সিপিএম নেতার বাড়ি ভাঙচুর
নিজস্ব সংবাদদাতা • খানাকুল |
খানাকুলের ঘরছাড়া সিপিএম নেতা সুদর্শন বেরার বন্ধ বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে এই ঘটনায় পুলিশ সুকুমার আদক নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছে। তিনি তৃণমূল সমর্থক হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও হুমকির অভিযোগ তুলে গত ১৪ মে থেকে ঘরছাড়া রয়েছেন সুদর্শনবাবু। তিনি জগৎপুর ২ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এত দিন স্কুলেও আসছিলেন না। আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি স্কুল থেকে তাঁর অবসর নেওয়ার কথা। প্রশাসনিক উদ্যোগে পুলিশি প্রহরায় তিনি এ দিন স্কুলে এসে সহ-শিক্ষক দীপক পোড়েকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুদর্শনবাবু স্কুলে পৌঁছনোর আগে থেকেই সেখানে কিছু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক জড়ো হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। তবে এ নিয়ে কোনও গোলমাল হয়নি। পুলিশ সুদর্শনবাবুকে নিয়ে স্কুল ছেড়ে চলে যাওয়ার পরেই তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। সুদর্শনবাবু বলেন, “তৃণমূলের লোকজন আমাকে না পেয়ে বাড়িতে হামলা করে। আমার বাড়ি থেকে একটি মোটরবাইক নিয়ে পালায়।” অভিযোগ অস্বীকার করে খানাকুলের তৃণমূল নেতা শৈলেন সিংহ বলেন, “স্কুলের নানা দুর্নীতির হিসেব চাওয়া হয়েছিল সুদর্শনবাবুর কাছে। তিনি না দিয়ে পালিয়ে যান।” সুদর্শনবাবুর বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় দলের কেউ যুক্ত নয় বলে দাবি করেছেন শৈলেনবাবু। তাঁর কথায়, “জনরোষের কারণে ওই ঘটনা। আমাদের এক সমর্থককে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।” |
আরামবাগের গ্রামে আত্মঘাতী আলুচাষি
নিজস্ব প্রতিবেদন |
ফের হুগলিতে আত্মঘাতী হলেন এক কৃষিজীবী। শনিবার সকালে আরামবাগের সাতমাসা গ্রামের স্বপন মান্না (৪০) নামে ওই কৃষিজীবীর ঝুলন্ত দেহ তাঁর বাড়ির কিছুটা দূরে, পুরাবাজার এলাকার একটি গাছ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতের স্ত্রী কবিতাদেবীর দাবি, ব্যাঙ্কের ঋণ শোধ করতে না পারায় এবং নাবিধসা রোগে আলু চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় স্বপনবাবু আত্মঘাতী হয়েছেন। একই মত স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বেরও। তবে, প্রতিবেশীদের একাংশের দাবি, স্বপনবাবুর আত্মহত্যার কারণ পারিবারিক অশান্তি। একই সুর শোনা গিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের গলাতেও। কবিতাদেবী অবশ্য তা মানতে চাননি। আরামবাগের মহকুমাশাসক অরিন্দম নিয়োগীর নির্দেশমতো বিডিও মৃণালকান্তি গুঁই এ দিন ওই এলাকায় যান। মৃত্যুর কারণ নিয়ে মৃণালবাবু কোনও মন্তব্য করেননি। তিনি বলেন, “ওই চাষির ঋণ সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” এ দিকে, নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কোচবিহারের গোপালপুর পঞ্চায়েতের সোনারির একটি হিমঘর থেকে চাষিরা আলু বের করে নেননি। সেই কারণে এ দিন প্রায় ২০ হাজার কুইন্টাল আলু মাটিতে পুঁতে দেন ওই হিমঘর কর্তৃপক্ষ। হিমঘরের ম্যানেজার নাজির হোসেন বলেন, “আলু মজুত রাখার সময়সীমা ছিল গত বছর ৩১ ডিসেম্বর। কিন্তু কৃষকেরা কেউ ওই আলু হিমঘর থেকে বের করে নেওয়ার ব্যাপারে যোগাযোগ করেননি। পচন ধরে যাওয়ায় ২০ হাজার কুইন্টাল আলু মাটিতে পুঁতে দিতে আমরা বাধ্য হই।” আলুচাষিদের বক্তব্য, বাজারে দাম না মেলায় হিমঘরে আলু ফেলে রাখতে তাঁরা বাধ্য হন। এর মধ্যে নতুন আলু বাজারে চলে আসায় সমস্যা আরও বেড়েছে।
|
হাবরায় অবরোধ, নাকাল যাত্রীরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • হাবরা |
আইএনটিইউসি ও আইএনটিটিইউসির সংঘর্ষের জেরে অবরোধে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হল শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখায়। শনিবার ওই সংঘর্ষের পরে হাবরা স্টেশনের ১ নম্বর গেট অবরোধ করে আইএনটিউসি। রাত সাড়ে ৮টা থেকে সওয়া ৯টা পর্যন্ত অবরোধ চলে। আটকে যায় যশোহর রোডের যান চলাচলও। আইএনটিউসির অভিযোগ, প্ল্যাটফর্ম চত্বরে তাদের সংগঠনের সদস্যদের দোকানঘরের সামনে আইএনটিটিইউসির সদস্যেরা দোকানঘর বসাচ্ছিলেন। তার প্রতিবাদ করাতেই বাধে সংঘর্ষ। অভিযোগ অস্বীকার করেছে আইএনটিটিইউসি। |