জমিতে সেচের জল দিতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের বোমার আঘাতে এক কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। মৃতের নাম রমজান শেখ (২৭)। বাড়ি নবগ্রাম থানার রসুলপুর পঞ্চায়েতের ঝুলনপুরে। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ৯টা নাগাদ বাড়ি থেকে আধ কিলোমিটার দূরে জমিতে সেচের জল দিতে যাওয়ার নাম করে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। তখন দুষ্কৃতীরা তাঁকে বোমা মেরে খুনের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। ওই রাতেই বহরমপুর নিউ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তির দেড় ঘন্টার মধ্যেই রমজান শেখ মারা যান। ওই খুনের ঘটনায় সিপিএমের প্রশ্রয়প্রাপ্ত দুষ্কৃতীরা জড়িত বলে কংগ্রেস অভিযোগ করেছে। সিপিএম অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। তবে প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে বিবাদ ছিল ওই কংগ্রেস কর্মীর। এই দিন রমজান শেখ ওই প্রতিবেশীকেই খুনের জন্য বোমা নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে। রাতের অন্ধকারে আলপথ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময়ে হোঁচট খেয়ে তিনি পড়ে যান। তখনই ওই বোমা ফেটে যায়। সেই আঘাতেই রমজান শেখ গুরুতর জখম হন। পরে হাসপাতালে তিনি মারা যান। হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে একটি হাত বাদ দিয়েও তাঁকে বাঁচানো যায়নি।” রাত সোয়া দুটো নাগাদ ওই কংগ্রেস কর্মী মারা যান। রসুলপুর অঞ্চল কংগ্রেস সভাপতি নেক্কার আলি অবশ্য বলেন, “বাড়ি থেকে আধ কিমি দূরে মাঠে সেচের জল দিয়ে বাড়ি ফেরার সময়ে দুষ্কৃতীরা বোমা নিয়ে রমজানের উপরে হামলা চালায়। বোমা ফাটার শব্দ পেয়ে আমরা মাঠে গিয়ে দেখি, রক্তাক্ত অবস্থায় রমজান শেখ পড়ে রয়েছে। পরে তাঁকে বহরমপুরের হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানেই আমাদের ওই কর্মীর মৃত্যু হয়।” নবগ্রামের বিধায়ক সিপিএমের কানাই ঘোষ অবশ্য বলেন, “জমিতে জল দেওয়া নিয়ে প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বিরোধ চলছিল। ওই যুবককে খুনের জন্যই বোমা নিয়ে আসছিলেন রমজান। মদ্যপ অবস্থায় থাকার জন্য মাঠে পড়ে যান। তখনই তাঁর সঙ্গে থাকা বোমা ফেটে যায়। ওই বোমার আঘাতেই রমজান শেখ জখম হন বলে জানতে পেরেছি।” |