জেনারেল ডায়েরির মূল্য হাজার টাকা!
নদিয়ার হাঁসখালি থানা এমনই দর হেঁকেছে। তবে দরাদরি করে শেষ পর্যন্ত পাঁচশো টাকায় নামতে চাইলেও পাসপোর্ট খোয়া যাওয়ায় সাহাপুরের বাসিন্দা বিদ্যুৎ বিশ্বাস অবশ্য রাজি হননি। ঘটনাটি তিনি সরাসরি জেলার পুলিশ সুপার সব্যসাচীরমণ মিশ্রের কাছে অভিযোগ করেছেন। সব্যসাচীবাবু বলেন, ‘‘থানার কোনও পুলিশকর্মী এমন করে তাকলে তা গর্হিত অপরাধ। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছি। সেই সঙ্গে ওই ব্যক্তির ডায়েরিও নিতে বলেছি। তদন্ত করে ওই পুলিশ অফিসারকে চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে।”
বিদ্যুৎবাবুর অভিযোগ, থানায় ডায়েরি করতে গিয়ে শুধু এই অভিজ্ঞতাই নয়, টাকা দিতে না চাওয়ায় তাঁকে ধাক্কা মেরে বের করেও দেওয়া হয়। পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে তড়িঘড়ি অবশ্য বিদ্যুৎবাবুর ডায়েরি নেওয়া হয় এরপরেই। তবে হাঁসখালি থানা সূত্রে দাবি করা হয়েছে, আদপেই এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। থানার ওসির-ও বক্তব্য, কেউ এমন কাজ করে থাকলে তাকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিদ্যুৎবাবু দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছেন। সম্প্রতি ভর্তি ছিলেন শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। সেখান থেকে বাড়ি ফিরে পাসপোর্ট খুঁজে না পাওয়ায় সোমবার সাধারণ ডায়েরি করতে যান হাঁসখালি থানায়। বিদ্যুৎবাবুর অভিযোগ, “থানার কর্তব্যরত ওই অফিসার আমার কাছে প্রথমে হাজার টাকা দাবি করেন। তখন আমি আমার অসুস্থতা সংক্রাম্ত কাগজপত্র দেখালে তিনি ৫০০ টাকা ছাড় দেন। আমি তাতেও রাজি না হওয়ায় এবং টাকা কেন দিতে হবে জানতে চাইলে তিনি জামার কলার ধরে ধাক্কা মারতে মারতে আমাকে বের করে দেন।” শুধু তাই নয়, ওই পুলিশকর্মী এরপরে তাঁকে হুমকি দিয়েছিলেন হাঁসখালি থানায় আর কোনওদিন ডায়েরি করতে পারবেন না তিনি বলেও।
বছর দুয়েক আগে দুবাই গিয়েছিলেন তিনি। অসুস্থ হয়ে ফিরে আসার পর সংসার চালাতে টানাটানি হওয়ায় ফের বিদেসে পানি দিতে চান তিনি। তখনই পাসপোর্ট খুঁজতে গিয়ে দেখেন সেটি কোনওভাবে খোওয়া গিয়েছে। |