কংগ্রেসে বিক্ষোভ
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও বিধায়কের
বিরুদ্ধে নিয়োগে পক্ষপাতের অভিযোগ
সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পকে কেন্দ্র করে দলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও বিধায়কের বিরুদ্ধে ‘পক্ষপাতিত্বের’র অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামলেন মালদহের চাঁচলের কংগ্রেস কর্মীরা। সম্প্রতি চাঁচল-১ ব্লকে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী পদে নিয়োগের জন্য দলীয় স্তরে একটি প্যানেল তৈরি করা হয়। গত বুধবার দিন ওই নিয়োগের তালিকা বের হয়। গোটা ব্লকের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৫৩ জনের নিয়োগ হয়েছে। তবে দলের খরবা অঞ্চল কংগ্রেস অফিসের সর্বক্ষণের কর্মীর স্ত্রীর নাম ওই প্যানেলে না-থাকায় ক্ষুব্ধ কংগ্রেস কর্মীরা বৃহস্পতিবার রাতে কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন বলে অভিযোগ। সমস্যার সুষ্ঠু বিচার না-হওয়া পর্যন্ত কার্যালয় খুলতে দেওয়া হবে না বলেও হুমকি দিয়ে পোস্টারও লাগিয়েছেন তাঁরা। পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন এলাকার সিপিএম এবং তৃণমূল কর্মীরাও। ক্ষুব্ধ কংগ্রেস কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন দলের চাঁচল-১ ব্লক সভাপতি সচ্চিদানন্দ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “বিধায়ক এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির কথামতোই অঞ্চল কমিটিগুলোকে তালিকা করতে বলা হয়েছিল। তালিকার বেশ কিছু ক্ষেত্রে রদবদল হয়েছে। উত্তর মালদহের সাংসদকে সব জানিয়েছি।”
দলের দফতরেই তালা। ছবি: বাপি মজুমদার।
পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এলাকার কংগ্রেস বিধায়ক আসিফ মেহবুব এবং চাঁচল-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ইনতাজ হোসেন। আইসিডিএস নিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যান তথা চাঁচলের বিধায়ক আসিফ মেহবুব বলেন, “অজিতবাবুর স্ত্রীর নিয়োগ হলে ভাল হত। নম্বর কম থাকায় হয়নি। টাকা লেনদেন বা বেনিয়মের অভিযোগ ঠিক নয়।” পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ইনতাজ হোসেন বলেন, “টাকা নেওয়া বা বেনিয়মের অভিযোগ ঠিক নয়।” দলীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, ২০১০ সালের শেষে পরীক্ষা হয়। সেজন্য ৬ জনের কমিটিও তৈরি হয়। নিয়োগের পরীক্ষার পরেই ব্লকের ৮টি অঞ্চলের নেতৃত্বকে প্রাধান্যের ভিত্তিতে তালিকা তৈরি করতে বলা হয়। খরবা অঞ্চল কংগ্রেস অফিসের সর্বক্ষণের কর্মী অজিত সাহার স্ত্রী শেফালী দেবীকে অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকা পদে নিয়োগ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় বলে দলীয় সূত্রেই জানা যায়। খরবার প্রাক্তন প্রধান তথা কমিটির সদস্য সিরাজুদ্দিন আহমেদ বলেন, “অঞ্চল কমিটির তৈরি তালিকায় এক নম্বরে শেফালী দেবীর নাম ছিল। আমরা তা ব্লক কমিটির কাছে পাঠিয়ে দিই। তারপর কী হয়েছে জানি না। চাঁচল-১ সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের আধিকারিক নীতিশ সাহা বলেন, “খরবায় যা ঘটেছে সেটা কংগ্রেসের নিজেদের ব্যাপার। ওই ভাবে কোনও দলের তালিকা দেখে নিয়োগ হয়নি। ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমেই প্রার্থী বাছাই হয়েছে। বেনিয়মের অভিযোগ কেউ করলে অবশ্যই তা খতিয়ে দেখা হবে।” ব্লক তৃণমূল সভাপতি মজিবর রহমান, সিপিএমের চাঁচল জোনাল কমিটির সম্পাদক হামেদুর রহমান একযোগেই বলেন, “দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে দলীয় তালিকার বিষয়টি সামনে এসেছে। যেভাবে তালিকা তৈরি হয়েছে সেটা নির্লজ্জ পক্ষপাতিত্ব ছাড়া কিছু নয়।” ১৯৬৮ সাল থেকে কংগ্রেসের সর্বক্ষণের কর্মী হিসাবে কাজ করছেন অজিত সাহা। দলের ক্ষুব্ধ কর্মীদের অভিযোগ, চাটাইয়ের তৈরি ঘরে হতদরিদ্র অজিতবাবু ৩ ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন। তাঁর কাছে টাকা চাইতে পারবেন না বলেই নিয়োগ কমিটির সদস্যরা শেফালী দেবীর নাম প্যানেলে রাখেননি। না-হলে হাই স্কুলের শিক্ষকের স্ত্রী, সরকারি কর্মীর স্ত্রীকে কী করে নেওয়া হল। এমনকী, নিয়মবহির্ভূত ভাবে ওই পদে মাধ্যমিক পাশ এমনকী বিএ পড়ুয়া প্রার্থীকেও নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। অজিতবাবু বলেন, “৬৮ সাল থেকে বিনা পয়সায় দলের কাজ করছি। প্রত্যেকেই আমার অবস্থা জানেন। বিধায়ক, নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তাও আমার সঙ্গে প্রতারণা করা হল।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.