খেলার টুকরো খবর

কলুর ঘানি ঘোরা
এক সময় তৈলবীজ থেকে তেল বের করার জন্য ঘানি-যন্ত্রে বলদ গরুকে চোখে নাল-কাপড় বেঁধে বৃত্তাকার পাকে ঘোরানো হত। মূলত ‘কলু’ সম্প্রদায়ের লোকেরা সেই কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সাধক কবি রামপ্রসাদের গানেও তার উল্লেখ রয়েছে। কবি লিখেছিলেন, ‘মা আমায় আর ঘুরাবি কত/ চোখ বাঁধা কলুর বলদের মত’। ঘানি-যন্ত্রের ওই রূপকের আদলেই একসময় চালু ছিল একটি খেলা। খেলাটির প্রচলিত নাম ‘কলুর ঘানি ঘোরা’। ছেলে-মেয়ে এক সঙ্গে কিংবা পৃথক পৃথক ভাবে খেলাটিতে যোগ দিতে পারে। সমান সংখ্যক খেলোয়াড় নিয়ে মূলত দু’টি দলে খেলা চলে। কোন দল আগে দান পাবে তা স্থির হয় টসের মাধ্যমে। খেলার জন্য মাঠের মাঝে একটি ছোট্ট গর্ত করা হয়। খেলার ভাষায় গর্তটিকে বলা হয় ‘জাঠ’। ওই গর্ত ঘিরে টসজয়ী দল হাত ধরাধরি করে বৃত্তাকারে ঘোরে। বিপক্ষদল তাদের পাহাড়ায় থাকে। নিয়ম হল, ওই ভাবে ঘুরতে ঘুরতেই বিপক্ষের ছোঁয়া বাঁচিয়ে একজন করে হাত ছাড়িয়ে ছুটে পালাতে হবে। বিপক্ষদের তাড়া করে দশ লাফ দূরত্বের মধ্যে তাকে ছুঁতে হবে। কারণ ছোঁয়ার পর দশ লাফ দিয়ে গর্তে পৌঁছতে পারলে তবেই যাকে ছোঁয়া হয়েছে সে ‘মরা’ ঘোষিত হবে। তখন বিপক্ষ দলের দান নেওয়ার সুযোগ মিলবে। অন্যথায় একে একে অন্যরা হাত ছাড়িয়ে চলে যাওয়ার পর সর্বশেষ খেলোয়াড়কে গর্তে পায়ের পিছন দিক থেকে রেখে পাকে পাকে ঘুরতে হয়। সুযোগ পেলেই বিপক্ষের ছোঁয়া বাঁচিয়ে তাকেও পালাতে হয় নিরাপদ দূরত্বে। সর্বশেষ খেলোয়াড় ওই ভাবে ছোঁয়া বাঁচিয়ে নিরাপদ দূরত্বে পালাতে পারলেই সঙ্গী খেলোয়াড়রা ‘তেল’ও বলে চেঁচিয়ে ওঠে। অর্থাৎ একবার ‘তেল’ বের করার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়। ফের একই প্রক্রিয়ায় খেলা চলে। যতক্ষণ পর্যন্ত কেউ ‘মরা’ না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত বিপক্ষের দান নেওয়ার সুযোগ আসে না। খেলা শেষে যে দল বেশি ‘তেল’ সংগ্রহ করতে পারবে সেই দলই জয়ী হবে। এক সময় দীর্ঘদিন ঘানি ঘোরা খেলেছেন ময়ূরেশ্বরের লোকপাড়া গ্রামের তরুণ মুদি, ডাঙাপাড়ার গৌরাঙ্গ ধীবররা। তাঁরা বলেন, “ঘানি থেকে কলুদের তেল বের করার দিন হারিয়ে গিয়েছে। হারিয়ে গিয়েছে ‘ঘানি ঘোরা’ খেলাও। কিন্তু মনে রয়ে গিয়েছে ওই খেলার স্মৃতি।” (হারিয়ে যাওয়া খেলা-পর্ব ১১)

জয়ী ভুবনডাঙা
বোলপুরের ভুবনডাঙা ইয়ুথ ক্লাব পরিচালিত ১৬ দলের নক আউট ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল আয়োজক সংস্থা। ২৯ ফেব্রুয়ারি শান্তিনিকেতন মেলার মাঠে প্রতিযোগিতা হয়। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ভুবনডাঙা নির্ধারিত ১৬ ওভারের খেলায় ৬ উইকেটে ২৪৭ রান করে। জবাবে স্থানীয় দর্জি পাড়া যুব সঙ্ঘ ২২৬ রান করে। ম্যান অফ দ্য ম্যাচ ও ম্যান অফ দ্য সিরিজ দুই হয়েছেন ভুবনডাঙার প্রদীপ মণ্ডল। খেলায় হাজির ছিলেন বোলপুর মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক তাপস দে, বোলপুর টাউন ক্লাবের সম্পাদক গৌতম গড়াই, ক্রীড়াবিদ সদানন্দ নায়েক প্রমুখ।

চ্যাম্পিয়ন বোলপুর
বোলপুরের দুর্গাপুর সিদধো-কানহু লোকসংস্কৃতি কেন্দ্র পরিচালিত ১৬ দলের নক আউট ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল হ্যালো বোলপুর। ২৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় ধান্যসড়া সিধো-কানহো ময়দানে ওই প্রতিযোগিতা হয়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে হ্যালো বোলপুর নির্ধারিত ১৬ ওভারে ৬ উইকেটে ৮৬ রান করে। জবাবে বোলপুর এসএসসি ৮ উইকেটে ৮২ রান করে। ম্যান অফ দ্য ম্যাচ ও ম্যান অফ দ্য সিরিজ নির্বাচিত হয়েছেন হ্যালো বোলপুরের পান্থ বাগদি এবং সুদীপ দে। খেলায় হাজির ছিলেন সংশ্লিষ্ট সিয়ান-মুলুক পঞ্চায়েতের প্রধান সোমনাথ মুর্মু, বোলপুর মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক তাপস দে প্রমুখ।

বোলপুরে ক্রিকেট
বোলপুর মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার পরিচালনায় ১৪ মার্চ থেকে বোলপুর স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে আন্তঃ ক্লাব ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। ২৪ মার্চ পর্যন্ত ওই প্রতিযোগিতা চলবে। মহকুমার ৪টি ক্লাব ওই প্রতিযোগিতায় যোগ দেবে। ক্লাবগুলি হলবোলপুর টাউন ক্লাব, বোলপুর ইয়াং টাউন ক্লাব, দেবেন্দ্রগঞ্জ ইয়ুথ অ্যান্ড বয়েজ ক্লাব এবং সুপুর দেবদূত ক্লাব। মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক তাপস দে জানিয়েছেন, উইনার্স এবং রানার্স দল আন্তঃমহকুমা প্রতিযোগিতায় যোগ দেবার সুযোগ পাবে।

ব্যাডমিন্টন
জেলা ক্রীড়া সংস্থার পরিচালনায় ১৪ মার্চ থেকে সিউড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শুরু হবে ৪ দিন ব্যাপী পুরুষ ও মহিলাদের অল বেঙ্গল সিনিয়ার র্যাঙ্কিং ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ানশিপ প্রতিযোগিতা। যোগ দেবে বিভিন্ন জেলার ৯০ জন প্রতিযোগী।

পুরুলিয়ায় ক্রিকেট
আন্তঃজেলা সিনিয়র ক্রিকেট প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে পুরুলিয়া শহরের হিলভিউ মাঠে। সোমবার থেকে ওই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে ‘এ’ বিভাগের খেলা। সিএবি পরিচালিত ও মানভূম ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে এ বিভাগের তিন জেলা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মেদিনীপুরকে নিয়ে খেলাগুলি শুরু হয়েছে। মানভূম ক্রীড়া সংস্থার ক্রিকেট সম্পাদক হিমাদ্রি বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সোমবার উদ্বোধনী খেলায় পুরুলিয়া হারিয়েছে মেদিনীপুরকে। প্রথমে ব্যাট করে পুরুলিয়া নির্ধারিত ৪৫ ওভারে করেছিল ২২৬ রান। জবাবে মেদিনীপুর ১৩৩ রানে অল আউট হয়ে যায়। পুরুলিয়ার রোহিত মিত্র ২২ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছে। পুরুলিয়ারই বিশ্বরূপ মাহাতো ৬৮ রান করেছে।

স্বামী বিবেকানন্দ আন্তঃ কলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চূড়আন্ত খেলাগুলি অনুষ্ঠিত হল সোমবার ইঁদপুর ব্লকের শালডিহা কলেজে। ওইদিন আনুষ্ঠানিক ভাবে মশাল জ্বালিয়ে উদ্বোধন করেন রাজ্যের শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শ্যাম মুখোপাধ্যায়। এ বার এই প্রতিযোগিতা তেরো বছরে পড়ল। প্রতিযোগিতায় জেলার ১৪টি কলেজের ২৭০ জন প্রতিযোগী যোগ দিয়েছিল। দৌড়, ফুটবল-সহ নানা খেলা হয়। ফুটবলে চ্যাম্পিয়ান হয়েছে পাঁচমুড়া কলেজ। ফাইনালে পাঁচমুড়া কলেজ ১-০ গোলে বড়জোড়া কলেজকে হারিয়েছে।

বিবেকানন্দ ফুটবল কাপ জিতল চাকলতা ফুটবল দল। স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম সার্ধ শতবর্ষ উপলক্ষে ওই ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল পলাশকোলার মর্ডান ক্লাব ও যুব দল। ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে আদ্রার বিবেকানন্দ ময়দানে খেলা শুরু হয়েছিল। যোগ দিয়েছিল রঘুনাথপুর মহকুমার ১৬টি দল। রবিবার ফাইনাল খেলায় মুখোমুখি হয়েছিল চাকলতা ও রঙ্গিলাডি সবুজ সঙ্ঘ। ২-১ গোলে রঙ্গিলাডিকে হারিয়েছে চাকলতা জয়ী ও পরাজিত দলগুলিকে পুরস্কৃত করা ছাড়াও উদ্যোক্তারা পুরস্কার দিয়েছেন সেরা দর্শককে। উপস্থিত ছিলেন রঘুনাথপুরের এসডিপিও দ্যুতিমান ভট্টাচার্য, চিকিৎসক উদয়চাঁদ বন্দ্যোপাধ্যায় ও আদ্রার কিছু প্রাক্তন ফুটবলার।

বিষ্ণুপুরে সুপার লিগ ক্রিকেট
বিষ্ণুপুর মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত সুপারলিগ ক্রিকেটে শ্যামসুন্দরপুর সেবা সঙ্ঘকে ৫ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল কোতুলপুর বিবেকানন্দ ক্লাব। সম্প্রতি বিষ্ণুপুর স্টেডিয়ামে খেলা হয়। এই জয়ে আন্তজেলা কাপ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার সুযোগ পাবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.