সন্তানকে মুখে রেখে পালন করে উপোসী বাবা মাছেরা |
শুধু আগলে রাখাই নয়, শত্রুর হাত থেকে সন্তানদের বাঁচাতে মুখের ভেতরে নিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পালিয়ে বেড়াতে হয়। এমনকী উপোসও করতে হয় তাদের। তারা আর কেউ নয়, অস্ট্রেলিয়ার বাবা কার্ডিনাল মাছেরা। কার্ডিনাল মাছেদের নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে জেমস কুক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই তথ্য তুলে ধরেছেন। তাঁদের এই গবেষণা ‘প্রসিডিং অফ দ্য রয়্যাল সোসাইটি বি জার্নাল’-এ প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণা অনুযায়ী মূলত আনুবীক্ষণিক উদ্ভিদ ও প্রাণীদের খেয়ে বেঁচে থাকে কার্ডিনাল মাছেরা। ডিম পাড়ার পরে মা মাছেদের আর দায়িত্ব থাকে না। এর পর সব দায়িত্ব নেয় বাবা কাডির্নালরা। ডিমগুলো তারা নিজেদের মুখে পুড়ে নেয়। এই সময় বাবা কাডির্নালরা কিচ্ছু খায় না। দেহে সঞ্চিত ফ্যাট থেকে কাজ করার শক্তি পায় তারা। সপ্তাহ খানেক পরে ডিম ফুটে বাচ্চা বেরোলে তবেই মুক্তি পায় বাবারা। কিন্তু এই আচরণই তাদের বড় বিপদের মুখে ফেলেছে বলে মনে করছেন গবেষকরা। তাঁদের মতে, পরিবেশ দূষণের জন্য পৃথিবীর উষ্ণতা যত বাড়ছে, তত সমুদ্রে অক্সিজেন ও কার্ডিনাল মাছের খাবারের পরিমাণ কমছে। ফলে প্রায় পাঁচ কোটি বছরের সন্তান পালনের অভ্যাস এখন প্রায় বিলুপ্তির মুখে।
|
ট্রেনের ধাক্কায় পূর্ণ বয়স্ক বাইসনের মৃত্যু হল বৃহস্পতিবার। ভোরবেলা টহলদারির সময় জলদাপাড়া উত্তর রেঞ্জের বনকর্মীরা তোর্সা রেল সেতুর কাছে বাইসনটির ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার করেন। কোচবিহারের ডিএফও রাজেন্দ্র জাখর বলেন, “রেল লাইন পেরোতে গিয়ে ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষে বাইইসটি মারা যায়। রেল দফতর পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।” বন দফতর সূত্রে জানা গেছে, বুধবার গভীর রাতে সম্ভবত বাইসনটি এক জঙ্গল থেকে অন্য জঙ্গলে যাওয়ার সময় রেল লাইন পেরোতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। তবে ট্রেন চালক কিংবা গার্ড এই ব্যাপারে কোনও রিপোর্ট কেন জমা দেননি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনাল ম্যানেজার সচ্চিদানন্দ সিংহ বলেন, “বন দফতরের দুজন কর্মী আমাদের কন্ট্রোল রুমে থাকেন। বন কর্তাদের সঙ্গে আমাদের সমন্বয় রয়েছে। তবে ট্রেনের ধাক্কায় জন্তুটি মারা গেলেও হয়তো বিষয়টি চালকের নজর এড়িয়ে যায়। সে কারণেই এখনও পর্যন্ত রিপোর্ট জমা পড়েনি।” |