প্রবন্ধ...
ইরান কেন পরমাণু শক্তি হতে বদ্ধপরিকর

জানুয়ারি ২০১২। মোস্তাফা আহমদি রোশন, প্রফেসর, টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব তেহরান, এবং একই সঙ্গে, সিনিয়র সুপারভাইজার, নাতান্জ ইউরেনিয়াম এনরিচমেন্ট কেন্দ্র। তাঁর নিজের গাড়িতেই বোমা-বিস্ফোরণের ফলে নিহত হন ইনি। জনৈক মোটরসাইকেল-চালক আততায়ী কোনও এক সময় তাঁর গাড়িতে বোমাটি লাগিয়ে দিয়ে যায়, এটুকুই জানা গিয়েছে।
নভেম্বর ২০১০। মাজিদ শাহরিয়ারি, ফ্যাকাল্টি, নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং, শাহিদ বেহেস্তি ইউনিভার্সিটি। নিজের গাড়িতে বোমা-বিস্ফোরণের ফলে নিহত ইনিও। এ ক্ষেত্রেও জনৈক মোটরসাইকেল-চালক আততায়ী তাঁর গাড়িতে বোমাটি লাগিয়ে দিয়ে যায়। আর কিছু জানা নেই।
ওই একই মাসে, ফেরেদুন আব্বাসি দাভানি, ভবিষ্যৎ ‘হেড’, দি আ্যটমিক এনার্জি অর্গানাইজেশন অব ইরান, ঠিক একই ধরনের গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন, তবে শেষ অবধি বেঁচে যান। এই ক্ষেত্রেও গাড়ি-বোমা কোথা থেকে কী ভাবে এল, কোনও সূত্র মেলেনি।
দেড় বছরের মধ্যে তিনটি হত্যাকাণ্ড। তিনটি কাণ্ডের মধ্যে সূত্র পরিষ্কার। তিন জনই বিজ্ঞানী। তিন জনই পরমাণু-বিজ্ঞানী। তিন জনই ইরানের গোপন পরমাণু কার্যক্রমের বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেন। এমনও মনে করার কারণ আছে যে, পরমাণু কার্যক্রমের যে পর্যায়ে কিছু ব্যক্তিগত মেধানির্ভর দক্ষতার প্রয়োজন হয়, তেহরানের সেই পর্যায়টি এঁদের আকস্মিক অপসারণের ফলে বিশেষ ভাবে ধাক্কা খেয়েছে। হয়তো সেই কার্যক্রমের গতি এর ফলে কিছুটা শ্লথ হয়ে পড়েছে। তবে এর কোনও অনুমানই ঠিক না-ই হতে পারে, কেননা যে কোনও দেশই নিজেদের পরমাণু-ক্রিয়াকর্মের ব্যাপারটি অতিশয় গোপনীয় রাখে, আর ইরান তো বিশেষ ভাবেই ‘সিক্রেটিভ’, আদ্যন্ত লুকিয়ে-চুরিয়ে কাজ করায় বিশ্বাসী।
আমাদের জন্যও..। তেহরান, ২৯ জানুয়ারি। ছবি: এ এফ পি।
গাড়ি বা হত্যা-র সঙ্গে সম্পর্কিত না হলেও আরও একটি তথ্য এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য। আরও কিছু দিন আগের ঘটনা। ২০০৯ সাল। স্টাক্সনেট নামক কম্পিউটার ভাইরাস ঢুকিয়ে দেওয়া হয় ইরানের পরমাণু প্রোগ্রামের মধ্যে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় সমস্ত প্রোগ্রাম। সন্দেহের তির আমেরিকা, ইজরায়েল ও ব্রিটেনের সাইবার-বিশেষজ্ঞ মহলের দিকে। কেবল গাড়ি আর বোমা? সন্ত্রাসের যে আরও কত হাজার রকম মুখ!

এই সব তথ্য মাথায় রেখে তবে এ বার দিল্লির সাম্প্রতিক ঘটনাটির দিকে তাকানো যাক। সেই গাড়ি, সেই গাড়িতে আটকে দিয়ে যাওয়া বোমা, জনৈক মোটর-সাইকেল আরোহী এসে গাড়িতে সেই বোমা লাগানো, এবং শেষ পর্যন্ত দিল্লির ভিআইপি অঞ্চলে ইজরায়েলি দূতাবাসের ঠিক বাইরে গাড়িবোমা বিস্ফোরণ। সন্দেহভাজন? শোনা যাচ্ছে হিজবুল্লা গোষ্ঠীর নাম। অর্থাৎ ইরানের রাষ্ট্র সমর্থিত শিয়া-মতাবলম্বী জঙ্গি ইসলামি সংগঠন। একই সময়ে জর্জিয়া ও তাইল্যান্ডে ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে যে সন্ত্রাস-কাণ্ড ঘটেছে, তার দায়ও নাকি এদের উপরেই। ধরে নেওয়া যায়, এ-ই হল ইরানের দিক থেকে সেই প্রতীক্ষিত প্রতিবাদ, একই সন্ত্রাসের একই ভাষায় পাটকেলটি ফিরিয়ে দেওয়া।
প্রতীক্ষিতই বলতে হবে। এই জানুয়ারিতে মোস্তাফা আহমদি রোশন-এর হত্যার পর থেকেই ইতিউতি শোনা যাচ্ছিল: আর নয়, এই বার পাল্টা সন্ত্রাস আসছে! ইরানের অন্দরে যেমন গোয়েন্দা সংস্থা ‘এতিলাত’ এবং কিংবদন্তি সেনাবাহিনী ‘রেভলিউশনারি গার্ড’-এর নড়েচড়ে বসার খবর মিলল, পশ্চিমী পর্যবেক্ষকরাও প্রমাদ গুনতে ভুল করলেন না। একটু বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে বললেন তাঁরা। ইরানের বিরুদ্ধে এমন লাগাতার সন্ত্রাস যদি না থামে, তা হলে “দ্য নেক্সট স্টেপ ইজ ফর ইরান টু আনসার লাইক ফর লাইক”, একই ভাষায় উত্তর দেওয়াই হবে ইরানের কাছে একমাত্র পথ: শোনা গেল রিচার্ড ডাল্টন-এর মুখে। ডাল্টন ইরানে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ছিলেন ২০০২-০৬ পর্যন্ত, আপাতত তিনি ব্রিটিশ থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ‘চ্যাথাম হাউস’-এর সদস্য।
ডাল্টন-এর ভবিষ্যদ্বাণী একটি অন্য অর্থেও সত্যি। কেবল একই সন্ত্রাসের পথে হাঁটা নয়, একই পরমাণুর পথে হাঁটাও ইরানের কাছে একমাত্র আত্মমর্যাদাপূর্ণ ‘অপশন’ হয়ে উঠেছে এত দিনে। আমেরিকা বা ইজরায়েলের চোরাগোপ্তা হামলায় পর্যুদস্ত হয়ে ‘কেঁদে বাঁচি’ বলে পিছিয়ে আসার মতো দেশ আর যে-ই হোক, ইরান নয়। ইতিহাসগত ভাবেই ইরানের ঐতিহ্য ও মর্যাদা বিশিষ্ট, সামরিক ও কূটনৈতিক দিক দিয়ে তার অবস্থান মধ্য এশিয়ায় অগ্রগণ্য, অর্থনৈতিক (বা, পেট্রোলিয়াম-নৈতিক) দিক দিয়ে ইরান অতি সমৃদ্ধ: তার আত্মমর্যাদার কমতি হবে কেন? সুতরাং, যত বাধাদান, যত আক্রমণ, ততই ইরানের মরণপণ প্রতিজ্ঞা, পরমাণু-শক্তির পথ হাঁটতেই হবে, হবেই। এটা এখন তার জাতীয় সম্মানের প্রশ্ন, সার্বভৌমতার প্রশ্ন। ইরান দেশটির মধ্যে প্রভূত রাজনৈতিক বিবাদ-বিভেদ, কিন্তু পরমাণু-প্রশ্নে সকলেরই অবস্থান মোটের উপর এক: পিছিয়ে যাওয়ার প্রশ্নই নেই। যে সব পশ্চিমী শক্তি তাদের হুমকি দিচ্ছে, তারা নিজেরাও তো পরমাণু-শক্তিই বটে? তা হলে? তা হলে একটাই পথ। ইরান উত্তর দেবে “লাইক ফর লাইক”!
আর কেন-ই বা দেবে না? ইরান কি মনোযোগ-সহকারে লক্ষ করেনি যে ইরাক ও লিবিয়ার যে দশা হল, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেত্রে কিন্তু তেমনটা হল না? অথচ, উত্তর কোরিয়াও ‘চরম’ সীমা লঙ্ঘন করে গিয়েছিল, অন্তত আমেরিকা-ইউরোপের দৃষ্টিতে। যত হুমকি বর্ষিত হয়েছে পিয়ংইয়ং-এর প্রতি, প্রায় সব ক’টিই উত্তর কোরীয়রা নিয়ম করে লঙ্ঘন করেছে, যত নিষেধাজ্ঞা প্রযুক্ত হয়েছে পিয়ংইয়ং-এর বিরুদ্ধে, সব ক’টিই তারা পিছু না হটে হজম করেছে। কিন্তু ওয়াশিংটন লন্ডন প্যারিস যে ভাবে বাগদাদ কিংবা ত্রিপোলিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, পিয়ংইয়ং-এর ক্ষেত্রে সে সব কিছুই করেনি। কারণ? কারণ সহজ যাবতীয় নিষেধ অমান্য করে উত্তর কোরিয়া আজ পরমাণু অস্ত্র-সম্পন্ন দেশ! অন্তত তেমনটাই তারা দাবি করে!
সুতরাং রাষ্ট্রপুঞ্জ কিংবা নেটো যতই ভাবুক যে, তাদের নিষেধাজ্ঞাই আসলে ‘ডেটারেন্ট’ হিসেবে কাজ করে, ইরান কিন্তু একটা কথা স্পষ্টাস্পষ্টি জেনে গিয়েছে। সেটা হল: আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে আসল প্রতিরোধক বা ডেটারেন্ট পরমাণু-শক্তি নিজেই। এক বার তা যদি তাদের হাতে এসে যায়, কিংবা তার প্রযুক্তি পূর্ণ মাত্রায় অধীত হয়ে যায়, তবে তাদের ঠেকায় কে! সবার সব হুমকিই সে ক্ষেত্রে অসার, সার কেবল পরমাণু-দেশ হিসেবে পাকাপোক্ত আন্তর্জাতিক পরিচয়। দেখছ না, ইসলামাবাদ একের পর এক দুষ্কর্ম করেও কেমন পার পেয়ে যায় ক্ষমাসুন্দর পথে!

সুতরাং ইরান কী করবে, সেটা মোটের উপর পরিষ্কার। কিন্তু পশ্চিম দুনিয়া? তাদের পথটা এখনও ধোঁয়াটে। হুমকি? অত সহজ নয়। ভারতের মতো মার্কিনবন্ধু দেশই যখন ইরানকে প্রাণে ধরে ত্যাগ করতে পারে না, অন্যে পরে কা কথা। নিষেধাজ্ঞা? হুঁহুঁ বাবা, রাষ্ট্রপুঞ্জ যদি তেহরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার কথা ভাবে, চিন আর রাশিয়া তা আটকানোর জন্য জান লড়িয়ে দেবে। আলাদা আলাদা দেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করতেই পারে, করুক না কত করবে। আগেও তো নিষেধাজ্ঞা ছিল, ইরান তো কাবু হয়নি মোটেই। কোন কোন উপায়ে ‘মিত্র’ দেশগুলির সহায়তায় আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার প্রভাব থেকে যথাসম্ভব মুক্ত রাখা যায় নিজেকে, সে পথ ইরান ভালই বার করে ফেলেছে। তা সত্ত্বেও যেটুকু যা আর্থিক চাপ, সেটুকু বহন করেছে দেশের সাধারণ মানুষই, এলিট শাসক-সমাজের তাতে কানাকড়িও এসে যায়নি। মানুষের সংকট থেকেই গণতন্ত্রের সংকট? আরে দূর, গণতন্ত্র থাকলে তবে তো তার সংকট! প্রেসিডেন্ট আহমদিনেজাদ কী ভাবে ২০০৯-এ দ্বিতীয় বার ক্ষমতারূঢ় হয়েছিলেন, মনে নেই কি? ভোট-রঙ্গ সত্ত্বেও সে পদ্ধতিকে গণতন্ত্র বলে না। ভোট আবারও দোরগোড়ায়, পরের মাসে, এ বার হয়তো আহমদিনেজাদের যাওয়ার পালা, কিন্তু চরম ও পরম ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা খামেনেই থাকতে দেশের শাসনযন্ত্র নিয়ে অন্যদের মাথাব্যথার জায়গা কোথায়?
তা হলে কি যুদ্ধ? যুদ্ধ-যুদ্ধ করে হন্যে হয়ে উঠেছে ইজরায়েল। কিন্তু না, এই মুহূর্তটি সম্ভবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে স্থিরমস্তিষ্কের কূটনীতির মুহূর্ত হয়ে থাকবে, যেখানে ইজরায়েলের সমস্ত রকম ‘প্রোভোকেশন’ আটকাতে ওয়াশিংটন বদ্ধপরিকর। কোনও ভাবেই যুদ্ধ যাতে না লাগে, তার জন্য তারা আপ্রাণ সচেষ্ট। মার্কিন বাহিনীর চিফ অব স্টাফ সাফ বলেছেন, কোনও সামরিক পদক্ষেপ উচিত হবে না। ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রীরও এক কথা। হঠাৎ এত অ-যুদ্ধমনস্কতার কারণ? কারণ, ভয়। ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ এক বার শুরু হলে মহা বিপদ। আরব ভূমির সব ক’টি ইসলামি দেশই ইরানের পিছনে দাঁড়াবে, সে সম্ভাবনা অবশ্য কম, কেননা ‘আরব স্প্রিং’-এর পর এই অঞ্চলে শিয়া-সুন্নি বিভেদ এখন তীব্র। কিন্তু যত বিভেদই থাক, ইজরায়েলের মতো আপাদমস্তক ‘ঘৃণিত ভিলেন’কে কি মধ্য এশিয়ায় কেউ ছেড়ে কথা কইবে? তাই, তেল আভিভ যতই যুদ্ধরব তুলুক, তার শুভানুধ্যায়ীরা এককাট্টা জল অত দূর গড়াতে দেওয়া যাবে না। অতএব ওবামার গলায় ‘নেগোসিয়েশন’-এর ডাক। ইউরোপের নানান মহলে কূটনৈতিক কথোপকথনের সুফল-সাফল্য আলোচনা।

সত্যি যদি ইজরায়েলকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে আলোচনায় রাজি করানো যায়, ইরানেরও তবে ক্রমে ঠাণ্ডা হওয়ার সম্ভাবনা। আসলে এই পরমাণু-পরমাণু রবে ইরানের নিজের সমস্যাও কিন্তু সমানেই ঘনীভূত হচ্ছে। ইরাক পুনর্গঠনের সময়ে তেহরানের যে গৌরবময় ভূমিকা ছিল, ইতিমধ্যেই তা অস্তমিত। ইরাকের শিয়া শাসক গোষ্ঠী অন্তর্দ্বন্দ্বে জেরবার, সুতরাং ইরানের প্রভাবও হ্রাসমান। সিরিয়ার সংকটের অর্থ, মধ্য এশিয়ায় ইরানের একটিমাত্র বন্ধু দেশও এখন বিপন্ন, ইরানের জন্য সাহায্যের হাত বাড়ানো তার পক্ষে এখন অসম্ভব। লেবাননের হিজবুল্লা গোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের ‘চ্যানেল’ও ছিল এই সিরিয়াই। আর সামরিক শক্তির কথাই যদি ওঠে, ‘অ্যাসিমেট্রিক ওয়ারফেয়ার’ বা অসম-যুদ্ধের টেকনিকে তেহরানের রেভলিউশনারি গার্ড-এর যতই নামডাক থাকুক, ইজরায়েলের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জায়গায় ইরান একেবারেই নেই। তেহরানও তা জানে। তাই গরম গরম কথা বললেও, পরমাণু-গবেষণাকেন্দ্র পরিদর্শন করতে না দিয়ে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের (আই এ ই এ) দূতকে ফিরিয়ে দিলেও, আক্রমণাত্মক পা ফেলতে তেহরান মোটেই রাজি হবে না।
একটা শেষ কথা না বললেই নয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়া ইস্তক সেই ১৯৪৫ থেকে নন-প্রলিফারেশন নীতির হাঁউমাউ তো অনেক হল। নিজেরা পরমাণুশক্তির আধার হলেও অন্যরা যাতে তা কিছুতেই না পেতে পারে, তার জন্য হুমকি নিষেধাজ্ঞা অশান্তির বন্যা বওয়ানো হল। একটা গোটা যুদ্ধে কোটিখানেক লোকও নিহত হল। কিছু কি আটকানো গেল শেষ পর্যন্ত? যে সব দেশ মনে করেছে, তারা পরমাণু-শক্তির ধারক হবে, এবং হবেই, প্রত্যেকেই শেষ অবধি তা হয়েই ছেড়েছে। এবং এখনও পর্যন্ত প্রত্যেকে যথেষ্ট দায়িত্ব নিয়েই নিজেদের ভাণ্ডার সামলাচ্ছে। ইরানের ক্ষেত্রেও একশো শতাংশ সম্ভাবনা, তারা দায়িত্ব-সহকারেই পরমাণু-শক্তি তৈরি করবে। হাঁউমাউ সত্ত্বেও সকলেই জেনে গিয়েছে, পরমাণু-শক্তির প্রয়োজনটা আক্রমণমূলক নয়, প্রতিরোধমূলক, জাতীয় ‘ইগো’-র সঙ্গে জড়িত একটি স্টেটাস-মাত্র। তার বেশি কিছু নয়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.