টুকরো খবর |
দেড় হাজার কচ্ছপ উদ্ধার বেলদায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জাতীয় সড়কে তল্লাশি চালিয়ে একটি লরি থেকে দেড় হাজারেরও বেশি কচ্ছপ উদ্ধার করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে লরির চালক-সহ দু’জনকে। উদ্ধার হওয়া কচ্ছপগুলি বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, কচ্ছপ বোঝাই লরিটি ওড়িশা থেকে আসছিল। খড়্গপুর হয়ে বারাসতে যাওয়ার কথা ছিল। খবর পেয়ে রবিবার সকালে বেলদার কাছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তখনই কচ্ছপ বোঝাই লরিটি আটক করা হয়। মোট ১৫৪৪টি কচ্ছপ উদ্ধার হয়েছে। ৫৯টি বস্তায় এগুলি রাখা ছিল। |
|
লরিটিকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে চালক সঞ্জীব ঘোষ ও বাপ্পা সিংহ নামে এক ব্যক্তিকে। বেলদা থানার ওসি পলাশ মিত্র বলেন, “সব মিলিয়ে ১৫৪৪টি কচ্ছপ উদ্ধার হয়েছে।” কচ্ছপগুলি কোথা থেকে আনা হচ্ছিল, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তদন্তে সে সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খড়্গপুরের এসডিপিও দীপক সরকার বলেন, “মাঝেমধ্যেই এমন অভিযান চলে। সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” আগেও এ ভাবে জাতীয় সড়কে তল্লাশি চালিয়ে কচ্ছপ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের ধারণা, খোলা বাজারে বিক্রির জন্যই কচ্ছপগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
|
কয়েকশো মুরগি মৃত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর |
|
নমুনা সংগ্রহ। ছবি: শুভ্র মিত্র। |
একটি খামারে গত কয়েক দিনে কয়েকশো মুরগি মারা গিয়েছে বলে অভিযোগ। বিষ্ণুপুর থানার বেলশুলিয়া গ্রামের ঘটনা। খামার মালিক শিবপ্রসাদ কাপড়ি’র অভিযোগ, “পরিণত বয়সের মুরগিগুলি হঠাৎ ঝিমিয়ে পড়ে সাদা পায়খানা করছে। তার পরে মারা যাচ্ছে।” খবর পেয়ে বিষ্ণুপুরের বিডিও সুদীপ্ত সাঁতরা ও বিষ্ণুপুরের ব্লক প্রাণী সম্পদ আধিকারিক দেবব্রত চক্রবর্তী রবিবার ওই খামারে যান। বিডিও বলেন, “অনেকগুলি মুরগি মারা গিয়েছে। পরীক্ষার জন্য মৃত মুরগির নমুনা কলকাতায় পাঠানো হচ্ছে।”
|
গরু পাচার রুখতে যৌথ অভিযান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে গবাদি পশুর চোরাচালান রুখতে নতুন ব্যবস্থা নিচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। মুর্শিদাবাদে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। বিএসএফ-কর্তৃপক্ষ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করেছেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে চালু হওয়া ওই যৌথ অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে গবাদি পশুর চোরাচালান ইতিমধ্যেই প্রায় ৮০ শতাংশ কমে গিয়েছে।
বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, মুর্শিদাবাদের মতো নদিয়া এবং উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্তবর্তী এলাকাতেও পুলিশকে সঙ্গে নিয়েই চোরাচালান ঠেকানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। বাংলাদেশে পাচার করার আগে গবাদি পশুগুলিকে সীমান্তের কাছাকাছি গ্রামে নিয়ে গিয়ে লুকিয়ে রাখে পাচারকারীরা। এই ধরনের এলাকা চিহ্নিত করে হানা দিচ্ছে পুলিশ। সীমান্তে রাতে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে বলে বিএসএফের দাবি।
|
ক্ষোভ |
গরুমারায় ঘুরে বেড়ানো একটি জখম বুনো হাতিকে নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকার পরিবেশপ্রেমীরা। তাঁদের অভিযোগ, হাতিটি জখম হলেও বনকর্মীরা চিকিৎসার ব্যবস্থা করছেন না। লাটাগুড়ির পরিবেশ প্রেমী সংগঠন গ্রিন লেবেল-এর কার্যকরী সভাপতি অনির্বাণ মজুমদার বলেন,“হাতিটির পিছনের বাঁ-পায়ে চোট রয়েছে।” জলপাইগুড়ি বন্যপ্রাণ-২ বিভাগের ডিএফও সুমিতা ঘটক জানান, গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের কর্মীরা এই ধরনের কোনও হাতির খোঁজ পাননি। তবে এ ব্যাপারে তিনি খোঁজ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। |
|