মুর্শিদাবাদ জেলায় ১২ ঘন্টার মধ্যে দু’জন কংগ্রেস কর্মী খুন হয়েছেন। শনিবার দুপুরে বড়ঞা থানার শ্রীরামপুরে সানোয়ার শেখের খুনের কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে রাত ৯টা নাগাদ নবগ্রাম থানার ঝুলনপুরে খুন হন রমজান শেখ। ওই দুটি খুনের পিছনেই সিপিএমের হাত রয়েছে বলে রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ করেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, “ব্রিগেডের সমাবেশ দেখে উৎসাহিত হয়ে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে নতুন করে জেলায় খুন ও সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে সিপিএম। জেলা জুড়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ কায়েম করার পিছনে সিপিএমের উদ্দেশ্য হারানো জমি ফিরে পাওয়া।” অধীরবাবু বলেন, “গত ৩৪ বছর ধরে মুর্শিদাবাদে সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়েছি। আগামী দিনেও সিপিএমের এই খুন-খারাপির বিরুদ্ধে লড়ব।” ওই ঘটনা বিশদে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফ্যাক্স বার্তা পাঠান জেলা কংগ্রেস সভাপতি। সেই সঙ্গে জেলার পুলিশ সুপারকেও গোটা বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দেন তিনি। অধীরবাবুর দাবি, “দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।” দোষীদের গ্রেফতার করা না হলে বন্ধ ও অবরোধ করে জেলা জুড়ে লাগাতার আন্দোলন করা হবে বলেও জেলা কংগ্রেস সভাপতি এদিন হুমকি দেন। অধীর বলেন, “গত ৩৪ বছর ধরে প্রশাসনিক-রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক স্তরে যে দুর্বৃত্তায়ন চলেছে তা কাটতে সময় লাগবে। পার্ক স্ট্রিট কাণ্ড থেকে রেলের কামরায় ধর্ষণের ঘটনা তারই জের। আমাদের ধৈর্যের সঙ্গে তার মোকাবিলা করতে হবে। সেই সঙ্গে পুলিশকে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে দিতে হবে। দলতন্ত্রের বাইরে পুলিশ প্রশাসনকে রাখা অত্যন্ত জরুরি। তবে পার্ক স্ট্রিটের ঘটনা দেখে রাজ্যে পরিবর্তনের কোনও লক্ষণ দেখছি না।” সেই সঙ্গে অধীরবাবু বলেন, “জনসংখ্যা অনুপাতে পুলিশের সংখ্যাও অনেক কম। অবিলম্বে পুলিশ কর্মী নিয়োগ করে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো দরকার।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা খুন-সন্ত্রাসের বিরোধী। তবে ওই দুটি খুনের ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই রাজনীতি জড়িত নয়।” |