ধর্মঘটের দিন বাস, মিনিবাস বা অন্য যানবাহন ভাঙচুর হলে বিমা সংস্থার কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ মিলবে বলে দাবি করলেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র।
শনিবার মহাকরণে মদনবাবু বলেন, “বিমা সংস্থাগুলির সঙ্গে কথা হয়েছে। আগের সরকারের আমলে বন্ধ বা ধর্মঘট হত সরকারি মদতে। কিন্তু এই সরকার মঙ্গলবারের ধর্মঘটে সমস্ত ধরনের যানবাহন চালানোর জন্য বদ্ধপরিকর। এই বিষয়ে সরকারি নিদের্শিকাও জারি হয়েছে। বিমা সংস্থাগুলিকে সেই কথা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।” পরিহনমন্ত্রী দাবি করেছেন, “বিমা সংস্থাগুলি আশ্বাস দিয়েছে, গাড়ি ভাঙচুর হলে
ক্ষতিপূরণ মিলবে।”
মন্ত্রীর দাবি প্রসঙ্গে বিমা সংস্থা ন্যাশনাল ইনসিওরেন্সের পূর্বাঞ্চলের চেয়ারম্যান এম এস আর চন্দ্রপ্রসাদ জানান, এই নিয়ে নতুন কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি। তাঁর
কথায়, “বন্ধ বা ধর্মঘটে গাড়ি বা বাস ক্ষতিগ্রস্থ হলে বিমার টাকা মিলবে না, এমন কোনও নিয়ম নেই। কোন পরিস্থিতিতে গাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তার উপরেই বিষয়টি নির্ভর করে।” ওরিয়েন্টাল ইনসিওরেন্সের এক কর্তা জানান, সাধারণ ভাবে কোনও ধর্মঘটের দিন বিমাকৃত গাড়ি ভাঙচুর হলে বিমার টাকা পাওয়ায় বাধা নেই। তবে বিমাকৃত সামগ্রী রক্ষণাবেক্ষণে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়াটাও গ্রাহকদের দায়িত্ব। জেনেশুনে হাঙ্গামার মধ্যে গাড়ি নিয়ে গেলে বিমার টাকা
পেতে সমস্যা হতে পারে। তিনি জানান, সবই নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট বিমার ক্ষেত্রে কী কী শর্তের কথা বলা হয়েছে, তার উপর। তবে জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের পক্ষে তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, এই সব দিনের ভাঙচুরের ঘটনা বিমার আওতায় আসে না।”
|
অসংগঠিত শ্রমিকদের স্মার্ট কার্ড দেবে রাজ্য
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য নতুন স্মার্ট কার্ড চালু করছে সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর নামকরণ করেছেন, ‘সামাজিক মুক্তি কার্ড’। এপ্রিলেই কার্ড চালু হবে। শনিবার শ্রম দফতর আয়োজিত অসংগঠিত শ্রমিকদের সমাবেশে এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই কার্ডের ফলে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া সহজ হবে। পাশাপাশি, অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য বাম আমলে শুরু হওয়া আর্থিক সুযোগ-সুবিধার সব ক’টির সীমাই দ্বিগুণ করল বর্তমান সরকার। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, “আপনাদের পেনশন নেই। ভাতা নেই। অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কী করবেন, তার কোনও কর্মসূচি তৈরি করতে পারেন না। এ বার থেকে সেই ভাবনা আর ভাবতে হবে না।” তবে সরকার আর্থিক সাহায্য দিলেও সে টাকা যে সময়মতো শ্রমিকদের কাছে পৌঁছয় না, তা-ও উল্লেখ করেন তিনি। |