বিধি না মেনে বনসৃজন প্রকল্পে লাগানো বেশ কিছু গাছ কাটায় মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠল সিঙ্গুরের গোপালনগর পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের প্রেমপ্রসাদ অধিকারীর বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার বিডিও বিষ্ণু কবিরাজ এ ব্যাপারে থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন। পুরো বিষয়টি জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি বন দফতরের কর্তাদের জানানো হয়েছে। অস্বস্তিতে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান দাবি করেছেন, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, সিঙ্গুরের গোপালনগর পঞ্চায়েতের গড়বাড়ি এলাকায় বনসৃজন প্রকল্পে লাগানো ১৬টি গাছ সম্প্রতি প্রভাস সামন্ত নামে এক ব্যক্তি কেটে ফেলেন। ঘটনার প্রতিবাদে নামেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। বিষয়টি জানানো হয় ব্লক অফিসে।
গ্রামবাসীরা স্মারকলিপিও দেন। এরপরই প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। তদন্তে নেমে প্রশাসন জানতে পারে প্রভাসবাবু কাঠের ব্যবসায় যুক্ত। তিনি ওই সব গাছ কেটে নিজের করাত-কলে নিয়ে যান। তদন্তকারীদের দাবি, প্রভাসবাবু জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত প্রধানের অনুমতি সাপেক্ষেই তিনি গাছ কেটেছেন। ওই সব গাছের দাম হিসেবে তিনি প্রধানকে দশ হাজার টাকা দিয়েছেন। যদিও সেই টাকার কোনও রসিদ তিনি পাননি। প্রভাসবাবুর নামেও এফআইআর করা হয়েছে। ওই গাছ কাটা নিয়ে সিদ্ধান্তের কোনও উল্লেখ পঞ্চায়েতের কোনও কাগজপত্রে মেলেনি। এর পরেই প্রশাসন নিশ্চিত হয়, ওই গাছ কাটার ক্ষেত্রে কোনও নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করা হয়নি।
প্রশাসনের মতে, কোনও পঞ্চায়েতের কর্তারা একক ভাবে চাইলেই গাছ কাটতে পারেন না। কিছু নিয়ম-নীতির মধ্যে দিয়ে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বন দফতরের অনুমতি থাকা বাধ্যতামূলক। কারণ, গাছ কাটার আগে নিশ্চিত হওয়া দরকার, সেই সব গাছ আদৌ পরিণত কি না। তা নির্ধারণ করে বন দফতর। কিন্তু ওই পঞ্চায়েতের প্রধান সেই সব নিয়ম মানেননি বলে অভিযোগ।
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রেমপ্রসাদবাবু। তাঁর দাবি, “আমাকে ফাঁসানোর জন্য একটি চক্র সক্রিয়। তারাই ও সব করছে। আমি কোনও টাকা নিইনি। আমাদের স্থানীয় নেতাদের অনুমতিতে প্রভাসবাবু গাছ কেটেছেন।”
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য প্রভাসবাবুর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
এসডিপিও (চন্দননগর) তথাগত বসু বলেন, “গাছ কাটার বিষয়টি নিয়ে পুলিশ মামলা শুরু করেছে। তদন্ত এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। গাছ কাটার ক্ষেত্রে নিয়ম না মানার বিষয়টি প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে নিশ্চিত ভাবেই উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
চিতা বাঘের ছাল পাচারে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে নকশালবাড়ি থানার হাতিঘিষা থেকে তাদের ধরা হয়। নাম অমিত ধর ও সাগর রায়। অমিতের খড়িবাড়ির ও সাগর থাকে রায়গঞ্জে। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “বন দফতরকে খবর দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” |