|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
সকলই ফুরাল গড্ডলিকায় |
বইপোকা |
‘লালচে রং-এর প্যাকিং কাগজের মতো কাগজে ছাপা।... খেলো পিস্-বোর্ডের মলাট দাগশূন্য। বইয়ের নামটিও তার উপর ছাপা প্রকাশক ব্যয়বাহুল্য মনে করেছেন। এই হলো বহিরঙ্গের পরিচয়।’ বাংলা সাহিত্যে সতীনাথ ভাদুড়ীর আবির্ভাব-গ্রন্থ জাগরী-র প্রথম সমালোচনা বহিরঙ্গ দিয়াই শুরু করিয়াছিলেন অতুলচন্দ্র গুপ্ত। প্রায় সাত দশক পার হইতে চলিল, নবরূপে প্রকাশিত হইয়াছে সতীনাথ-সমগ্র (সতীনাথ রচনাবলী, মিত্র ও ঘোষ)। ইহার অন্তরঙ্গ শঙ্খ ঘোষ ও নির্মাল্য আচার্য সম্পাদিত গ্রন্থাবলী-র (অরুণা প্রকাশনী, ১৯৮৯) অনুরূপ। কিন্তু বহিরঙ্গটি প্রমাণ করিল, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সকলই গড্ডলিকা-য় বহিতেছে। হেলায় প্রথম প্রকাশিত হয় সতীনাথ-সাহিত্য, সাম্প্রতিকটি দেখিয়া মনে হইল, ইহার চেয়ে তাহাও ছিল ভাল। কারণ ভাদুড়ীমশায়ের রচনা পড়িলেই অনুভব করা যায়, এমন রঙিন চকচকে প্রকাশ তাহার জন্য নহে। বিরলভূষণ, সৌম্য, সযত্ন, উদার একটি সংস্করণই তাহার যথাযথ প্রকাশ। অরুণা-সংস্করণের প্রথম পৃষ্ঠায় শুধু একটি স্বাক্ষর ছিল, লেখকের। মিত্র-সংস্করণে সেটি গ্রন্থনামের নীচে। মূলে এক পৃষ্ঠায় শুধু লেখকের জন্ম-মৃত্যুতারিখ ছিল, তাহার মুখোমুখি আর্টপ্লেটে লেখকের ছবি। এই সংস্করণে সাধারণ কাগজে ছবি, নীচে গুঁজিয়া দেওয়া তারিখ। বাদ পড়িয়াছে স্বীকৃতিও। রয়্যাল ছোট হইয়া বহিয়া গিয়াছে ডিমাইয়ের গড্ডলে। অতুলচন্দ্র প্রথম সতীনাথকে ভোরে দরজা খুলিয়া দেখা নূতন বটগাছের সহিত তুলনা করিয়াছিলেন, বাঙালির গ্রন্থবাণিজ্য তাহাকে আগাছা করিয়া ছাড়িল! |
|
|
|
|
|