যাদবপুর-কাণ্ড
অভিযুক্তেরাই শাসাচ্ছে, ফের উঠল অভিযোগ
পুলিশের দাবি, অভিযুক্তেরা এলাকা-ছাড়া। তল্লাশি চালিয়েও কোনও হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ, শিল্প-ধর্মঘটের দিন সিপিএমের যাদবপুর জোনাল অফিস ভাঙচুরের সময়ে সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল-সমর্থকেরা দিনেদুপুরে এলাকার মানুষকে শাসানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। স্থানীয় বাসিন্দা পরিমল রায় বুধবার সন্ধ্যায় পাটুলি থানায় তারক দাস ও পুলক চৌধুরী নামে দুই তৃণমূল-সমর্থকের বিরুদ্ধে শাসানির অভিযোগ দায়ের করেন।
ডিসি (সাউথ সাবার্বান) বিশ্বরূপ ঘোষ বলেন, “পরিমলবাবুর অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের ধরার জন্য লাগাতার তল্লাশি অভিযান চলছে।” অন্য দিকে, তৃণমূলের ১১ নম্বর বরো চেয়ারম্যান গোপাল রায় বলেন, “বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে। এলাকায় ঘোরাফেরা করলে পুলিশই ব্যবস্থা নেবে। তবে, আমার কাছে এ বিষয়ে কোনও খবর নেই।”
২৮ ফেব্রুয়ারি, শিল্প-ধর্মঘটের দিন সিপিএমের যাদবপুর জোনাল অফিস ভাঙচুরের সময়ে কর্তব্যরত সাংবাদিক ও চিত্র-সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনায় কলকাতা পুলিশের কর্মী তারক দাস-সহ তৃণমূল কংগ্রেসের ন’জনের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করা হয়। সিপিএমের তরফেও জোনাল অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় তৃণমূল-সমর্থকদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশকর্তাদের বক্তব্য, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তেরা এলাকা-ছাড়া। তল্লাশি চালিয়েও তাদের ধরা যায়নি। ঘটনার পরে বিভাগীয় তদন্তের ভিত্তিতে তারক দাসকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কিন্তু তারক দাস-সহ ন’জন তৃণমূল-সমর্থক পুলিশের কাছে এখনও অধরা। তারক দাস ও পুলক চৌধুরীর নাম পরিমলবাবুর অভিযোগ-সহ তিনটি এফআইআরেই রয়েছে।
পরিমলবাবুর অভিযোগ, গত শুক্রবার সকালে তিনি ওষুধ কিনতে কেন্দুয়া মোড়ের কাছে গিয়েছিলেন। ওষুধের দোকান থেকে রাস্তায় আসার পরেই মোটরসাইকেল নিয়ে তারক দাস ও পুলক চৌধুরী নামে ওই দুই তৃণমূলকর্মী পথ আটকে দাঁড়ায়। সিপিএমের মিছিলে হাঁটার জন্য তারা পরিমলবাবুকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, শিল্প-ধর্মঘটের দিন দলীয় জোনাল অফিস ভাঙচুর ও সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে পরের দিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে মিছিল করেছিল সিপিএম। ওই মিছিলেই যোগ দেন পরিমলবাবু।
অন্য দিকে, যাদবপুরেই একটি দোকানে জোর করে তালা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বুধবার দোকানটি খুলে দেয় পুলিশ। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, শিল্প-ধর্মঘটের দিন যাদবপুর স্টেশন লাগোয়া চারাগাছের দোকান খোলেননি শ্যামল পাল। অভিযোগ, সেই ‘অপরাধে’ সোমবার থেকে দোকানটি তালাবন্ধ করে দেয় স্থানীয় তৃণমূল-সমর্থকেরা। যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শ্যামলবাবু। এ দিন তালা ভেঙে দোকানটি খুলে দেওয়া হয়েছে বলে যাদবপুর থানা সূত্রের খবর।
ডিসি (সাউথ সাবার্বান) বলেন, “অভিযোগের তদন্ত করে ওই দোকানের তালা খুলে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।”
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.