|
|
|
|
| |
| বৈঠকে ১৩ দেশের পর্যটন সংস্থার প্রতিনিধিরা |
| ডেস্টিনেশন ইস্ট ২০১২ |
| নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
| মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে দার্জিলিং, ডুয়ার্সের প্রাকৃতিক নিসর্গকে বিদেশি পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে সচেষ্ট হল কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ এবং পর্যটন দফতর। রবিবার আমন্ত্রিত ১৩টি দেশের পর্যটন সংস্থার প্রতিনিধিরা সিআইআই-এর ব্যবস্থায় দার্জিলিং, সিকিম ঘুরে দেখলেন। সব মিলিয়ে ২২ জন। সেখান থেকে ফিরে ডুয়ার্সের নেওড়া-সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখবেন, বিস্তারিত খবর নিয়ে যাবেন। সিআইআই-এর উদ্যোগে ‘ডেস্টিনেশন ইস্ট-২০১২’ পরিকল্পনায় বিভিন্ন পর্যটন সংস্থার প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ করে দেশের পূর্বাঞ্চল এবং উত্তরপূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলি ঘুরে দেখানো, দেশের বিভিন্ন ভ্রমণ সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার মধ্যে রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সুন্দরবন এবং উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং, ডুয়ার্সকে তুলে ধরার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন থাইল্যান্ড, চিন, হংকং, মালেশিয়ার মতো বিভিন্ন দেশ থেকে শিলিগুড়িতে আসা প্রতিনিধিদের স্বাগত জানান সিআইআই-এর কর্মকর্তারা। মাল্লাগুড়ির একটি হোটেলে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। রাজ্যে ৩৪ বছর পর নতুন সরকারে আসা এবং দার্জিলিং, ডুয়ার্সের মতো উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় পর্যটন বিকাশে এই সরকারের পরিকল্পনার কথা তাঁদের কাছে তুলে ধরেন মন্ত্রী। গৌতমবাবু বলেন, “উত্তরবঙ্গে পর্যটনের বিকাশে মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্ব দিচ্ছেন। এই অঞ্চলকে পর্যটন বান্ধব হিসাবে গড়ে তোলা, সুইজারল্যান্ডের মতো আকর্ষণীয় করে তোলা তাঁর স্বপ্ন।” বিদেশি প্রতিনিধিদের প্রতি মন্ত্রী বলেন, “আপনারা দার্জিলিং, ডুয়ার্স ঘুরে দেখুন। রাস্তা কিছু ভাঙাচোরা থাকলেও দ্রুত তা সংস্কার করে পর্যটনের সুষ্ঠু পরিকাঠামো শীঘ্রই গড়ে তুলব। আপনারাও এগিয়ে আসুন।” সিআইআই-এর পূর্বাঞ্চল শাখার ডিরেক্টর সৌগত মুখোপাধ্যায় জানান, বিদেশি পর্যটকদের কাছে পূর্বাঞ্চলকে তুলে ধরার এই চেষ্টা ৩ বছর ধরে হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে এ বছর রাজ্যের সুন্দরবন এবং উত্তরবঙ্গে পর্যটনের উন্নয়নের সম্ভাবনাকে পরিকল্পনার মধ্যে রাখা হয়েছে। বিদেশের বিভিন্ন ভ্রমণ সংস্থার প্রতিনিধিরা সুন্দরবন, ওড়িশা, সিকিম, বিহার-সহ বিভিন্ন জায়গাগুলি ঘুরে দেখছেন। পরে নিজেদের দেশের পর্যটকদের এখানে আসতে উৎসাহ দেবেন। কলকাতায় ফিরে ১-২ মার্চ পূর্ব এবং উত্তরপূর্ব ভারতের বিভিন্ন ভ্রমণ সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে পর্যটনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনায় অংশ নেবেন। থাইল্যান্ডের একটি ভ্রমণ সংস্থার কর্ণাধার নুয়ানচ্যান নেটম বলেন, “শুধু আমার সংস্থার মাধ্যমেই বছরে ৭০০ পর্যটক ভারতে আসেন। তবে এই অঞ্চলে প্রথম এলাম। ভাল লাগলে ফিরে গিয়ে দেশের পর্যটকদের এখানে পাঠানোর চেষ্টা করব।” মালেশিয়ার কুয়ালালামপুরের সংস্থার কর্ণধার কেরি টম জানান, এই ভ্রমণ অভিজ্ঞতা থেকে দেশের পর্যটকদের তাঁরা উৎসাহী করতে পারবেন। |
|
|
 |
|
|
