‘ভুল’ প্রশ্নে পরীক্ষা, ক্ষোভ |
পুরুলিয়ার বলরামপুর ফুলচাঁদ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ দিন মাধ্যমিকের ১১ জন নিয়মিত পরীক্ষার্থীর কাছে সিসি (পুরনো সিলেবাস) পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশই স্থানীয় ঘাটবেড়া কেড়োয়া উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক দিলিপ মাহাতোর অভিযোগ, “আমার স্কুলের ১১ জন ছাত্রীকে ভুল করে সিসি পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। কয়েক জন ছাত্রী শুরুতেই প্রশ্নপত্র পাল্টে দেওয়ার জন্য ওই ঘরের দায়িত্বে থাকা শিক্ষিকাকে অনুরোধ জানিয়েছিল। কিন্তু তিনি ধমক দিয়ে ওই প্রশ্নেই পরীক্ষা দিতে বাধ্য করায় বলে ছাত্রীরা আমাকে জানিয়েছে।” তিনি জানান, ৬ জন ছাত্রী পরীক্ষাকেন্দ্রের ইনচার্জের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েছে। কেন তাদের কথা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, তা খতিয়ে দেখতে অনুরোধ জানিয়েছে। বিভ্রান্তির শিকার হওয়া পরীক্ষার্থী শেফালি দাস, মেনকা সিং সর্দার, সারথী রজরদের অভিযোগ, “ভুল প্রশ্নপত্র দেওয়ার কথা শিক্ষিকাকে বারবার জানানো সত্বেও তিনি গুরুত্ব দেননি।” তাদের আর্জি, হয় নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া হোক, নতুবা তাদের ৭০ শতাংশ নম্বর দেওয়া হোক। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পুরুলিয়া জেলার সদস্য বিভূতি পরামাণিক বলেন, “১১ জন নিয়মিত পরীক্ষার্থীকে সিসি পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি। সেন্টার ইনচার্জের কাছে রিপোর্ট চেয়েছি।” তিনি জানান, একই ঘরে ওই ছাত্রীদের সঙ্গে কিছু সিসি পরীক্ষার্থীদেরও বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল বলে শুনেছি। দুই ধরনের পরীক্ষার্থীদের আলাদা আলাদা ঘরে বসাতে স্কুলগুলিকে বলা হয়েছিল। তার পরেও কী করে একই ঘরে ওদের বসানো হল, ভেবে পাচ্ছি না। তিনি জানান, পর্ষদকে বিষয়টি জানাব। পর্ষদের নির্দেশ অনুযায়ীই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি।
|
শিশুকে নিয়ে পরীক্ষা দিল মা |
সাত মাসের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসলেন মা। শুক্রবার পুরুলিয়ার বলরামপুরের লালিমতী গালর্স হাইস্কুলে ছেলে নয়নকে পাশে শুইয়ে রেখে পরীক্ষা দিলেন মা সুলেখা গরাই। তাঁর জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ আলাদা ক্লাসঘরে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। সুলেখা বলরামপুর থানার দঁড়ডা খেলু হেমব্রম উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। স্থানীয় রাপকাটা গ্রামের বধূ। এ দিন এক আত্মীয়ের সঙ্গে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। সুলেখা বলেন, “ছেলেটা আমাকে ছাড়া একদণ্ড থাকতে পারে না। আমিও পারি না। রাত জেগে পড়াশোনা করেছি। তাই ওকে সঙ্গে নিয়েই পরীক্ষা দিতে এসেছি।” ওই স্কুলে ঠেলাগাড়িতে খাবার বিক্রি করেন খুড়শ্বশুর নির্মল গরাই। তিনি বলেন, “বউমা পরীক্ষা দিয়েছে। আমরা সবাই খুশি।” পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রধান শিক্ষিকা জয়া দত্ত বলেন, “আগেই ওই পরীক্ষার্থীর কথা জানতে পেরে আমরা আলাদা ক্লাস ঘরের ব্যবস্থা করি।”
|
তিন দিন আগে পেটে অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাই বিষ্ণুপুরের শিবদাস বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মন্দিরা মিত্রকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দিতে হল। হাসপাতালের সুপার পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, “মঙ্গলবার মন্দিরার ‘অ্যাপেনডিসাইটিস’ অস্ত্রোপচার করা হয়। স্কুলে যাওয়ার ক্ষমতা নেই বলেই এখানে পরীক্ষা নেওয়া ব্যবস্থা করা হয়েছে।” জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) দেবপ্রসন্ন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দু’জন শিক্ষিকার নজরদারিতে ওই ছাত্রীর পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।” বিষ্ণুপুর শহরের থানাগোড়া এলাকার বাসিন্দা মন্দিরার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তার মা অনিতা মিত্র বলেন, “পরীক্ষার আগে মেয়েটা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ল। তবে পড়াশোনায় ভাল। তবুও এই অবস্থায় কেমন পরীক্ষা হবে তা নিয়ে খুব চিন্তায় রয়েছি।”
|
মাওবাদী হানায় নিহতদের ক্ষতিপূরণ |
মাওবাদী হামলায় নিহত সারেঙ্গার দুই সিপিএম নেতা-কর্মী কৃষ্ণচন্দ্র কুণ্ডু ও রামকৃষ্ণ দুলের পরিবারকে ‘চেকে’ এক লক্ষ টাকা করে দিল রাজ্য সরকার। শুক্রবার খাতড়া থানায় কৃষ্ণচন্দ্রবাবুর স্ত্রী লীলাবতী কুণ্ডুর হাতে ওই চেক তুলে দেন খাতড়ার মহকুমাশাসক দেবপ্রিয় বিশ্বাস। মকৃষ্ণবাবুর স্ত্রী তারারানি দুলের হাতে চেক তুলে দেন খাতড়ার এসডিপিও নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। উপস্থিত ছিলেন খাতড়া থানার আইসি সব্যসাচী সেনগুপ্ত। ২০০৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর চিংড়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণচন্দ্রবাবু এবং ওই বছরের ১৫ অগাস্ট শালুকা গ্রামের রামকৃষ্ণবাবুকে মাওবাদীরা খুন করেছিল।
|
১০০ দিন প্রকল্পে পুকুর খননের কাজ করার সময় অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের। মন্টু বাগদি (৪৭) নামের ওই শ্রমিকের বাড়ি পাত্রসায়রের বামিরা গ্রামে। শুক্রবার সকালের ঘটনা। পাত্রসায়র ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাঁর মৃত্যু হয়। |