ওষুধ সঙ্কট হাসপাতালে
ত ৭বছর ধরে মানসিক রোগে ভুগছেন জলপাইগুড়ির আরক্ষাপল্লির যুবতী সঞ্জু মাহাতো। চিকিৎসকের নির্দেশে দুই বেলা করে চারটি ওষুধ খেতে হয়। গত চার মাস ধরে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল থেকে ওষুধ সংগ্রহ করতে পারছেন না তাঁর পরিবার। পরিবারের আর্থিক সমস্যার জন্য বাজার থেকে দামি ওষুধ কিনতে না পারায়, রোগ জটিল আকার ধারণ করেছে যুবতীর। একই সমস্যা পোড়াপোড়ার বাসিন্দা প্রদীপ শীলেরও। ১০ বছর ধরে নিয়মিত মানসিক রোগের ওষুধ খেতে হয় তাঁকে। চার মাস ধরে তাঁরও ওষুধ বন্ধ রয়েছে। গত সপ্তাহেই শ্বাসকষ্টের জন্য জীবনদায়ী ইনজেকশন হাসপাতালে না পেয়ে কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানান এক চিকিৎসক। সেই ইনজেকশন এখনও অমিল হাসপাতালে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণ বিভাগে সরকারি তালিকা অনুযায়ী প্রায় ২৫ রকমের ওষুধ সবসময় মজুত থাকার কথা। কিন্তু বর্তমানে হাসপাতালে মাত্র ৭ রকমের ওষুধ রয়েছে। মানসিক বিভাগে ২২ রকমের ওষুধ মজুত থাকার সরকারি নির্দেশ থাকলেও রয়েছে মাত্র ২ ধরণের ওষুধ। মৃগী রোগের, চর্ম রোগের এমনকী কুষ্ঠ বিভাগেরও ওষুধ হাসপাতালে মিলছে না বলে রোগীর অভিযোগ। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ওষুধ সমস্যা নিয়ে জেলার স্বাস্থ্য দফতরের মধ্যেই টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। ওষুধের সঙ্কট তৈরি হওয়ায় জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে খবর যায়। জেলা দফতর থেকে বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সরকারি নিয়মে স্থানীয় ভিত্তিতে ওষুধ কিনে রোগীদের সরবারহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অভিযোগ, “একাংশ ওষুধ ব্যবসায়ীর চাপেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওষুধ সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হচ্ছে না। এতে খোলা বাজার থেকে চড়া দামে রোগীরা ওষুধ কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।” জলপাইগুড়ি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপন কুমার সরকার বলেন, “সরকারি নিয়ম অনুযায়ী স্থানীয় ভিত্তিতে ওষুধ কিনে সমস্যা মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বিশেষ করে গরীব রোগীদের জন্যই এই নির্দেশ নেওয়া হয়েছে। এখনও কেন সমস্যা মেটেনি তা খোঁজ নিয়ে দেখব।” সদর হাসপাতালের সুপার ব্রজেশ্বর মজুমদার বলেন, “সংবাদমাধ্যমে আমার কোনও মন্তব্য করা সম্ভব নয়। স্বাস্থ্য দফতরের বারণ রয়েছে।” জলপাইগুড়ি ওয়েলফেয়ার সংস্থার সচিব সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, “সদর হাসপাতালে ওষুধের সঙ্কট চরমে পৌঁছেছে। দফায় দফায় কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরেও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ইচ্ছে করে ওষুধ সরবারহ বন্ধ করে একাংশ ওষুধ ব্যবসায়ীকে মুনাফা করার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.