বন্ধে মিশ্র প্রভাব
একশো দিনের কাজে বাধা বোলপুর-লাভপুরে
দু’চারটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বন্ধকে ঘিরে বড় কোনও অশান্তির খবর নেই জেলায়। জেলার অধিকাংশ সরকারি অফিস, স্কুল-কলেজ খোলা ছিল। সরকারি অফিসে কর্মীদের হাজিরাও খারাপ ছিল না। সরকারি বাস নিয়ম মতো চললেও দু’চারটি ছাড়া বেসরকারি বাস চলেনি। তবে অস্থায়ী কর্মীরা না আসায় রামপুরহাট শহরের ব্যাঙ্ক রোড়ের কাছে জঞ্জাল সাফাই করতে নামতে হয় রামপুরহাট পুরপ্রধান ও উপপুরপ্রধানকে। ওই জায়গায় মহকুমাশাসকের প্রশাসনিক কার্যালয়, প্রাচীন হাইস্কুল, ট্রেজারি অফিস রয়েছে। এই কাজে হাত লাগিয়েছিলেন প্রাক্তন পুরপ্রধানও।
বন্ধ সমর্থনে মিছিল বোলপুরে। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।
এ দিকে, জেলার শহরাঞ্চলে ও গ্রামেগঞ্জে অনেক কম দোকানপাট খোলা ছিল। সিউড়ি, বোলপুর, দুবরাজপুর, সাঁইথিয়া, রামপুরহাট-সহ বিভিন্ন জায়গায় অধিকাংশ স্কুল-কলেজ খোলা থাকলেও কিন্তু পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার কম। সিউড়ি, বোলপুর, রামপুরহাট, দুবরাজপুর আদলতে সে ভাবে কাজকর্ম হয়নি। তবে এ দিন কিছু কর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে সিউড়িতে জেলা সভাধিপতির বাংলোয় বাইরের গেটের তালা খুলে দেন সিউড়ি সদর মহকুমাশাসক সুজয় আচার্য। জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, “তালা দেওয়া থাকায় বেশ কিছু গাড়ির কর্মী বেরতে পারছিলেন না অভিযোগ। পরে মহকুমাশাসক তালা খোলার ব্যবস্থা করেন।” সভাধিপতি অন্নপূর্ণা মুখোপাধ্যায় বলেন, “কেয়ারটেকারের কাছে চাবি ছিল। তাঁকে তালা খুলে দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ওঁনারা ধৈর্য ধরেননি।” অন্য দিকে, মুরারইয়ের জাজিগ্রামে কাঠ ব্যবসায়ী দোকান খোলায় মারধর করা হয়েছে অভিযোগ। তিনি স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি আছেন। লাভপুরের বিপ্রটিকুরি, বোলপুরের মীরাজপুর ও চন্দনপুর গ্রামে ১০০ দিনের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বন্ধ সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে লাভপুরে সংঘর্ষ হয়। দু’টি ক্ষেত্রে প্রশাসন দিয়ে কাজ শুরু করার ব্যবস্থা করে। এ ছাড়া, মহম্মদবাজার-আঙ্গারগড়িয়া মোড়ে সরকারি বাসে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “খয়রাশোলে পার্টি অফিসে তৃণমূলের কর্মীরা ঢিল ছোড়ে। মহম্মদবাজারে দু’জায়গায় পুলিশ লাঠিচার্জও। বাসে ভাঙচুরের অভিযোগ মিথ্যা।” এ দিকে, বন্ধ ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের।

রামপুরহাট পাঁচমাথা মোড়। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম।

স্কুলের পথে। দুবরাজপুরে দয়াল সেনগুপ্তের তোলা ছবি।
জেলাশাসক বলেন, “পাঁচামি, বড়পাহাড়ি, শালবাদরা পাথর শিল্পাঞ্চলে কাজ হলেও মুরারই, বারোমেশিয়ায় আংশিক কাজ হয়েছে।” এসপি হৃষিকেশ মিনা বলেন, “কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। লাঠি চালানোর অভিযোগ ঠিক নয়। অবরোধকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মাত্র। তবে মহম্মদবাজার থেকে তিন জন বন্ধ সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.