তৃণমূল কর্মী খুনের অভিযোগে ধৃত তালড্যাংরার সিপিএম বিধায়ক মনোরঞ্জন পাত্রের সাত দিন পুলিশ হেফাজত হল। পুলিশ তাঁকে আট দিন নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল। বুধবার খাতড়া আদালতের এসিজেএম ফটিকচন্দ্র মণ্ডল তাঁকে সাত দিন পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাঁকুড়া জেলা আদালতের সরকারি কৌঁসুলি রিনা চক্রবর্তী তদন্তের স্বার্থে মনোরঞ্জনবাবুকে পুলিশের হেফাজতে দেওয়ার জন্য খাতড়ার এসিজেএমের কাছে আবেদন জানান। পরে তিনি বলেন, “এসিজেএম ধৃতকে সাত দিন পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।”
পুলিশের এই আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার শুনানি এক দিন পিছিয়ে দিয়ে বিচারক তদন্তকারী অফিসারকে মনোরঞ্জনবাবুকে জেরা করার অডিও ভিডিও ফুটেজ চেয়েছিলেন। এ দিন মনোরঞ্জনবাবুর আইনজীবী চঞ্চল রায় তাঁকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর বিরোধিতা করেন। রিনাদেবীর যুক্তি, “নিম্ন আদালত ও হাইকোর্ট মনোরঞ্জনবাবুর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করেছে। পুলিশের তদন্তের কাজে মনোরঞ্জনবাবুকে জেরা করার খুবই প্রয়োজন।” এ দিন কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় মনোরঞ্জনবাবুকে খাতড়া আদালতে নিয়ে আসা হয়।
২০১০ সালের ২৯ জুন তালড্যাংরা থানার রাজপুর গ্রামে সিপিএম ও তৃণমূলের সংঘর্ষ হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে তৃণমূল কর্মী মদন খাঁ মারা যান। তাঁর স্ত্রী ও এক ছেলেও জখম হন। ওই ঘটনায় সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মনোরঞ্জন পাত্র ও তাঁর ভাই জিতেন পাত্র-সহ ২২ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের ছেলে ইসমাইল খা। ২৭ ফেব্রুয়ারি মনোরঞ্জনবাবু খাতড়া আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। |