ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী, গণপিটুনি দিলেন গ্রামবাসীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ ও চন্দ্রকোনা |
কিশোরীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত এক তৃণমূল কর্মীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন গ্রামের বাসিন্দারা। রবিবার মালদহের কালিয়াচক থানার নয়াগ্রাম-বেগুনপাড়া গ্রামের ঘটনা। পুলিশ নওয়াজ শেখ নামে ওই তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে।
মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেছেন, “কিশোরীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবককে ধরা হয়েছে। ওই কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মালদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।” কালিয়াচক-১ ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি প্রবীর বসুর অবশ্য দাবি, “নওয়াজ ও তার বাবা মোস্তাক আলি আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী। চক্রান্ত করে আমাদের কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে।”
ওই কিশোরী পুলিশকে জানিয়েছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ সে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিল। সেই সময় তার প্রতিবেশী তৃণমূল কর্মী নওয়াজ মুখে কাপড় গুঁজে তুলে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। সকালে ওই কিশোরীর মুখে সব শুনে গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার গ্রামের লোকেরা অভিযুক্ত যুবককে চাপ দেন ওই কিশোরীকে বিয়ে করার জন্য। গ্রামে সালিশি সভাও বসে। সেখানে নওয়াজ ওই কিশোরীকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় গ্রামবাসীরা খেপে ওঠেন। রাতভর নওয়াজকে আটকে রাখা হয়। এ দিন সকালে শুরু হয় মারধর। ছেলেকে উদ্ধার করতে এলাকার দলীয় কিছু নেতাকে নিয়ে থানায় যান নওয়াজের বাবা মোস্তাক আলি। খবর পেয়ে গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের বিক্ষোভে মুখে পড়ে পুলিশ। শেষে নওয়াজকে থানায় ধরে আনলে গ্রামবাসীরা শান্ত হন। এ দিনই আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ধৃতকে ১৪ দিনের জেল হাজতে পাঠান।
এ দিনই পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা রোডে এক আদিবাসী বধূকে ধর্ষণের ঘটনায় শান্তনু ঘোষ নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, ইন্দিরা আবাস যোজনার বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে শনিবার সকালে চন্দ্রকোনা রোডের কিয়াবনি এলাকার ওই বধূকে দোকানে নিয়ে গিয়ে স্থানীয় সার ব্যবসায়ী শান্তনু ধর্ষণ করেন।
রাত দেড়টা নাগাদ গুয়াইদহে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে অভিযুক্তকে ধরে পুলিশ। রবিবার ধৃতকে মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক চার দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ওই বধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। সেখানে ওই বধূ দাবি করেন, শান্তনু তৃণমূল সমর্থক। যদিও তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যুৎ ঘোষ বলেন, “শান্তনুকে আমরা চিনি না। জানিও না। আমাদের দলের লোকেরা বরং ওই তরুণীকে থানায় যেতে সাহায্য করেছিলেন।” |