রাজ্যে সরকার পরিবর্তন হলেও ফুটবল মাঠে পুলিশের খামখেয়ালিপনার পরিবর্তন হয়নি। বনধের কারণ দেখিয়ে পুলিশি ফতোয়ায় কলকাতা লিগের গুরুত্বপূর্ণ দুটি ম্যাচ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হল আইএফএ। আজ সোমবার যুবভারতীতে ইস্টবেঙ্গল-টালিগঞ্জ অগ্রগামী এবং বুধবারের মোহনবাগান-টেকনো এরিয়ান ম্যাচ হচ্ছে না। এ দিন লিগের খেলা শুরু হয় প্রয়াগ ইউনাইটেড ও টেকনো এরিয়ানের খেলা দিয়ে। অর্জুন চট্টোপাধ্যায়ের গোলে ১-০ জেতে প্রয়াগ। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে কলকাতা লিগ শেষ হওয়া নিয়েই তৈরি হয়েছে তীব্র সংশয়। আইএফএ কর্তারা আশায়, এপ্রিলে লিগ শেষ করতে পারবেন!
লিগের খেলা শেষ মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ইস্টবেঙ্গল কোচ বিরক্ত হলেও খুশি মোহনবাগান। এ দিন অনুশীলনে দল গড়ে, মনোবিদ এনে ফুটবলারদের মানসিক প্রস্তুতিও তুঙ্গে তোলার চেষ্টা করেন মর্গ্যান। পরে বিরক্ত ব্রিটিশ কোচ বলেন, “টিম দু’সপ্তাহ ম্যাচের মধ্যে নেই। ভেবেছিলাম এএফসি ম্যাচ খেলতে যাওয়ার আগে লিগ ও শিল্ডের দুটো ম্যাচে প্রস্তুতি নেব।” ম্যাচ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সুব্রত ভট্টাচার্য খুশি। বললেন, “ভালই হল। এত চোট-আঘাত, কাদের নিয়ে খেলব চিন্তায় ছিলাম।”
রথযাত্রা থেকে গঙ্গাসাগর মেলা, সুযোগ পেলেই পুলিশের ম্যাচ বন্ধ করার ফরমান জারি ফুটবল মাঠে চলছে বহু দিন। ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র প্রচুর আশ্বাস দিয়েছিলেন পরিবর্তনের। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
রবিবার দুপুর পর্যন্ত আইএফএ কর্তারা পুলিশের কাছে অনুরোধ করে গিয়েছেন রেফারিদের জন্য। গেটে কিছু পুলিশ হলেই ম্যাচ সংগঠন করা হয়ে যাবে। বাকিটা তারা নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে সামলে নেবেন। কিন্তু পুলিশ তাতে রাজি হয়নি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন সব সচল রাখতে বলছেন বনধ, তখন কেন বন্ধ করে দেওয়া হল কলকাতা লিগের খেলা? বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার রাজীবকুমারের যুক্তি , “খেলাটা অন্য ব্যাপার। পুলিশ না থাকলে আমরা কী করব? রাইটার্স বিল্ডিং থেকে পুলিশ পাওয়া যাবে না জানার পর আমরা অনুমতি প্রত্যাহার করে নিয়েছি।” |