অভিনেতা স্যাফ আলি খান একটি অতি মূল্যবান কথা বলিয়াছেন আওয়াজে অসুবিধা হইলে গ্রন্থাগারে গেলেই পারো। হ য ব র ল-র মহর্ষি বিড়াল শুনিলে অত্যন্ত আনন্দ পাইতেন। শহরে শব্দ হইবেই। বান্ধব-সমভিব্যাহারে পাঁচতারা হোটেলে সন্ধ্যাযাপন করিতে গেলে মনে পুলক জাগা স্বাভাবিক। সেই পুলক সশব্দে প্রকাশ করাই দস্তুর মনে তো আর সাইলেন্সার লাগানো থাকে না। ভারতীয় হকি দল খেলায় জিতিলে (ক্রিকেট দল তো আর জেতে না, হকিই এখন ভরসা) কি মূকাভিনয়ের মাধ্যমে উল্লাস প্রকাশ করা হইবে? পাড়ায় জলসা হইলে কানে হেডফোন লাগাইয়া গান শুনিতে হইবে নাকি? এবং, গাড়ির হর্ন মুজতবা আলি বর্ণিত দেশলাইয়ের তুলনায়ও অধিক বহুমুখী। অফিসের রাগ উগরাইয়া দিতে, রাস্তায় অন্য গাড়িকে প্রতিযোগিতায় আহ্বান করিতে, ট্র্যাফিক পুলিশের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাইতে, পথচারীদের হুঁশ ফিরাইতে হর্নের বিকল্প কিছু আবিষ্কার করিতে মানবসভ্যতার এখনও বাকি আছে। এই সম্মিলিত শব্দস্রোতই শহরের প্রাণস্পন্দন। তাহা পছন্দ না হইলে গ্রন্থাগারে প্রস্থান করুন। সেই মহাস্থান এমনিতেই নিঃশব্দ, অধুনা জনবিরলও বটে। পরামর্শটি স্বেচ্ছায় মানিলে ভাল, নচেৎ মুষ্টিযোগের ব্যবস্থাও আছে। |