ইদানীং হামেশা এটিএমে জালিয়াতির ঘটনা শোনা যাচ্ছে। যার জন্য অনেক ক্ষেত্রে গ্রাহকদের
উদাসীনতা ও
অসাবধানতাকে দায়ী করছেন বিভিন্ন ব্যাঙ্কের কর্তারা। তাঁদের দাবি:
তথ্যপ্রযুক্তি-ভিত্তিক
এটিএম পরিষেবা যথেষ্ট
নিরাপদ, এবং গ্রাহকের ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড
ও পিন নাম্বার ‘সুরক্ষিত’ থাকলে
এটিএম মারফত তাঁর অ্যাকাউন্ট
থেকে চটজলদি টাকা তুলে
নেওয়াও খুব সহজ নয়।
ব্যাঙ্ক-কর্তারা
জানাচ্ছেন, এটিএমে পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত
করতে
গ্রাহকদের
কিছু প্রাথমিক সতর্কতা মেনে চলা জরুরি। যেমন,..... |
|
১) খেয়াল রাখুন, আপনার এটিএম কার্ড ও তার পিন নম্বর যেন এক সঙ্গে একই ব্যক্তি মারফত আপনার ঠিকানায় না-আসে। এলে ফিরিয়ে দিয়ে ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করুন। |
|
২) এটিএমে প্রথম বার কার্ড ব্যবহারের সময়ে ব্যাঙ্কের দেওয়া পিন বদলে নিন। নিজের বা স্ত্রী-সন্তানের জন্মদিন কিংবা গাড়ির নম্বরের মতো সংখ্যা দিয়ে পিন বানাবেন না। পিন মাঝে মাঝে বদলে নিতে পারেন। |
৩) চেষ্টা করুন, পিন মনে রাখার। একান্তই লিখে রাখতে হলে রাখুন গোপন জায়গায়, এবং সাঙ্কেতিক ভাবে। কার্ড ও পিন এক জায়গায় রাখবেন না। |
৪) সহকর্মী বা বন্ধু দূরে থাক, ঘনিষ্ঠ আত্মীয়কেও পিন জানাবেন না। |
৫) নিজের কার্ড সর্বদা নিজে ব্যবহার করুন। |
|
৬) কার্ডে থাকা ১৬ ‘ডিজিটের’ সংখ্যাটি কোথাও লিখে রাখুন। কেননা কার্ড খোয়া বা চুরি গেলে নম্বরটি জানিয়ে অভিযোগ করলে ব্যাঙ্ক তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নিতে পারবে। |
৭) এটিএমে একা ঢুকুন। এটিএম ঘরে কেউ থাকলেও কার্ড ব্যবহার করবেন না। |
৮) এটিএমে কেউ সাহায্য করতে এলে সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করুন। |
৯) কার্ড ব্যবহারের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। |
১০) দরজার বাইরে থেকে কেউ আপনার হাতের নড়াচড়ার দিকে নজর রাখছে না তো? এটিএমে সেটা খেয়াল রাখুন। |
|
১১) যে সমস্ত এটিএম মেশিনে কার্ড ঢুকিয়েই বার করে নিয়ে প্রক্রিয়া চালু করতে হয়, সেখানে জায়গা ছাড়ার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে, পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হয়েছে। এমন ‘ডিপ’ এটিএম যন্ত্রে অসম্পূর্ণ প্রক্রিয়া ফের চালু করতে পিন লাগে না। ফলে যে কেউ আপনার টাকা হাতাতে পারে। |
|
|
১২) টাকা বেরোনোর দশ সেকেন্ডের মধ্যে তা নিয়ে নিন। দেরি হলে টাকা মেশিনে ঢুকে যাবে। |
১৩) যাবতীয় প্রক্রিয়া সেরেও টাকা না-পেলে রিসিট-সহ এটিএমের নম্বর জানিয়ে ব্যাঙ্কে অভিযোগ দায়ের করুন। মেশিনে কার্ড রয়ে গেলেও তা-ই। সঙ্গে বাড়তি লাগবে কার্ড নম্বরটি। |
|
১৪) এক ব্যাঙ্কের কার্ড অন্য ব্যাঙ্কের এটিএমে ব্যবহারের পরে যদি টাকা না-পান, অথচ রিসিটে যদি দেখায় টাকা দেওয়া হয়েছে, তা হলে যে ব্যাঙ্কের এটিএম, নথিপত্র-সহ অভিযোগ জানান সেই ব্যাঙ্কেই। যে ব্যাঙ্কে আপনার অ্যাকাউন্ট, সেখানে নয়। |
১৫) কার্ড ফেলে যাচ্ছেন না তো? এটিএম ছাড়ার আগে অতি অবশ্য দেখে নিন। টাকাও গুনে নিন। |
|
১৬) রেস্তোরাঁ-দোকান-পেট্রোল পাম্পে কার্ডে দাম মেটানোর সময়ে খেয়াল রাখুন, পুরো ব্যাপারটা যেন আপনার সামনে হয়। |
১৭) ব্যাঙ্কে গিয়ে নিজের মোবাইল নম্বরটি কার্ড-পরিষেবায় নথিভুক্ত করান। আপনার অ্যাকাউন্টে যাবতীয় জমা-খরচের তথ্য সঙ্গে সঙ্গে এসএমএসে জানতে পারবেন। কেউ জালিয়াতি করলেও জানতে দেরি হবে না। বিভিন্ন ব্যাঙ্কে এটা এখন বাধ্যতামূলক। |
তথ্য: পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায় |