দুবরাজপুরে ধৃত যুবক
নাবালিকাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের নালিশ
ক নাবালিকাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও পরে পাচারের চেষ্টা করার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার রাতে দুবরাজপুর পুর-এলাকার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে পুলিশ বাড়ি থেকে ওই যুবককে ধরে। ধৃত শেখ সলিমুদ্দিনকে মঙ্গলবার দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ৭ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ রাখার নির্দেশ দেন। বিচারক হিমানীশ ভট্টাচার্য ওই নাবালিকার গোপন জবানবন্দিও নেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃত যুবকের পাড়ায় মা ও ভাইয়ের সঙ্গে থাকে বছর এগারোর ওই নাবালিকা। রবিবার রাত সাড়ে ১০টা-১১টা নাগাদ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে উঠেছিল সে। তার পর থেকেই তার খোঁজ মিলছিল না।
অভিযুক্ত যুবক শেখ সলিমুদ্দিন। ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত।
সোমবার দুপুরে ওই নাবালিকার মা জানতে পারেন, সেলিমুদ্দিন তাঁর মেয়েকে বর্ধমানের রানিগঞ্জ থানা এলাকার কাজড়া গ্রামে নিয়ে গিয়েছে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে নাবালিকাটির মা ওই এলাকায় যান। পথে খবর পান, এক কিশোরীকে কান্নাকাটি করতে দেখে এলাকার কিছু মানুষ তাকে আশ্রয় দিয়েছেন। সেখানে গিয়ে নিজের মেয়েকে দুবরাজপুরে নিয়ে আসেন তিনি। নাবালিকার মায়ের দাবি, “মেয়ে আমাকে জানায়, ওই রাতে বাইরে বেরোতেই মুখে কাপড় চাপা দিয়ে মাঠে নিয়ে গিয়ে ওকে ধর্ষণ করে সেলিমুদ্দিন। এর পরে মেয়েকে কাজড়া নিয়ে নিয়ে গিয়ে এক বন্ধুর বাড়িতে তুলেছিল ওই ছেলেটা। ফন্দি ছিল মেয়েকে কোথাও পাচার করে দেবে। কিন্তু ওদের খপ্পর থেকে পালিয়ে আমার মেয়েকে কান্নাকাটি করতে দেখে কয়েক জন ওকে আশ্রয় দেন। মেয়েকে নিয়ে দুবরাজপুর ফিরে সেলিমুদ্দিনের নামে থানায় অভিযোগ করি।” অভিযোগ পেতেই পুলিশ সেলিমুদ্দিনকে গ্রেফতার করে। তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে মঙ্গলবার সকালে দুবরাজপুর থানায় আসেন জেলার ডিএসপি (ডিইবি) প্রদীপকুমার বসু। এ দিন সকালেই দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ওই নাবালিকার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। দুবরাজপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক কুণাল মুখোপাধ্যায় জানান, প্রাথমিক ভাবে যেটুকু পরীক্ষা করা সম্ভব, সেটুকু করা হয়েছে। উপযুক্ত পরীক্ষার করতে ওই নাবালিকাকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। ডিএসপি প্রদীপবাবু বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে আমরা যেটুকু জেনেছি, ওই নাবালিকাকে ধর্ষণই করা হয়েছে। সে কথা পুলিশি জেরার মুখে ধৃত যুবক কবুলও করেছে। কিন্তু কাজড়া গ্রামে নিয়ে গিয়ে ওই বাচ্চা মেয়েটিকে কোথাও বিক্রি বা পাচার করার ছক ছিল কি না, সে ব্যাপারে জানতে ধৃত যুবককে আরও জেরা করা হবে। সেলিমুদ্দিন যে বন্ধুর বাড়িতে মেয়েটিকে রেখেছিল, তারও খোঁজ করা হচ্ছে।” তিনি জানান, সেলিমুদ্দিন এবং ওই নাবালিকার জামাকাপড়ও ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবক দু’বার বিয়ে করেছে। সেলিমুদ্দিন এ দিন কোনও কথা বলতে চায়নি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.