গাঁজা-সহ ধৃত ২
নিজস্ব সংবাদদাতা • ক্যানিং |
গাঁজা ও হেরোইন বিক্রির অভিযোগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঘুটিয়ারি শরিফ এলাকা থেকে এক মহিলা-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার রাতে পুলিশ ঘুটিয়ারি শরিফ স্টেশন সংলগ্ন এলাকা এবং মাকালতলায় অভিযান চালায়। কয়েকটি গাঁজা, হেরোইন এবং চোলাইয়ের ঠেক ভেঙে দাওয়া হয়। উদ্ধার করা হয় ৪০ লিটার চোলাইও। গাঁজা বিক্রির অভিযোগে নুর বানু খাতুন এবং হেরোইন বিক্রির অভিযোগে জামাত আলি লস্কর ওরফে কুড়ি নামে এক যুবককে ধরা হয়। ধৃতেরা দক্ষিণ মাকালতলা এলাকার বাসিন্দা। ধৃত মহিলার কাছ থেকে ৫ কেজি গাঁজা এবং কুড়ির কাছ থেকে ১২ গ্রাম হেরোইন মিলেছে। শনিবার ধৃতদের আলিপুর আদালতে তোলা হয়। বিচারক দু’জনকেই ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। |
দুর্ঘটনায় মৃত্যু, গাড়ি ভাঙচুর পুলিশের
নিজস্ব সংবাদদাতা • বারুইপুর |
পথ দুর্ঘটনায় এক বালিকার মৃত্যুতে দেহ আটকে রাস্তায় ‘হাম্প’ তৈরি ও যান নিয়ন্ত্রণের দাবিতে অবরোধ করেছিল জনতা। সেই অবরোধ এবং মৃতদেহ তুলতে গেলে ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশের জিপে। শনিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীপুর থানার টোনা-ঘোষপাড়া এলাকার ঘটনা। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রুমা মণ্ডল (৭)। ওই এলাকাতেই তার বাড়ি। এ দিন সন্ধ্যায় সে বাড়ির সামনেই খেলছিল। সেই সময়ে একটি ইট বোঝাই লরি তারে ধাক্কা মেরে পালায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রুমার। এর পরেই দেহ আটকে শুরু হয় অবরোধ। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, টোনা রোডে বেপরোয়া গতিতে যানবাহন চলে। আগেও দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ দিন পুলিশ গেলে তাদের ঘেরাও করে শুরু হয় বিক্ষোভ। তার পরেই এক দল লোক পুলিশের জিপে ভাঙচুর চালায়। পুলিশ দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে। আটক করা হয়েছে লরিটি। |
‘শ্লীলতাহানি’, ধৃত আরামবাগে
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
দিনেদুপুরে ভরা রাস্তায় একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা এবং তাকে মারধরের অভিযোগে এক যুবককে পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিল জনতা। শনিবার দুপুরে আরামবাগ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ব্লকপাড়ার ঘটনা। পাপন দিগার নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের বাড়ি গোঘাটের তিলাড়ি গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আন্দিমহল এলাকার বাসিন্দা ওই ছাত্রী এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ ভাইঝিকে নিয়ে ব্লকপাড়া দিয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিল। পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে ওই ছাত্রী জানিয়েছে, সামনে থেকে ওই যুবক এসে তার পথ আটকায় এবং হাত ধরে টানেন। প্রতিবাদ করায় পাপন ছাত্রীকে কিল-ঘুষি মারেন বলেও অভিযোগ। ছাত্রীর চেঁচামেচিতে স্থানীয় লোকজন পাপনকে ধরে ফেলেন। পুলিশ এসে অভিযুক্তকে আরামবাগ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করায়। পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় ধৃত দাবি করেছেন তিনি নির্দোষ। রাস্তার মাঝখান থেকে সরে যাওয়ার জন্য তিনি ওই ছাত্রীর পিঠে চাপড় মেরে সতর্ক করেছিলেন। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। |