টুকরো খবর
চিটফান্ড সংস্থার ৩ কর্তা গ্রেফতার
গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একটি চিটফান্ড সংস্থার তিন কর্তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে হাবরা থানার কামারথুবা এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানায়, ধৃতদের মধ্যে সুভাষ কর ওই সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর। তাঁর বাড়ি গাইঘাটার ঘোজা হাসপুর এলাকায়। ধৃত অন্য দু’জন হলেন অজিতেশ দেবনাথ এবং সুজিত দাস। দু’জনেই ওই সংস্থার ডিরেক্টর। বাড়ি যথাক্রমে হাসপুর এলাকায় এবং গোপালনগর থানার হরিশপুর গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সংস্থাটির মূল অফিস বিধাননগরে হলেও রিজিওনাল অফিস হাবরার কামারথুবা এলাকায়। ২০০৯ সাল থেকে সংস্থাটি বিভিন্ন প্রকল্পে মানুষের থেকে টাকা জমা নেওয়ার কাজ শুরু করে। শনিবার ডলি চৌধুরী নামে এক মহিলা সাত মাস ধরে সংস্থার প্রতিশ্রুতি মতো টাকা পাচ্ছিলেন না বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।

নিখোঁজ মৎস্যজীবীর দেহ উদ্ধার নদী থেকে
নৌকো উল্টে তলিয়ে যাওয়া এক মৎস্যজীবীর মৃতদেহ উদ্ধার হল ১২ দিন পরে। শনিবার দুপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির মহিষমারি গ্রামের কাছে হুগলি নদীতে নির্মল গায়েন (৫০) নামে ওই মৎস্যজীবীর দেহটি ভাসতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা পুলিশে খবর দেন। মৃতের বাড়ি হুগলি জেলার মগরার সুকান্ত পল্লিতে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ফেব্রুয়ারি দুপুরে হাওড়ার শ্যামপুরে হুগলি নদীতে মাছ ধরতে যান নির্মলবাবু। আচমকাই জলের তোড়ে নৌকোটি উল্টে যায়। নির্মলবাবু তলিয়ে যান। পুলিশে কাছ থেকে খবর পেয়ে শনিবার কুলপিতে এসে নির্মলবাবুর দেহটি শনাক্ত করেন তাঁর ভাই পরিমল গায়েন। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।

বিচুলি-বোঝাই লরিতে আগুন
নিজস্ব চিত্র।
আগুন লেগে ভস্মীভূত হল বিচুলি-বোঝাই একটি লরি। রবিবার বিকালে ঘটনাটি ঘটে ক্যানিংয়ের কালীমন্দিরের কাছে। এ দিন লরিটি গোলাবাড়ি থেকে ক্যানিংয়ের দিকে আসছিল। বিদ্যুতের ওভার হেড তারে ঘষা লেগে বিচুলিতে আগুন ধরে যায়। গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় কিছু ক্ষণের মধ্যেই তা নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনাস্থলে আসে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন। গাড়ির চালক পলাতক বলে জানায় পুলিশ।

ক্যানিংয়ে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা
তৃণমূলের এক নেতার উপরে হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা। রবিবার রাত ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং থানার থুমকাটিতে। ধনঞ্জয় মণ্ডল নামে জখম ওই নেতাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে। এই ঘটনায় অভিযোগের তির ‘সিপিএম-আশ্রিত দুষ্কৃতী’দের দিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী ঘটনাটিকে তৃণমূলের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’ বলে দাবি করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন রাতে পার্টি অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ধনঞ্জয়বাবু। সঙ্গে ভাইপো সোমনাথ মণ্ডল। তিনি বলেন, “বাড়ির কাছাকাছি চার-পাঁচ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী হামলা চালাল। কাকাকে ওরা চপার দিয়ে কোপায়। গুলি চালিয়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।” পুলিশ জানিয়েছে, দু’টি গুলি লেগেছে ধনঞ্জয়বাবুর গায়ে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। ধনঞ্জয়বাবুর মেয়ে মঞ্জু হালদার বলেন, “ওঁর উপরে আক্রমণ চালাতে দীর্ঘ দিন ধরে পরিকল্পনা করছিল সিপিএমের লোকজন। এ দিনও তারাই হামলা চালিয়েছে।” সুন্দরবন উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী শ্যামল মণ্ডলের অভিযোগ, “বামেদের ডাকা বন্ধের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে ধনঞ্জয়বাবু মিটিং করছিলেন। ফেরার পথে আক্রমণ করে সিপিএমের লোকজন।” সুজনবাবুর বক্তব্য, “ক্যানিংয়ে আমাদের লোকবল কোথায়? ওখানে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা একের পর এক ঘটেই চলেছে। এটাও তেমনই কিছু হতে পারে। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।”

ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু
ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। শনিবার সকালে বনগাঁ স্টেশনের অদূরে ২ নম্বর রেলগেট এলাকা থেকে রেল পুলিশ সুব্রত সমাদ্দার ওরফে দীপু (৬০) নামে ওই প্রৌঢ়ের দেহটি উদ্ধার করে। মৃতের বাড়ি বনগাঁর দত্তপাড়া এলাকায়। তিনি পেশায় আইনজীবী ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তের পরে রেল পুলিশের অনুমান, ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন। তার কারণ জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে বনগাঁ থেকে ছাড়া রানাঘাট লোকালে তাঁর ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। সুব্রতবাবুর মৃত্যুতে আজ, সোমবার বনগাঁ আদালতের আইনজীবীরা কর্মবিরতি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন বনগাঁ বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সমীর দাস। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.