শিল্প ধর্মঘটের দিন দোকান খোলেননি তিনি। অভিযোগ, সেই ‘অপরাধ’-এ তালা লাগিয়ে তাঁর দোকান বন্ধ করে দিয়েছে তৃণমূলের সমর্থকেরা। এক বার নয়। দু’দফায় ঘটনাটি ঘটেছে যাদবপুর স্টেশন এলাকায়। দোকানদার এবং তাঁর এক কর্মীকে মারধরও করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
দোকানের মালিক যাদবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ দোকান খোলার ব্যবস্থা করেনি। ডিসি (সাউথ সুবার্বান) বিশ্বরূপ ঘোষ বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” দলীয় কর্মীদের এই ‘জুলুম’-এর ব্যাপারে যাদবপুরের তৃণমূলের বিধায়ক মণীশ গুপ্ত বলেন, “আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।”
পুলিশি সূত্রের খবর, ২৮ ফেব্রুয়ারি, শিল্প ধর্মঘটের দিন যাদবপুর স্টেশনের গায়ে তাঁর ফুলফলের চারাগাছের দোকান বন্ধ রেখেছিলেন শ্যামল পাল। তাঁর অভিযোগ, পরের দিন সকালেই তৃণমূল-সমর্থকেরা তাঁকে হুমকি দিতে থাকে। সোমবার বিকেলে দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে শ্যামলবাবুর অভিযোগ।
|
শ্যামলবাবু বলেন, “বিকেলে তালার চাবি আমাকে দিয়ে বলা হয়, দোকান খোলা চলবে না। সন্ধ্যার পরে আমি যাদবপুর থানায় গিয়ে ওদের সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করি।”
মঙ্গলবার সকালে তালা খুলে দোকান চালু করেন শ্যামলবাবু। তাঁর অভিযোগ, সকাল ৮টা নাগাদ ফের ওই তৃণমূল-সমর্থকেরা হাজির হয়। শ্যামলবাবু বলেন, “দোকান খোলার অপরাধে আমাকে এবং আমার কর্মচারী বাপ্পাদিত্যকে মারধর করা হয়। ফের তালা দিয়ে দেওয়া হয় দোকানে।” তাঁর অভিযোগ, চাবি নিয়ে যায় তৃণমূল-সমর্থকেরা। এই ঘটনার পরে ফের যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শ্যামলবাবু। কিন্তু এ বারেও থানা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে তাঁর অভিযোগ। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, দোকানটি তালাবন্ধ হয়েই রয়েছে। দোকানের গায়ে তৃণমূলের পতাকা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় এলাকার ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মানিক পাল বলেন, “শিল্প ধর্মঘটের দিন অনেকেই দোকান বন্ধ রেখেছিল। তার পর থেকেই তৃণমূলের শাসানি চলছে। এখন দোকান বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এমন জুলুম চলতে থাকলে তো ব্যবসা করাই দায় হয়ে উঠবে!” |