরে ওই ইনসুলেটর বদলের কাজ শুরু হয়েছে। রাতের মধ্যেই ফের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলে। বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার মৃণালকান্তি মিত্রকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

অস্বাভাবিক মৃত্যু
বাড়ি থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ। মৃতের নাম সন্তোষ লেট (৩৫)। বাড়ি রামপুরহাট থানার রদিপুর গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্তোষবাবু রামপুরহাট ১ পঞ্চায়েত সমিতির নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মী ছিলেন। রবিবার দুপুরে সন্তোষবাবুকে বাড়ির মধ্যে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তাঁর পররিবারের লোকজন। তাঁদের চিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা সন্তোষবাবুকে উদ্ধার করেন। রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, সিপিএমের জয়দেব চৌধুরী বলেন, “সন্তোষবাবুর দু’টি কিডনি খারাপ হয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘদিন এ নিয়ে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন।”

শৌচাগারের দাবি
বীরভূম-মুর্শিদাবাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাসস্ট্যান্ড ময়ূরেশ্বর থানা এলাকার কলেশ্বর মোড়। বাস ধরার জন্য এলাকার বহু মানুষ প্রতিদিন হাজির হন এই বাসস্ট্যান্ডে। তাছাড়া রয়েছে বহু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। সপ্তাহে দু’দিন হাট বসে। কিন্তু এলাকায় কোনও শৌচাগার না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয় মানুষদের। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে জানিয়েও ফল হয়নি। সংশ্লিষ্ট ময়ূরেশ্বর ২ ব্লকের বিডিও বাবুলাল মাহাতো বলেন, “জায়গার অভাবেই সেকানে শৌচাগার নির্মাণ করা যায়নি। পেলে ব্যবস্থা করা হবে।”

কীটনাশক খেয়ে মৃত্যু
কীটনাশক খেয়ে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম ম্যানেজার টুডু (৫৮)। বাড়ি নলহাটি থানার সন্তোষপুর গ্রামে। রবিবার সন্ধ্যায় ওই ব্যক্তিকে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান পারিবারিক অশান্তির জেরে ওই প্রৌঢ় আত্মঘাতী হয়েছেন।

কৃতী সংবর্ধনা
তারাপীঠ সংলগ্ন চারটি স্কুলের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা দিল তারাপীঠের একটি ধর্মীয় সংস্থা। সোমবার তারাপীঠ পাণ্ডাপাড়ায় এই উপলক্ষে এ দিন দুপুরে নানা অনুষ্ঠান-সহ বিকেলে ধর্মীয় আলোচনারও আয়োজন ছিল।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.