বৌভাতের প্রস্তুতি চলছিল জোরকদমে। সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা। তার মধ্যেই হঠাৎ একজোড়া জ্বলজ্বলে চোখ! ওটা কী! তার পরে চেঁচামেচি, হইহল্লা, মাইকে ঘোষণা কত কী! বিয়ের আনন্দকে মুহূর্তে ঘিরে ধরল ‘বাঘ’- এর আতঙ্ক। শেষমেশ অবশ্য জানা গেল, বাঘ নয়, গোসাবার বালি-১ পঞ্চায়েতের মথুরাখণ্ড গ্রামের কালীপদ মণ্ডলের ছেলে ধীরেনের বৌভাতের প্রস্তুতির মধ্যে ঢুকে পড়েছিল একটি বাঘরোল।
গত বৃহস্পতিবার বিয়ে হয় ধীরেনের। বৌভাত ছিল শনিবার। সে জন্য শুক্রবার রাতে তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। তার মধ্যেই ওই জ্বলজ্বলে চোখ, গায়ে ডোরাকাটা দেখে সম্ভাব্য বিপদ আঁচ করে সকলে ঘরের মধ্যে দৌড়ে ঢুকে পড়েন প্রাণ বাঁচাতে। মাইকে ঘোষণা করা হয়, ‘বাঘ ঢুকেছে। কেউ ঘর থেকে বেরোবেন না।” গ্রামেও ছড়িয়ে পড়ে সে কথা। খবর পেয়ে হাজির হন বন দফতরের লোকজন। পটকা ফাটিয়ে, মশাল জ্বালিয়ে, জাল বিছিয়ে রাতভর চলে বাঘ ধরার তোড়জোড়। দিনের আলো ফুটতেই অবশ্য বন দফতরের অফিসাররা হাঁফ ছাড়লেন। পায়ের ছাপ দেখে বললেন, এ বাঘ নয়, বাঘরোল। মানুষের হট্টগোলে জঙ্গলে পালিয়েছে।
সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডিএফডি প্রশান্ত কুমার পণ্ডিত বলেন, “সকালে পায়ের ছাপ দেখে আমরা বুঝতে পারি ওটা বাঘ নয়, বাঘরোলের পায়ের ছাপ। বাঘরোলটি সুন্দরবনের পিরখালি জঙ্গল পেরিয়ে গোমর নদী সাঁতরে গ্রামে এসেছিল বলে মনে হচ্ছে।”
|