চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের মেট্রো রেলের সুড়ঙ্গে ধোঁয়া ঢুকে আতঙ্ক ছড়াল যাত্রীদের মধ্যে। শনিবার বিকেল সওয়া তিনটে নাগাদ মহাত্মা গাঁধী রোড স্টেশনে এই ঘটনা ঘটে। তবে ওই ঘটনার ফলে এ দিন মেট্রোয় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়নি।শুক্রবার দুপুরে এসপ্ল্যানেড এবং পার্ক স্ট্রিট স্টেশনের মাঝখানে জওহরলাল নেহরু রোডের পাশে থাকা একটি ভেন্টিলেশন যন্ত্রের মাধ্যমে ধোঁয়া ঢুকে যায় মেট্রোর সুড়ঙ্গে। দমকল ও মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন মহাত্মা গাঁধী রোড এবং চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের সংযোগস্থলে রাস্তার ধারের একটি বাড়িতে ওয়েল্ডিং-এর কাজ হচ্ছিল। সেখান থেকে আগুনের ফুলকি ছিটকে রাস্তার ধারে জড়ো করা পিচবোর্ডের বাক্সে আগুন লাগে। তার পাশেই ছিল মেট্রোর ভেন্টিলেশন রুম। যেখান দিয়ে ধোঁয়া ঢুকতে শুরু করে মেট্রোর সুড়ঙ্গে। তবে মেট্রো রেলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (সাধারণ) প্রত্যুষ ঘোষ জানান, স্টেশনের ভিতরে ধোঁয়া দেখতে পাওয়ার পরই ভেন্টিলেশন পাখা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তাই বেশি ধোঁয়া ভিতরে ঢুকতে পারেনি।
|
|
আনওয়ারুল |
গুলির আঘাতে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার উত্তেজনা ছড়াল একবালপুরে। পুলিশ জানায়, মৃত যুবকের নাম আনওয়ারুল হক ওরফে লাল। বাড়ি একবালপুর থানা এলাকার ময়ূরভঞ্জ রোডে। অভিযোগ, ফিরোজ আলম ওরফে কানা সঞ্জয় নামে এক যুবক লালকে গুলি করে পালিয়েছে। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিল বলেও পুলিশকে জানান বাসিন্দারা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সন্ধ্যায় দাদা জাহিরুল হকের বাড়ি থেকে ফিরছিলেন লাল। তখনই সঞ্জয়-সহ অন্যেরা তাকে লক্ষ করে তিনটি গুলি ছোড়ে। পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ডিসি (বন্দর) মেহবুব রহমান বলেন, “একটি গুলি লালের বুকে লাগে। অন্য দু’টি গুলি লেগেছে দেওয়ালে। দু’টির খোলও পাওয়া গিয়েছে।” তবে দুষ্কৃতীরা কী ভাবে এলাকা ছেড়ে পালাল, সে ব্যাপারে রাত পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি পুলিশ। এই ঘটনার পর সঞ্জয়ের আত্মীয়-পরিজনদের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতার একাংশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় বিরাট পুলিশবাহিনী।
|
বাম আমলে সল্টলেকে ঝুপড়িবাসীদের উচ্ছেদ করা হলেও বর্তমান সরকার সে পথে হাঁটবে না। তাঁদের পুনর্বাসনের জন্য চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য সরকার। শনিবার বিধাননগরে মতুয়া মহাসঙ্ঘের সম্মেলনে এ কথা জানান সহ-সঙ্ঘাধিপতি তথা রাজ্যের উদ্বাস্তু, ত্রাণ ও পুনর্বাসন দফতরের প্রতিমন্ত্রী মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর। তিনি বলেন, “আগের সরকার ঝুপড়িবাসীদের উচ্ছেদ করেছে। কিন্তু এখন উচ্ছেদ হচ্ছে না। এই পিছিয়ে পড়া অংশের জন্যই পুনর্বাসনের কথা ভাবা হচ্ছে।” এ দিন বিধাননগরের সেন্ট্রাল পার্কের পাশে স্থায়ী মেলা প্রাঙ্গণে সংগঠনের বিধাননগর শাখার আয়োজনে এই সম্মেলন হয়। অনুষ্ঠানে ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা বড়মা বীণাপানি দেবী। মতুয়ার নতুন সদস্যপদ ও পুননর্বীকরনের জন্য ঠাকুরনগরে সংগঠনের মূল কার্যালয়ে নিয়মিত যোগাযোগের উপর জোর দেন মঞ্জুলকৃষ্ণবাবু। সংগঠনের পক্ষে রবি হালদার, মহম্মদ সালাম মণ্ডল জানান, সল্টলেকে ঝুপড়িবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা। তাঁদেরই একটি বড় অংশ সংগঠনে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু এই ঝুপড়িবাসীদের এর আগে অনেক বার সল্টলেক থেকে উচ্ছেদ হতে হয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ।
|
কলেজের পূর্ণ সময়ের শিক্ষকদের মতো বেতন-কাঠামো ও অন্যান্য সুযোগসুবিধার দাবিতে আজ, রবিবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাবেন আংশিক সময়ের স্থায়ী শিক্ষকরা। তার আগে তাঁরা থালা হাতে নিয়ে গড়িয়াহাট মোড় থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়ি পর্যন্ত মিছিল করবেন। শনিবার আংশিক সময়ের শিক্ষক সমিতির আহ্বায়ক ইলোরা বিশ্বাসের অভিযোগ, “অনেকেই নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন না। পূর্ণ সময়ের শিক্ষকদের থেকে বেশি কাজ করেও যথাযথ সম্মান পাচ্ছি না আমরা।” তাঁর কথায়, “আমাদের দাবি-দাওয়া একাধিকবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে জানিয়েছি। সুরাহা না হওয়ায় এ বার খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে থালা হাতে বেতন কাঠামো ও সম্মান চাইতে যাব।”
|
যাদবপুরের পালবাজারে নির্মীয়মাণ একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে পুলিশ শনিবার সকালে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। কালো প্যান্ট এবং সাদা হাফ হাতা গেঞ্জি পরে থাকা ওই যুবকের বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। পুলিশ জানায়, ট্যাঙ্কের ভিতর উপুড় হয়ে পড়েছিলেন ওই যুবক। তাঁর এক হাতে ছিল একটি ‘হ্যাক-স ব্লেড’, অন্য হাতে জড়ানো ছিল ইলেকট্রিকের তার। আপাতদৃষ্টিতে তাঁর দেহে আঘাতের কোনও চিহ্ন মেলেনি।
|
অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক কলেজ ছাত্রীর। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম জুলি লেপচা (২১)। শনিবার রাতে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় এলিয়ট রোডের একটি বাড়ির বাথরুম থেকে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। নোটে অবশ্য মৃত্যুর জন্য ওই ছাত্রী কাউকে দায়ী করে যাননি। পুলিশ জানায়, দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীর বাড়ি কার্শিয়াং-এ। এলিয়ট রোডে পেয়িং গেস্ট হিসাবে থাকতেন। মৃতদেহটি ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। |