কলেজ ভোট: সন্ত্রাসের অভিযোগ এসএফআইয়ের
উত্তর ২৪ পরগনায় আধিপত্য ধরে রাখল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ
লেজ নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় আধিপত্য ধরে রাখল তৃণমূল। একটি কলেজ বাদে ওই দলের ছাত্র সংগঠন বা জোট প্রায় সব কলেজে জয়লাভ করেছে। তবে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে বেশ কয়েকটি কলেজের নির্বাচন বয়কট করে এসএফআই। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ অবশ্য এসএফআই-এর অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
হাবরায় শ্রী চৈতন্য কলেজের মঙ্গলবার নির্বাচনে ১৮৮টি আসনের মধ্যে ১৮০টিরও বেশি আসনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ জয়ী হয়। এখানে মনোনয়ন জমা দিলেও এ দিন এসএফআই নির্বাচন বয়কট করে। ফলে এখানে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে ছাত্র পরিষদের লড়াই হয়। এসএফআইয়ের হাবরা জোনাল কমিটির সম্পাদক দীপাঞ্জন সাহা বলেন, “এসএফআই প্রার্থীদের বাড়িতে-বাড়িতে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও কাজ না হওয়ায় আমরা নির্বাচন বয়কট করেছি।”
জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি সঞ্জয় রাহা বলেন, “হেরে যাওয়ার পরে সন্ত্রাসের এই নাটক ওরা প্রায় সব কলেজ নিয়েই করেছে।” অন্য দিকে বেলঘরিয়ার হীরালাল মজুমদার মেমোরিয়াল কলেজ ফর উইমেন্স-এ ছাত্র সংসদের নির্বাচনে ২৩টি আসনেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ জয়লাভ করেছে।
বনগাঁর দীনবন্ধু কলেজে তৃণমূলের ‘সন্ত্রাস’-এর প্রতিবাদে
মিছিল বামেদের। মঙ্গলবার বনগাঁয় পার্থসারথি নন্দীর তোলা ছবি।
সোমবার বনগাঁর দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয়ে ২৬৩টি আসনের লড়াইয়ে মাঝপথে তাঁদের প্রার্থীদের মারধর করে পরিচয়পত্র কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে নির্বাচন বয়কট করে এসএফআই। এর প্রতিবাদেই মঙ্গলবার বনগাঁ শহরে বামেদের পক্ষ থেকে মিছিল করা হয়। ওই কলেজের ফলাফল এখনও প্রকাশ হয়নি।
বাকি কলেজে সোমবার নির্বাচন হয়। এর মধ্যে নহাটা যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে ১১৪টি আসনের মধ্যে সব ক’টিতেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ জয়ী হয়েছে। এসএফআই ৪৮টি আসনে মনোনয়ন জমা দিলে ওই ক’টি আসনে নির্বাচন হয়। পরে তার মধ্যে ১৪টি আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়। নির্বাচনের দিন এসএফআই যোগ দেয় না। এসএফআই-এর বনগাঁ জোনাল কমিটির সম্পাদক নিশীথ মণ্ডল বলেন, “তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারণেই আমরা ওই কলেজ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলাম।”
অশোকনগর নেতাজি শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়েও জয়ী হয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এখানে তৃণমূল ছাত্রপরিষদের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যেই মূলত লড়াই হয়। এসএফআই এখানে লড়াই করেনি। ১০৯টি আসনে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর প্রায় ২০০ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। এসএফআই-এর সব মনোনয়নপত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সঞ্জয়বাবুর দাবি, “যে গোষ্ঠীই জিতুক ছাত্র সংসদ তো আমাদের।”
বসিরহাট কলেজে এসএফআই কোনও মনোনয়ন জমা না দেওয়ায় ১২১টি আসনের মধ্যে ৪টি ডিএসও ও বাকি সবক’টি আসনেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও ছাত্র পরিষদ জোট জয়লাভ করে। সন্দেশখালি কালিনগর মহাবিদ্যালয় অবশ্য দখল নেয় এসএফআই। এখানে তারা ১৫টি এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ৮টি আসনে জয়লাভ করে। টাকি গভর্নমেন্ট কলেজে ছাত্র পরিষদ ৭৫টি, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও বিজেপি জোট ১৬টি এবং এসএফআই ৪টি আসনে জয়লাভ করে।
তেঁতুলিয়া শহিদ নুরুল ইসলাম মহাবিদ্যালয়ে তৃণমূল ও কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের জোটই জয়লাভ করেছে। জোট পেয়েছে ৫৬টি এবং এসএফআই ২৩টি আসনে জয়লাভ করে। বেড়াচাঁপা চন্দ্রকেতু শহিদুল্লা মহাবিদ্যালয়ে ছাত্র পরিষদ ২৮টি, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ১৪টি ও এসএফআই ৩টি আসনে জয়লাভ করে। রাজারহাট ডিরোজিও কলেজেও ছাত্র সংসদের ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সেখানে দু’দলে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। ৩৩টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ২৫টি আসনেই জয়লাভ করে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.