বন্য ঠিকানার সন্ধানে সাড়ে চারশো কিলোমিটার পথ পাড়ি দিল মাজু আর রাজা। মানুষের হাতে লালিত-পালিত এই দুই গন্ডারকে নিয়ে গাড়ি চলল মানসের উদ্দেশে। মাজু আর রাজা দুই অনাথ গন্ডার শাবককে উদ্ধার করা হয়েছিল কাজিরাঙা থেকে। তারপর কাজিরাঙার প্রাণী উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিডব্লিউআরসি) বেড়ে ওঠে তারা।
২০০৮ সালে পরিত্যক্ত ও অসুস্থ অবস্থায় শিশু রাজাকে উদ্ধার করা হয়েছিল। অন্য দিকে, ২০০৯ সালে কাজিরাঙায় গবেষণারত একটি দলকে আক্রমণ করায় বনরক্ষীরা এক মা-গন্ডারকে গুলি করে মারতে বাধ্য হয়। অনাথ শাবকটিকে উদ্ধার করে সিডব্লিউআরসিতে নিয়ে আসা হয়। |
মাজুর ছবি ডব্লুটিআই-এর সৌজন্যে |
তারপর থেকে সেখানকার কর্মী ভদ্রেশ্বর দাস, প্রশান্ত দাস, তরুণ গগৈ, চন্দ্র স্বর্গীয়ারি ও চিকিৎসকরাই মাজু ও রাজার বাবা-মা ছিলেন। তাঁরাই ফিডিং বোতলের দুধ খাইয়ে, খাবার খাইয়ে মাজু-রাজাকে সুস্থ-সবল করে তোলেন। আজ মৃদু ঘুমের ওষুধ প্রয়োগ করে, দুটি শাবককে ঘুম পাড়িয়ে ট্রাকে তোলা হয়।
লক্ষ্য মানস। প্রথমে তাদের ছাড়া হবে বাঁশবাড়ি রেঞ্জের ‘বোমা’-য়। ‘বোমা’ একটি ৩৩ একরের ঘেরা জায়গা। বছর তিনেক ধরে অরণ্যজীবনে ধাতস্থ ও যৌন জীবনে পরিণত হওয়ার পরে তাদের মূল জঙ্গলে ছাড়া হবে।
এ দিকে, গত তিনদিন ধরে গুয়াহাটির অসম রাজ্য চিড়িয়াখানায় জ্বলছে আগুন। চিড়িয়াখানার পাহাড়ের উপরে, জঙ্গলের শুকনো পাতায় প্রথমে আগুন লাগে। হাওয়ায় আগুন ক্রমশ ছড়াচ্ছে। চিড়িয়াখানার পাহাড় ও জঙ্গলে হরিণ, ময়ূর, বাঁদর খোলামেলাইঘুরে বেড়ায়। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, শীতের শুকনো ঘাসে প্রতিবছরের মতোই আগুন লেগেছে। তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। আগুনে পশুমৃত্যুরও কোনও খবর নেই। |