বিদ্যালয় ভবনের পাশে জীর্ণ ফ্লাড শেল্টারকে ঘিরে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। জোতলা ভবনের ওই ফ্লাড সেন্টারটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে প্রায় ভগ্নদশা। যখন তখন ছাদ থেকে খসে পড়ছে চাঙড়। বিদ্যালয়ের একেবারে পাশে হওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের সেখানে যাতায়াত রয়েছে। এই অবস্থায় যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ছাত্রছাত্রীদের সতর্ক করার পাশপাশি প্রশাসনের কাছে ওই জীর্ণ ভবনটি সংস্কার করার অনুরোধ জানিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের অনুরোধে প্রশাসন কোনও সাড়াশব্দ করছে না বলে অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষের।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর-১ ব্লকের নগেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নগেন্দ্রপুর গ্রামে প্রায় ৩৫ বছর আগে তৈরি হয়েছিল ফ্লাড শেল্টারটি। প্রথম প্রথম বন্যাদুর্গতদের আশ্রয়ের কাজে লাগলেও বছর দশেক ধরে সেটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তার উপর কোনওরকম সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে দোতলা ভবনির প্রায় ভগ্নদশা। |
খসে পড়ছে দেওয়ালের পলেস্তারা, ছাদের চাঙড়। এ দিকে শেল্টারের একেবারে পাশেই রয়েছে নগেন্দ্রপুর হেমন্তকুমারী হাইস্কুল। স্কুলের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার টিফিন বা ছুটির সময় পড়ুয়ারা ওই পরিত্যক্ত ফ্লাড শেল্টারে খেলাধুলা করে। উঠে যায় দোতলায়। জীর্ণ ভবনটিতে এ পড়ুয়াদের দাপাদাপিতে আশঙ্কিত স্কুল কর্তৃপক্ষ। যে কোনও সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সহকারি প্রধান শিক্ষক নিতাইচাঁধ নাইয়া বলেন, “ভাঙাচোরা ওই প্লাড শেল্টারে যাতে ছাত্রছাত্রীরা না ঢোকে সে জন্য নোটিস লাগিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু পড়ুয়াদের আটকানো যায়নি।” সহকারি শিক্ষক বিজয় জাটুয়া বলেন, “ফ্লাড শেল্টারটি সংস্কারের জন্য বিডিও এবং মথুরাপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতিকে বহুবার অনুরোধ করা হয়েছে। কয়েক বছর আগে বিডিও এসে ফ্লাড শেল্টারটি পরিদর্শনও করে যান। কিন্তু সমস্যা থেকেই গিয়েছে।”
মথুরাপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কংসমোহন কয়াল বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অবশ্যই এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বিডিও দেবর্ষি রায় বলেন, “এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোনও অভিযোগ পাইনি। এ ব্যাপারে দ্রুত খোঁজ নিচ্ছি। প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |