যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • খানাকুল |
চতুর্থ শ্রেণির এক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে তার গৃহশিক্ষককে ধরল পুলিশ। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে খানাকুলের মদনকাটি গ্রামে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম শৈলেন সামন্ত। বছর চব্বিশের ওই যুবকের বাড়ি গুজরাট গ্রামে। মেয়েটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় শৈলেনকে। পুলিশে দেওয়ার আগে ওই যুবককে মারধরও করেন গ্রামের মানুষ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময়ে ওই মেয়েটির বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না। কাকা-কাকিমা মেয়েটির চিৎকারে ছুটে আসেন। অভিযোগ, ঘরের দরজা খুলে মেয়েটির গৃহশিক্ষককে তাঁরা ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় দেখেন। প্রতিবেশিরা এসে ধরে ফেলেন শৈলেনকে। মারধর করা হয়। সে সময়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা দীপেন মাইতি ওই যুবককে কার্যত ছিনিয়ে নিয়ে যান বলে অভিযোগ স্থানীয় মানুষের। দীপেনবাবু বলেন, “দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। অপরাধীকে আড়াল করার কোনও প্রশ্নই নেই। গণধোলাই থেকে উদ্ধার করে ওই যুবককে পুলিশে দেওয়াই উদ্দেশ্য ছিল।” |
পৃথক ঘটনায় মৃত দু’জন
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোঘাট |
গোঘাটের শ্রীপুর গ্রামে মঙ্গলবার সকালে এক প্রৌঢ়ার আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে। মৃতার নাম মিতালি মুখোপাধ্যায় (৫৩)। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত একুশ বছর ধরে তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের তদন্তকারী অফিসারেরা জেনেছেন, ওই মহিলা গ্যাস ওভেন থেকে নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। অন্য একটি ঘটনায়, সোমবার সকালে গোঘাটেরই কোটা গ্রামে ভারতী খাঁ (৩৮) নামে এক গৃহবধূ পারিবারিক বিষ খান। তাঁকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকালে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তিতে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। দেহ দু’টি ময়না-তদন্তে পাঠায় পুলিশ। |