প্রোমোটার রামলক্ষ্মণ যাদব খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে গ্রেফতার করা হল তাঁরই এক সঙ্গীকে। সোমবার রাতে ধনঞ্জয় সিংহ নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ। মঙ্গলবার তাঁকে আসানসোল আদালতে তোলা হয়। গোয়েন্দা প্রধান চন্দ্রশেখর বর্ধন জানান, ধৃতকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁরা। বিচারক পাঁচ দিন তাঁদের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ২ জুন আসানসোলের জনবহুল কোর্ট মোড় এলাকায় নিজেরই একটি নির্মীয়মাণ বহুতলের সামনে দুষ্কৃতীদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান রামলক্ষ্মণবাবু। ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হন তাঁর আরও দুই সঙ্গী। তিন জনেরই মৃত্যু হয়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানান, তিন জনকে খুব কাছে থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। সবার চোখের সামনে দিয়েই পালিয়ে যায় তারা। এর আগে এই ঘটনার জড়িত অভিযোগে পুলিশ আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে তিন জন অনেক আগেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন। সম্প্রতি বারাণসি থেকে আরও তিন জনকে কমিশনারেটের গোয়েন্দারা গ্রেফতার করে আনেন। পুলিশের দাবি, ধৃতেরা রামলক্ষ্মণ যাদবকে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ধনঞ্জয় সিংহকে গ্রেফতার করে হল বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধনঞ্জয় সিংহ নিহত ওই প্রোমোটারের সঙ্গী হিসেবে পরিচিত। রামলক্ষ্মণ যাদবের গতিবিধি সব সময় নখদর্পণে থাকত তার। এমনকী রামলক্ষ্মণবাবুর ব্যবসার অনেক কিছু দেখাশোনা করতেন ধনঞ্জয়বাবুই। তবে খুনের পরে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার দিন সেই সময়ে ধনঞ্জয়বাবু আসানসোলে ছিলেন না। ব্যক্তিগত কাজে বাইরে গিয়েছিলেন। তবে খুনের খবর পৌঁছতেই তিনি আসানসোল ফিরে আসেন।
পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে বেশ কিছু তথ্য হাতে এসেছে। চন্দ্রশেখর বর্ধন আগে জানিয়েছিলেন, নির্মাণ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কেউই এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রামলক্ষ্মণ যাদবকে খুন করার জন্য বেশ কয়েক লক্ষ টাকার সুপারি দেওয়া হয়। গোয়েন্দা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও তদন্ত চলছে। শীঘ্রই আরও কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হবে। পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ। গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভা নিয়মিত আয়োজন-সহ এক গুচ্ছ দাবিতে রানিগঞ্জের তিরাট পঞ্চায়েত কার্যালয়ে তৃণমূলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। পরে তাঁরা পঞ্চায়েত প্রধানের হাতে দাবিপত্র তুলে দেন। আসানসোল দক্ষিণ যুব তৃণমূল নেতা সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, নিয়মিত গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভা হচ্ছে না। উন্নয়নের কাজও বন্ধ। একশো দিনের কাজ সব সংসদে সমান ভাবে চলছে না। সরকারি সমীক্ষাতেই এ সব কাজে এই পঞ্চায়েত পিছিয়ে রয়েছে বলে তাঁর দাবি। এ ছাড়াও এপিএলদের জন্য ৫টি ইন্দিরা আবাসের টাকা পড়ে রয়েছে। প্রধান গীতা নুনিয়া জানান, দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |